মার্কিন প্রতিবেদনে উঠে এল ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৪, ১০: ৪৬
Thumbnail image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কথা। বিশেষ করে খ্রিষ্টান ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ওপর প্রাণনাশকারী হামলা, আক্রমণ, তাদের সম্পত্তিতে ভাঙচুরের কথাও উঠে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

গত বুধবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদন-২০২৩ থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। 

মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি তৃতীয় মেয়াদে লোকসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অধীনে ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘ভারতে আমরা ধর্মান্তরবিরোধী আইন, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সদস্যদের বাড়িঘর ও উপাসনালয় ধ্বংসের মতো বিষয়গুলো বাড়ছে বলে দেখতে পাচ্ছি। 

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও চীনের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের জন্য নয়াদিল্লির গুরুত্বের কারণে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সমালোচনার ক্ষেত্রে সংযত হয়। কিন্তু এবারের প্রতিবেদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নয়াদিল্লির সমালোচনা করেছে, যা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যে। 

মার্কিন প্রতিবেদনে কয়েক ডজন ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো—সন্দেহভাজন এক রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তার গুলিতে মুম্বাইয়ের কাছে একটি ট্রেনে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও তিনজন মুসলমানের ওপর প্রাণঘাতী হামলা উল্লেখযোগ্য। প্রতিবেদনে মুসলিম পুরুষেরা গরু জবাই বা গরুর মাংস বিক্রির ব্যবসায় অংশগ্রহণ করছেন এমন অভিযোগে তাঁদের ওপর হামলার উদাহরণও তুলে ধরা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে গত বছরের মে মাসে সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী কুকি ও সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সহিংসতায় মণিপুরে হিন্দু ও খ্রিষ্টানদের উপাসনালয় ধ্বংস করা হয়। স্থানীয় উপজাতীয় নেতাদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আড়াই শতাধিক গির্জা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, দুই শতাধিক লোক নিহত হয়েছে এবং ৬০ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ভারতের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশই হিন্দু। বাকিদের মধ্যে মুসলিম ১৪ শতাংশ এবং ২ শতাংশ খ্রিষ্টান। প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ধর্মান্তরবিরোধী আইনের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিষয়টি ব্যক্তির ধর্মীয় বিশ্বাস ও স্বাধীনতার অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত