অনলাইন ডেস্ক
বছর শেষে উৎসবের আমেজে আছে পুরো বিশ্বই। ব্যতিক্রম নয় ভারত-বাংলাদেশও। তবে এর মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকার ব্যবসা পুনরুদ্ধারের কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করছেন দেশে চলমান অস্থিরতার কারণে। হোটেল বাণিজ্য নিম্নমুখী, রেস্তোরাঁগুলোও তাদের কার্যক্রম সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে এবং খুচরা ব্যবসাগুলো টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে। মারকুইস স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কিড স্ট্রিট এবং স্যাডার স্ট্রিটের মতো এলাকাগুলো জনমানবহীন রূপ ধারণ করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীদের মতে, ডিসেম্বর-জানুয়ারি হচ্ছে পর্যটনের শীর্ষ মৌসুম। কলকাতার উৎসব এবং বাংলাদেশের বছরান্তের ছুটির কারণে প্রচুর পর্যটক আসে কলকাতায়। কিন্তু এবার সেরকম কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেলেও।
ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী খান বলেন, ‘এই সময় এলাকায় ব্যবসার শীর্ষ সময়। হোটেলগুলো সাধারণত পর্যটকে পরিপূর্ণ থাকে এবং রেস্তোরাঁয় জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। বাংলাদেশি পর্যটকেরা তাদের বছর শেষের ছুটি কলকাতায় কাটাতে পছন্দ করেন এখানকার আবহাওয়া ও উৎসবের কারণে। কিন্তু এ বছর বাংলাদেশের অস্থিরতার কারণে ব্যবসা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে কেন্দ্রীয় কলকাতার অনেক হোটেল পুরো তলা বন্ধ করে দিয়েছে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমানোর জন্য। যেসব কামরা আগে টানা কয়েক সপ্তাহের জন্য বুক থাকত, সেগুলো এখন অর্ধেক দামে পাওয়া যাচ্ছে। একটি হোটেলের রিসেপশনে বসা কর্মী সবুজ তালুকদার বলেন, ‘এই সময় ঘরের ভাড়া ২০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ত, কিন্তু এখন তা খুবই কমে গেছে।’
টাঙ্গাইল থেকে আসা পর্যটক আবু হাশিম জানান, ঘরভাড়া অনেক কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘মির্জা গালিব স্ট্রিটের যে হোটেল কামরায় আমি গত বছর দিনে ২ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছিলাম, তা এখন ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।’ পর্যটকের অনুপস্থিতি স্থানীয় খুচরা এবং খাদ্যশিল্পের ওপরও প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশি ক্রেতাদের ওপর নির্ভরশীল দোকানগুলো বিক্রি কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।
ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. সাইফ শামীম বলেন, ‘আমরা ভারতীয় এবং ইউরোপীয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছি। বাংলাদেশের পর্যটকদের উপস্থিতি খুবই কম।’ এই অ্যাসোসিয়েশন পাঁচ শতাধিক হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে।
ট্রাভেল এজেন্ট অনিল দাস জানান, গত বছরের ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে তাদের ঘুমানোরও সময় পাওয়া যেত না। মানি এক্সচেঞ্জাররা প্রায়ই রাতে যাতায়াতকারী পর্যটকদের সেবা দিতেন। তারাও ব্যবসা কমে যাওয়ার কথা বলছেন। মানি এক্সচেঞ্জার মনোরঞ্জন রায় বলেন, ‘গত বছর ঢাকার একটি পরিবার আমার দোকানে রাত কাটিয়েছিল। কারণ, তারা কোনো হোটেলে জায়গা খুঁজে পায়নি।’
বছর শেষে উৎসবের আমেজে আছে পুরো বিশ্বই। ব্যতিক্রম নয় ভারত-বাংলাদেশও। তবে এর মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকার ব্যবসা পুনরুদ্ধারের কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করছেন দেশে চলমান অস্থিরতার কারণে। হোটেল বাণিজ্য নিম্নমুখী, রেস্তোরাঁগুলোও তাদের কার্যক্রম সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে এবং খুচরা ব্যবসাগুলো টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে। মারকুইস স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কিড স্ট্রিট এবং স্যাডার স্ট্রিটের মতো এলাকাগুলো জনমানবহীন রূপ ধারণ করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীদের মতে, ডিসেম্বর-জানুয়ারি হচ্ছে পর্যটনের শীর্ষ মৌসুম। কলকাতার উৎসব এবং বাংলাদেশের বছরান্তের ছুটির কারণে প্রচুর পর্যটক আসে কলকাতায়। কিন্তু এবার সেরকম কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেলেও।
ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী খান বলেন, ‘এই সময় এলাকায় ব্যবসার শীর্ষ সময়। হোটেলগুলো সাধারণত পর্যটকে পরিপূর্ণ থাকে এবং রেস্তোরাঁয় জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। বাংলাদেশি পর্যটকেরা তাদের বছর শেষের ছুটি কলকাতায় কাটাতে পছন্দ করেন এখানকার আবহাওয়া ও উৎসবের কারণে। কিন্তু এ বছর বাংলাদেশের অস্থিরতার কারণে ব্যবসা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে কেন্দ্রীয় কলকাতার অনেক হোটেল পুরো তলা বন্ধ করে দিয়েছে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমানোর জন্য। যেসব কামরা আগে টানা কয়েক সপ্তাহের জন্য বুক থাকত, সেগুলো এখন অর্ধেক দামে পাওয়া যাচ্ছে। একটি হোটেলের রিসেপশনে বসা কর্মী সবুজ তালুকদার বলেন, ‘এই সময় ঘরের ভাড়া ২০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ত, কিন্তু এখন তা খুবই কমে গেছে।’
টাঙ্গাইল থেকে আসা পর্যটক আবু হাশিম জানান, ঘরভাড়া অনেক কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘মির্জা গালিব স্ট্রিটের যে হোটেল কামরায় আমি গত বছর দিনে ২ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছিলাম, তা এখন ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।’ পর্যটকের অনুপস্থিতি স্থানীয় খুচরা এবং খাদ্যশিল্পের ওপরও প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশি ক্রেতাদের ওপর নির্ভরশীল দোকানগুলো বিক্রি কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।
ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. সাইফ শামীম বলেন, ‘আমরা ভারতীয় এবং ইউরোপীয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছি। বাংলাদেশের পর্যটকদের উপস্থিতি খুবই কম।’ এই অ্যাসোসিয়েশন পাঁচ শতাধিক হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে।
ট্রাভেল এজেন্ট অনিল দাস জানান, গত বছরের ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে তাদের ঘুমানোরও সময় পাওয়া যেত না। মানি এক্সচেঞ্জাররা প্রায়ই রাতে যাতায়াতকারী পর্যটকদের সেবা দিতেন। তারাও ব্যবসা কমে যাওয়ার কথা বলছেন। মানি এক্সচেঞ্জার মনোরঞ্জন রায় বলেন, ‘গত বছর ঢাকার একটি পরিবার আমার দোকানে রাত কাটিয়েছিল। কারণ, তারা কোনো হোটেলে জায়গা খুঁজে পায়নি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা তথা দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার ট্রাম্প এই বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যেখানে ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২৫ মিনিট আগেস্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো ঘোষণা করেছেন যে, তাঁর দেশ ইউক্রেনকে আর কোনো সামরিক বা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে না। গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার এক খোলা চিঠিতে ফিকো স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তাঁর সরকার ইউক্রেনকে এমন কোনো সহায়তা দেবে না, যা দেশটিকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম করবে।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত এক বৈঠকের পর যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দেখা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ডাউনিং স্ট্রিটে এক বৈঠকে শেষে স্টারমার জানালেন, জেলেনস্কি ‘যুক্তরাজ্যের পূর্ণ সমর্থন’ পাচ্ছেন। প্রত্যুত্তরে জেলেনস্কি...
১ ঘণ্টা আগেআমাদের মসজিদ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ভাঙেনি। আমরা এখনো ধ্বংসস্তূপে, তাঁবুর নিচে তারাবির নামাজ পড়ব। আমরা আমাদের সব আশা নিয়ে দু’আ করব, কোরআন তিলাওয়াতে সান্ত্বনা খুঁজব, এই বিশ্বাস নিয়ে যে, আমাদের সব কষ্টের প্রতিদান আল্লাহ দেবেন।
১ ঘণ্টা আগে