অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কথা। বিশেষ করে খ্রিষ্টান ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ওপর প্রাণনাশকারী হামলা, আক্রমণ, তাদের সম্পত্তিতে ভাঙচুরের কথাও উঠে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত বুধবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদন-২০২৩ থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি তৃতীয় মেয়াদে লোকসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অধীনে ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘ভারতে আমরা ধর্মান্তরবিরোধী আইন, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সদস্যদের বাড়িঘর ও উপাসনালয় ধ্বংসের মতো বিষয়গুলো বাড়ছে বলে দেখতে পাচ্ছি।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও চীনের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের জন্য নয়াদিল্লির গুরুত্বের কারণে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সমালোচনার ক্ষেত্রে সংযত হয়। কিন্তু এবারের প্রতিবেদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নয়াদিল্লির সমালোচনা করেছে, যা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যে।
মার্কিন প্রতিবেদনে কয়েক ডজন ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো—সন্দেহভাজন এক রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তার গুলিতে মুম্বাইয়ের কাছে একটি ট্রেনে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও তিনজন মুসলমানের ওপর প্রাণঘাতী হামলা উল্লেখযোগ্য। প্রতিবেদনে মুসলিম পুরুষেরা গরু জবাই বা গরুর মাংস বিক্রির ব্যবসায় অংশগ্রহণ করছেন এমন অভিযোগে তাঁদের ওপর হামলার উদাহরণও তুলে ধরা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে গত বছরের মে মাসে সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী কুকি ও সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সহিংসতায় মণিপুরে হিন্দু ও খ্রিষ্টানদের উপাসনালয় ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় উপজাতীয় নেতাদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আড়াই শতাধিক গির্জা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, দুই শতাধিক লোক নিহত হয়েছে এবং ৬০ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশই হিন্দু। বাকিদের মধ্যে মুসলিম ১৪ শতাংশ এবং ২ শতাংশ খ্রিষ্টান। প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ধর্মান্তরবিরোধী আইনের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিষয়টি ব্যক্তির ধর্মীয় বিশ্বাস ও স্বাধীনতার অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কথা। বিশেষ করে খ্রিষ্টান ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ওপর প্রাণনাশকারী হামলা, আক্রমণ, তাদের সম্পত্তিতে ভাঙচুরের কথাও উঠে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত বুধবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদন-২০২৩ থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি তৃতীয় মেয়াদে লোকসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অধীনে ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘ভারতে আমরা ধর্মান্তরবিরোধী আইন, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সদস্যদের বাড়িঘর ও উপাসনালয় ধ্বংসের মতো বিষয়গুলো বাড়ছে বলে দেখতে পাচ্ছি।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও চীনের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের জন্য নয়াদিল্লির গুরুত্বের কারণে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সমালোচনার ক্ষেত্রে সংযত হয়। কিন্তু এবারের প্রতিবেদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নয়াদিল্লির সমালোচনা করেছে, যা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যে।
মার্কিন প্রতিবেদনে কয়েক ডজন ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো—সন্দেহভাজন এক রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তার গুলিতে মুম্বাইয়ের কাছে একটি ট্রেনে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও তিনজন মুসলমানের ওপর প্রাণঘাতী হামলা উল্লেখযোগ্য। প্রতিবেদনে মুসলিম পুরুষেরা গরু জবাই বা গরুর মাংস বিক্রির ব্যবসায় অংশগ্রহণ করছেন এমন অভিযোগে তাঁদের ওপর হামলার উদাহরণও তুলে ধরা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে গত বছরের মে মাসে সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী কুকি ও সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সহিংসতায় মণিপুরে হিন্দু ও খ্রিষ্টানদের উপাসনালয় ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় উপজাতীয় নেতাদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আড়াই শতাধিক গির্জা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, দুই শতাধিক লোক নিহত হয়েছে এবং ৬০ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশই হিন্দু। বাকিদের মধ্যে মুসলিম ১৪ শতাংশ এবং ২ শতাংশ খ্রিষ্টান। প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ধর্মান্তরবিরোধী আইনের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিষয়টি ব্যক্তির ধর্মীয় বিশ্বাস ও স্বাধীনতার অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার লক্ষ্যে কাতারে কয়েকটি দেশের মধ্যস্থতায় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভাও চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু তবুও গাজায় ইসরায়েলি হামলা থামেনি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ২৩ জন। আর এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায়...
১৪ মিনিট আগেদীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসন অবশেষে শেষ হতে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হবে আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টায়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল
৩১ মিনিট আগেযুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, মুক্তির অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে হামাসকে জিম্মিদের নামের তালিকা সরবরাহ করতে হবে। তবে এখনো হামাস এই তালিকা প্রকাশ করেনি। রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত জিম্মিদের মুক্তির সময়সীমা...
৮ ঘণ্টা আগেএকজন বন্দুকধারী সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বিচারক নিহত হন। এ সময় আদালতের একজন নিরাপত্তা কর্মী আহত হন। বন্দুকধারী পালানোর সময় আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে মিজান।
৮ ঘণ্টা আগে