আজকের পত্রিকা ডেস্ক

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত মনোরম শহর পেহেলগাম ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত। গতকাল মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এই জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় জঙ্গি হামলা হয়। আকস্মিক এই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন।
অঞ্চলটিতে এখন পর্যটনের মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অমরনাথ যাত্রার জন্যও নিবন্ধন শুরু হয়েছে। গতকাল এই জায়গায় বেশ কিছু পর্যটকের সমাগম হয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এই হামলার একটি বিবরণ দিয়েছে—
—প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চার সশস্ত্র হামলাকারী পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল।
—হামলাকারীদের হাতে ছিল অটোমেটিক অস্ত্র। জঙ্গল থেকে বের হয়েই তাঁরা পর্যটকদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।
—প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলাকারী জঙ্গিরা নারীদের ছেড়ে দিয়ে শুধু পুরুষদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
—কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মুসলিমদের বাদ দিয়ে হত্যার জন্য শুধু অমুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছিল। তবে এই হামলায় একজন মুসলিম দোকানিও নিহত হয়েছেন।
—প্রত্যক্ষদর্শী আরেক নারী এএফপিকে বলেন, তারা নারীদের ছাড় দিচ্ছিল, কিন্তু পুরুষদের একের পর এক গুলি করছিল—এটা ঝড়ের মতো ভয়াবহ ছিল।
—সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ আতঙ্কে দৌড়াচ্ছে, একজন নারী তাঁর গুরুতর জখম স্বামীর জন্য চিৎকার করে সাহায্য চাইছেন।
—আহত ব্যক্তিদের ঘোড়ার পিঠে করে প্রথমে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। কারণ, গাড়ি দিয়ে সরাসরি ওই জায়গায় যাওয়া যায় না।
এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেয়, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত প্রকাশ করেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এই হামলার পটভূমি, সর্বশেষ হামলায় কী ঘটেছিল, কাশ্মীরের জঙ্গিদের সম্পর্কে আমরা কী জানি—এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কাশ্মীর হামলার পটভূমি কী
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীর ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিতর্কিত ভূখণ্ড। হিমালয়ের এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ একাধিক যুদ্ধে জড়িয়েছে এবং এর মধ্যে অসংখ্য ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলে অস্থিরতা উসকে দেওয়ার জন্য দায়ী করে আসছে।
২০১৯ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্বতমালা ও সবুজ উপত্যকার জন্য পরিচিত এলাকাটি আবারও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল।
সর্বশেষ হামলায় কী ঘটল
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, শ্রীনগর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার (৫৬ মাইল) পূর্বে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত পেহেলগামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি দলের ওপর নির্বিচার গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। হামলাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ঘটনার পরপরই একটি সামরিক অভিযান শুরু করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে পরিচিত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেছেন, এই হামলার সঙ্গে তাঁর দেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
কাশ্মীরে জঙ্গিদের হামলা অস্বাভাবিক না হলেও পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করার ঘটনা বিরল। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা সামগ্রিকভাবে কমে এসেছিল। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই ধরনের ৪৬টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা ২০১৮ সালের ২২৮টি ঘটনার তুলনায় অনেক কম।
কাশ্মীরি জঙ্গি সম্পর্কে যা জানা যায়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, পাকিস্তান তার সীমানার মধ্যে কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। পাকিস্তানভিত্তিক একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী অতীতে ভারতে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের হামলা
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মুম্বাই শহরের ১২টি স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা লস্কর-ই-তাইয়েবার ১০ জঙ্গি। ওই আক্রমণে ১৮০ জন নিরীহ মানুষ নিহত হন এবং ৩ শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হন, যাঁদের অনেকে পরে মারা যান অথবা সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল মুম্বাইয়ের দ্য তাজমহল প্যালেস হোটেল ও ওবেরাই ট্রাইডেন্ট হোটেলের হামলা। প্রায় ৬৪ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সেই হোটেলের ২০০ জিম্মিকে মুক্ত করতে পেরেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলা
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, পাকিস্তানি ইসলামপন্থী সালাফি জিহাদি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা ও দেওবন্দি ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী জৈস-ই-মহম্মদ বহু আলোচিত এই হামলায় জড়িত ছিল। এই হামলায় একজন সাধারণ নাগরিকসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়।
২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামার হামলা
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির এই হামলায় ৪০ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। ৭৮টি বাসে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান জম্মু থেকে যাচ্ছিলেন শ্রীনগরে। বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈস-ই-মহম্মদ এই হামলায় জড়িত ছিল।
জঙ্গিরা সাধারণত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Control) বরাবর এবং এর আশপাশে চলাচল করে। এই অংশ কাশ্মীরের ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশকে বিভক্ত করেছে। জঙ্গিরা মূলত বিচ্ছিন্ন ও জনবসতিহীন এলাকায় থাকে। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে তাদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়। এই কারণে সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আবার অনেক স্থানীয় বাসিন্দার মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
কাশ্মীর হামলার প্রতিক্রিয়া
হামলার খবর পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে জরুরি বৈঠক করার জন্য শীর্ষ মন্ত্রীদের ডেকে পাঠান। তাঁর সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বড় ধরনের নিরাপত্তা অভিযান শুরু করেনি।
এর আগে ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে বিমান হামলা চালিয়েছিল, যা ১৯৭১ সালের পর প্রথম। সেই ঘটনার পর দুই দেশের যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ডগ ফাইট বা আকাশযুদ্ধ হয়েছিল। এরপর ২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলার পর প্রতিবেশী এই দুই দেশকে সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকালের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা ‘ভারতের অবৈধভাবে’ দখল করা জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত মনোরম শহর পেহেলগাম ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত। গতকাল মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এই জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় জঙ্গি হামলা হয়। আকস্মিক এই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন।
অঞ্চলটিতে এখন পর্যটনের মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অমরনাথ যাত্রার জন্যও নিবন্ধন শুরু হয়েছে। গতকাল এই জায়গায় বেশ কিছু পর্যটকের সমাগম হয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এই হামলার একটি বিবরণ দিয়েছে—
—প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চার সশস্ত্র হামলাকারী পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল।
—হামলাকারীদের হাতে ছিল অটোমেটিক অস্ত্র। জঙ্গল থেকে বের হয়েই তাঁরা পর্যটকদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।
—প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলাকারী জঙ্গিরা নারীদের ছেড়ে দিয়ে শুধু পুরুষদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
—কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মুসলিমদের বাদ দিয়ে হত্যার জন্য শুধু অমুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছিল। তবে এই হামলায় একজন মুসলিম দোকানিও নিহত হয়েছেন।
—প্রত্যক্ষদর্শী আরেক নারী এএফপিকে বলেন, তারা নারীদের ছাড় দিচ্ছিল, কিন্তু পুরুষদের একের পর এক গুলি করছিল—এটা ঝড়ের মতো ভয়াবহ ছিল।
—সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ আতঙ্কে দৌড়াচ্ছে, একজন নারী তাঁর গুরুতর জখম স্বামীর জন্য চিৎকার করে সাহায্য চাইছেন।
—আহত ব্যক্তিদের ঘোড়ার পিঠে করে প্রথমে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। কারণ, গাড়ি দিয়ে সরাসরি ওই জায়গায় যাওয়া যায় না।
এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেয়, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত প্রকাশ করেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এই হামলার পটভূমি, সর্বশেষ হামলায় কী ঘটেছিল, কাশ্মীরের জঙ্গিদের সম্পর্কে আমরা কী জানি—এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কাশ্মীর হামলার পটভূমি কী
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীর ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিতর্কিত ভূখণ্ড। হিমালয়ের এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ একাধিক যুদ্ধে জড়িয়েছে এবং এর মধ্যে অসংখ্য ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলে অস্থিরতা উসকে দেওয়ার জন্য দায়ী করে আসছে।
২০১৯ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্বতমালা ও সবুজ উপত্যকার জন্য পরিচিত এলাকাটি আবারও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল।
সর্বশেষ হামলায় কী ঘটল
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, শ্রীনগর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার (৫৬ মাইল) পূর্বে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত পেহেলগামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি দলের ওপর নির্বিচার গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। হামলাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ঘটনার পরপরই একটি সামরিক অভিযান শুরু করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে পরিচিত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেছেন, এই হামলার সঙ্গে তাঁর দেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
কাশ্মীরে জঙ্গিদের হামলা অস্বাভাবিক না হলেও পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করার ঘটনা বিরল। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা সামগ্রিকভাবে কমে এসেছিল। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই ধরনের ৪৬টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা ২০১৮ সালের ২২৮টি ঘটনার তুলনায় অনেক কম।
কাশ্মীরি জঙ্গি সম্পর্কে যা জানা যায়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, পাকিস্তান তার সীমানার মধ্যে কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। পাকিস্তানভিত্তিক একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী অতীতে ভারতে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের হামলা
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মুম্বাই শহরের ১২টি স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা লস্কর-ই-তাইয়েবার ১০ জঙ্গি। ওই আক্রমণে ১৮০ জন নিরীহ মানুষ নিহত হন এবং ৩ শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হন, যাঁদের অনেকে পরে মারা যান অথবা সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল মুম্বাইয়ের দ্য তাজমহল প্যালেস হোটেল ও ওবেরাই ট্রাইডেন্ট হোটেলের হামলা। প্রায় ৬৪ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সেই হোটেলের ২০০ জিম্মিকে মুক্ত করতে পেরেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলা
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, পাকিস্তানি ইসলামপন্থী সালাফি জিহাদি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা ও দেওবন্দি ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী জৈস-ই-মহম্মদ বহু আলোচিত এই হামলায় জড়িত ছিল। এই হামলায় একজন সাধারণ নাগরিকসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়।
২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামার হামলা
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির এই হামলায় ৪০ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। ৭৮টি বাসে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান জম্মু থেকে যাচ্ছিলেন শ্রীনগরে। বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈস-ই-মহম্মদ এই হামলায় জড়িত ছিল।
জঙ্গিরা সাধারণত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Control) বরাবর এবং এর আশপাশে চলাচল করে। এই অংশ কাশ্মীরের ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশকে বিভক্ত করেছে। জঙ্গিরা মূলত বিচ্ছিন্ন ও জনবসতিহীন এলাকায় থাকে। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে তাদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়। এই কারণে সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আবার অনেক স্থানীয় বাসিন্দার মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
কাশ্মীর হামলার প্রতিক্রিয়া
হামলার খবর পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে জরুরি বৈঠক করার জন্য শীর্ষ মন্ত্রীদের ডেকে পাঠান। তাঁর সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বড় ধরনের নিরাপত্তা অভিযান শুরু করেনি।
এর আগে ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে বিমান হামলা চালিয়েছিল, যা ১৯৭১ সালের পর প্রথম। সেই ঘটনার পর দুই দেশের যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ডগ ফাইট বা আকাশযুদ্ধ হয়েছিল। এরপর ২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলার পর প্রতিবেশী এই দুই দেশকে সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকালের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা ‘ভারতের অবৈধভাবে’ দখল করা জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত মনোরম শহর পেহেলগাম ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত। গতকাল মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এই জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় জঙ্গি হামলা হয়। আকস্মিক এই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন।
অঞ্চলটিতে এখন পর্যটনের মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অমরনাথ যাত্রার জন্যও নিবন্ধন শুরু হয়েছে। গতকাল এই জায়গায় বেশ কিছু পর্যটকের সমাগম হয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এই হামলার একটি বিবরণ দিয়েছে—
—প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চার সশস্ত্র হামলাকারী পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল।
—হামলাকারীদের হাতে ছিল অটোমেটিক অস্ত্র। জঙ্গল থেকে বের হয়েই তাঁরা পর্যটকদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।
—প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলাকারী জঙ্গিরা নারীদের ছেড়ে দিয়ে শুধু পুরুষদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
—কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মুসলিমদের বাদ দিয়ে হত্যার জন্য শুধু অমুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছিল। তবে এই হামলায় একজন মুসলিম দোকানিও নিহত হয়েছেন।
—প্রত্যক্ষদর্শী আরেক নারী এএফপিকে বলেন, তারা নারীদের ছাড় দিচ্ছিল, কিন্তু পুরুষদের একের পর এক গুলি করছিল—এটা ঝড়ের মতো ভয়াবহ ছিল।
—সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ আতঙ্কে দৌড়াচ্ছে, একজন নারী তাঁর গুরুতর জখম স্বামীর জন্য চিৎকার করে সাহায্য চাইছেন।
—আহত ব্যক্তিদের ঘোড়ার পিঠে করে প্রথমে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। কারণ, গাড়ি দিয়ে সরাসরি ওই জায়গায় যাওয়া যায় না।
এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেয়, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত প্রকাশ করেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এই হামলার পটভূমি, সর্বশেষ হামলায় কী ঘটেছিল, কাশ্মীরের জঙ্গিদের সম্পর্কে আমরা কী জানি—এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কাশ্মীর হামলার পটভূমি কী
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীর ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিতর্কিত ভূখণ্ড। হিমালয়ের এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ একাধিক যুদ্ধে জড়িয়েছে এবং এর মধ্যে অসংখ্য ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলে অস্থিরতা উসকে দেওয়ার জন্য দায়ী করে আসছে।
২০১৯ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্বতমালা ও সবুজ উপত্যকার জন্য পরিচিত এলাকাটি আবারও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল।
সর্বশেষ হামলায় কী ঘটল
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, শ্রীনগর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার (৫৬ মাইল) পূর্বে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত পেহেলগামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি দলের ওপর নির্বিচার গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। হামলাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ঘটনার পরপরই একটি সামরিক অভিযান শুরু করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে পরিচিত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেছেন, এই হামলার সঙ্গে তাঁর দেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
কাশ্মীরে জঙ্গিদের হামলা অস্বাভাবিক না হলেও পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করার ঘটনা বিরল। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা সামগ্রিকভাবে কমে এসেছিল। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই ধরনের ৪৬টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা ২০১৮ সালের ২২৮টি ঘটনার তুলনায় অনেক কম।
কাশ্মীরি জঙ্গি সম্পর্কে যা জানা যায়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, পাকিস্তান তার সীমানার মধ্যে কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। পাকিস্তানভিত্তিক একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী অতীতে ভারতে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের হামলা
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মুম্বাই শহরের ১২টি স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা লস্কর-ই-তাইয়েবার ১০ জঙ্গি। ওই আক্রমণে ১৮০ জন নিরীহ মানুষ নিহত হন এবং ৩ শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হন, যাঁদের অনেকে পরে মারা যান অথবা সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল মুম্বাইয়ের দ্য তাজমহল প্যালেস হোটেল ও ওবেরাই ট্রাইডেন্ট হোটেলের হামলা। প্রায় ৬৪ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সেই হোটেলের ২০০ জিম্মিকে মুক্ত করতে পেরেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলা
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, পাকিস্তানি ইসলামপন্থী সালাফি জিহাদি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা ও দেওবন্দি ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী জৈস-ই-মহম্মদ বহু আলোচিত এই হামলায় জড়িত ছিল। এই হামলায় একজন সাধারণ নাগরিকসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়।
২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামার হামলা
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির এই হামলায় ৪০ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। ৭৮টি বাসে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান জম্মু থেকে যাচ্ছিলেন শ্রীনগরে। বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈস-ই-মহম্মদ এই হামলায় জড়িত ছিল।
জঙ্গিরা সাধারণত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Control) বরাবর এবং এর আশপাশে চলাচল করে। এই অংশ কাশ্মীরের ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশকে বিভক্ত করেছে। জঙ্গিরা মূলত বিচ্ছিন্ন ও জনবসতিহীন এলাকায় থাকে। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে তাদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়। এই কারণে সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আবার অনেক স্থানীয় বাসিন্দার মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
কাশ্মীর হামলার প্রতিক্রিয়া
হামলার খবর পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে জরুরি বৈঠক করার জন্য শীর্ষ মন্ত্রীদের ডেকে পাঠান। তাঁর সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বড় ধরনের নিরাপত্তা অভিযান শুরু করেনি।
এর আগে ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে বিমান হামলা চালিয়েছিল, যা ১৯৭১ সালের পর প্রথম। সেই ঘটনার পর দুই দেশের যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ডগ ফাইট বা আকাশযুদ্ধ হয়েছিল। এরপর ২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলার পর প্রতিবেশী এই দুই দেশকে সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকালের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা ‘ভারতের অবৈধভাবে’ দখল করা জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত মনোরম শহর পেহেলগাম ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত। গতকাল মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এই জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় জঙ্গি হামলা হয়। আকস্মিক এই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন।
অঞ্চলটিতে এখন পর্যটনের মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অমরনাথ যাত্রার জন্যও নিবন্ধন শুরু হয়েছে। গতকাল এই জায়গায় বেশ কিছু পর্যটকের সমাগম হয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এই হামলার একটি বিবরণ দিয়েছে—
—প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চার সশস্ত্র হামলাকারী পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল।
—হামলাকারীদের হাতে ছিল অটোমেটিক অস্ত্র। জঙ্গল থেকে বের হয়েই তাঁরা পর্যটকদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।
—প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলাকারী জঙ্গিরা নারীদের ছেড়ে দিয়ে শুধু পুরুষদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
—কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মুসলিমদের বাদ দিয়ে হত্যার জন্য শুধু অমুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছিল। তবে এই হামলায় একজন মুসলিম দোকানিও নিহত হয়েছেন।
—প্রত্যক্ষদর্শী আরেক নারী এএফপিকে বলেন, তারা নারীদের ছাড় দিচ্ছিল, কিন্তু পুরুষদের একের পর এক গুলি করছিল—এটা ঝড়ের মতো ভয়াবহ ছিল।
—সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ আতঙ্কে দৌড়াচ্ছে, একজন নারী তাঁর গুরুতর জখম স্বামীর জন্য চিৎকার করে সাহায্য চাইছেন।
—আহত ব্যক্তিদের ঘোড়ার পিঠে করে প্রথমে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। কারণ, গাড়ি দিয়ে সরাসরি ওই জায়গায় যাওয়া যায় না।
এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেয়, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত প্রকাশ করেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এই হামলার পটভূমি, সর্বশেষ হামলায় কী ঘটেছিল, কাশ্মীরের জঙ্গিদের সম্পর্কে আমরা কী জানি—এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কাশ্মীর হামলার পটভূমি কী
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীর ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিতর্কিত ভূখণ্ড। হিমালয়ের এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ একাধিক যুদ্ধে জড়িয়েছে এবং এর মধ্যে অসংখ্য ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলে অস্থিরতা উসকে দেওয়ার জন্য দায়ী করে আসছে।
২০১৯ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্বতমালা ও সবুজ উপত্যকার জন্য পরিচিত এলাকাটি আবারও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল।
সর্বশেষ হামলায় কী ঘটল
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, শ্রীনগর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার (৫৬ মাইল) পূর্বে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত পেহেলগামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি দলের ওপর নির্বিচার গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। হামলাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ঘটনার পরপরই একটি সামরিক অভিযান শুরু করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে পরিচিত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেছেন, এই হামলার সঙ্গে তাঁর দেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
কাশ্মীরে জঙ্গিদের হামলা অস্বাভাবিক না হলেও পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করার ঘটনা বিরল। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা সামগ্রিকভাবে কমে এসেছিল। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই ধরনের ৪৬টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা ২০১৮ সালের ২২৮টি ঘটনার তুলনায় অনেক কম।
কাশ্মীরি জঙ্গি সম্পর্কে যা জানা যায়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, পাকিস্তান তার সীমানার মধ্যে কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। পাকিস্তানভিত্তিক একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী অতীতে ভারতে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের হামলা
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মুম্বাই শহরের ১২টি স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা লস্কর-ই-তাইয়েবার ১০ জঙ্গি। ওই আক্রমণে ১৮০ জন নিরীহ মানুষ নিহত হন এবং ৩ শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হন, যাঁদের অনেকে পরে মারা যান অথবা সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল মুম্বাইয়ের দ্য তাজমহল প্যালেস হোটেল ও ওবেরাই ট্রাইডেন্ট হোটেলের হামলা। প্রায় ৬৪ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সেই হোটেলের ২০০ জিম্মিকে মুক্ত করতে পেরেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলা
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, পাকিস্তানি ইসলামপন্থী সালাফি জিহাদি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা ও দেওবন্দি ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী জৈস-ই-মহম্মদ বহু আলোচিত এই হামলায় জড়িত ছিল। এই হামলায় একজন সাধারণ নাগরিকসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়।
২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামার হামলা
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির এই হামলায় ৪০ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। ৭৮টি বাসে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান জম্মু থেকে যাচ্ছিলেন শ্রীনগরে। বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈস-ই-মহম্মদ এই হামলায় জড়িত ছিল।
জঙ্গিরা সাধারণত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Control) বরাবর এবং এর আশপাশে চলাচল করে। এই অংশ কাশ্মীরের ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশকে বিভক্ত করেছে। জঙ্গিরা মূলত বিচ্ছিন্ন ও জনবসতিহীন এলাকায় থাকে। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে তাদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়। এই কারণে সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আবার অনেক স্থানীয় বাসিন্দার মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
কাশ্মীর হামলার প্রতিক্রিয়া
হামলার খবর পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে জরুরি বৈঠক করার জন্য শীর্ষ মন্ত্রীদের ডেকে পাঠান। তাঁর সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বড় ধরনের নিরাপত্তা অভিযান শুরু করেনি।
এর আগে ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে বিমান হামলা চালিয়েছিল, যা ১৯৭১ সালের পর প্রথম। সেই ঘটনার পর দুই দেশের যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ডগ ফাইট বা আকাশযুদ্ধ হয়েছিল। এরপর ২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলার পর প্রতিবেশী এই দুই দেশকে সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকালের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা ‘ভারতের অবৈধভাবে’ দখল করা জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেন, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
২৩ এপ্রিল ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেন, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
২৩ এপ্রিল ২০২৫
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেন, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
২৩ এপ্রিল ২০২৫
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেন, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
২৩ এপ্রিল ২০২৫
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৪ ঘণ্টা আগে