Ajker Patrika

দিল্লি ভারতের রাজধানী থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে, শশী থারুরের মত

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
ভারতের প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। ফাইল ছবি

বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় টানা কয়েক দিন ধরে শীর্ষে অবস্থান করছে দিল্লি। প্রায় সারা বছর শীর্ষ তিনেই থাকে এই রাজধানী শহর। বিশেষ করে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে বিষাক্ত ধোঁয়াশার পুরু চাদরে ঢেকে গেছে রাজধানী শহর। বাধ্য হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রমও বন্ধ করতে হয়েছে। এমন অবস্থায় দিল্লির রাজধানী থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।

বাতাসের মান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সূচক অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে শেয়ার করেন তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

পোস্টটিতে শশী থারুর অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর এই দূষণ অবস্থা দেখেও নিশ্চুপ সরকার। কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে ২০১৫ থেকে বাতাসের গুণগত মান নিয়ে অন্য এমপিদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কিছুই যেন বদলায়নি। কারও কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই! কোনো অগ্রগতি না থাকায় গত বছর থেকে হাল ছেড়ে দিয়েছি।’

দিল্লির পরিস্থিতিকে অসংবেদনশীল আখ্যায়িত করে এই সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্র সরকারকে তিরস্কার করেন থিরুভনন্তপুরমের এই এমপি।

শশী থারুর আরও বলেন, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাস দিল্লি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বাকি সময়ও বাসযোগ্যতা কম থাকে। এটা কি এখনো দেশের রাজধানী হিসেবে থাকা উচিত—এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।

শশী থারুরের এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলেছে। যার প্রভাব পড়েছে সরকারি সিদ্ধান্তেও।

দিল্লি সরকার আজ বুধবার ঘোষণা করেছে, মারাত্মক বায়ু দূষণের কারণে দিল্লি প্রশাসনের ৫০ শতাংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করবেন।

দিল্লির বাতাসের অবস্থা বর্তমানে ‘অত্যন্ত ভয়ানক’ অবস্থায় রয়েছে। আজ শহরে বাতাসের মান ৫০০ আইকিউ স্কোর ছাড়িয়েছে। সরকার গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের স্টেজ ৪ অনুযায়ী কঠোর পরিবেশ–দূষণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছে।

এই ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—

জরুরি মালামাল পরিবহন ছাড়া কোনো ট্রাক দিল্লিতে প্রবেশ করতে পারবে না। সবজু জ্বালানি ব্যবহার করে এমন ট্রাকই শুধু প্রবেশের অনুমতি পাবে।

সব ধরনের নির্মাণ কার্যক্রম—হাইওয়ে, রাস্তা, ফ্লাইওভার, বিদ্যুৎ লাইন, পাইপলাইন এবং অন্যান্য জনসাধারণ প্রকল্প বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লির বায়ুদূষণ প্রধানত ফসলের খড় (নাড়া) পোড়ানো, যানবাহনের দূষণ এবং শিল্পাঞ্চলের ধোঁয়ার কারণে। শীতকালে তাপমাত্রা কমে গেলে ধোঁয়া ওপরের স্তরে উঠতে পারে না, ফলে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয় এবং দূষণ আরও তীব্র আকার ধারণ করে।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বর ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী সহকর্মীর সঙ্গে রাতযাপন: হাইটেক পার্কের ডিডি আতিক বরখাস্ত

বাংলাদেশসহ ৩ দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত সুইজারল্যান্ডের

বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ

পদ্মা সেতু ও ড. ইউনূসকে নিয়ে ভারত থেকে শেখ হাসিনার ভাষণ! ভাইরাল ভিডিওর পেছনের ঘটনা জানুন

২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন কর্মসূচি শুরু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত