অনলাইন ডেস্ক
গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তাঁর ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের জটিলতা বাড়তে থাকে। বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া সাময়িক বন্ধ রাখে ভারত। এরপর থেকে দেশটিতে বাংলাদেশি রোগী ও পর্যটকের সংখ্যা কমে আসতে থাকে। গত মাসে বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান ভারতের কিছু চিকিৎসক। পশ্চিমবঙ্গে হাসপাতাল ও চেম্বারে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে বয়কটের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অনেক চিকিৎসকই। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, কলকাতার হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীর মধ্যে হিন্দু রোগীর চেয়ে মুসলিম রোগীর সংখ্যা বেশি। ধর্ম-বর্ণ বা জাতিগত কোনো কারণে ভারতে চিকিৎসা নিতে আসা বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছেন ভারতের চিকিৎসকেরা।
আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালের কার্ডিওথোরাসিক ও হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন কে এম মান্দানা বলেন, ‘বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না করার প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের সঙ্গে তাঁদের বহু বছরের সম্পর্ক। বর্তমান অস্থিরতা এ সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমরা উদ্বিগ্ন, অনেক রোগী চিকিৎসা করতে আসতে পারছেন না। তাঁদের অবস্থা খারাপ থেকে আরও খারাপ হতে পারে।’
পিয়ারলেস হাসপাতালের প্রধান ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিস্ট অজয় সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশে যা ঘটছে তা উদ্বেগজনক। যে কোনো বিবেকবান সরকারের উচিত তাঁর প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা। এ বিষয়গুলো রাজনৈতিক, আমরা শপথ নিয়েছি সব রোগীকে সমানভাবে চিকিৎসা দেব।’
এএম ফার্টিলিটির বিশেষজ্ঞ কৌশিকি রায় বলেন, ‘বন্ধ্যাত্বের জন্য বাংলাদেশের অনেক নারী রোগী এখানে এসে নারী চিকিৎসককে দেখাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অনেকেই এখানে চিকিৎসা নিয়ে সন্তান ধারণ করেছেন। তাঁদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে সহায়তা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। যে কেউ আমাদের কাছ থেকে যত্ন নিতে আসে, তাঁরা সম্প্রদায় বা দেশ নির্বিশেষে রোগী।’
এ ছাড়া গতকাল বুধবার কলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) পশ্চিমবঙ্গ শাখা জানায়, তারা বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া বন্ধ করবে না। রোগীদের কোনো ধরনের হয়রানি হতে দেবে না। বাংলাদেশি রোগীদের প্রতি মানবিকতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে তাঁরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে আইএমএর পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদস্য চিকিৎসক এন কাঞ্জিলাল ও কৌশিক চৌধুরী বলেন, ‘চিকিৎসকদের কাছে রোগীর কোনো জাত, ধর্ম বা দেশের পরিচয় নেই। রোগীকে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া চিকিৎসকদের নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব। চিকিৎসা পরিষেবা নিতে পশ্চিমবঙ্গে আসা রোগীদের যথাযথ সেবা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা কোনো আপস করব না।’
চিকিৎসা খাতের ওপর কোনো অস্থিরতা বা রাজনৈতিক প্রভাব পড়তে দেওয়া হবে না বলে জানায় আইএমএ পশ্চিমবঙ্গ শাখা। তাঁরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবার উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চিকিৎসাসংক্রান্ত সহায়তা করতে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য একটি বিশেষ হেল্পলাইন চালুর ঘোষণাও দিয়েছে আইএমএ।
অন্যদিকে, বাংলাদেশি রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা পরিষেবায় ১০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন বেহালা বালানন্দ ব্রহ্মচারী হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার হাসপাতাল সুপার চিকিৎসক সুশান্ত সেনগুপ্ত ও ট্রাস্টের সম্পাদক দীপক সরকার।
গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তাঁর ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের জটিলতা বাড়তে থাকে। বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া সাময়িক বন্ধ রাখে ভারত। এরপর থেকে দেশটিতে বাংলাদেশি রোগী ও পর্যটকের সংখ্যা কমে আসতে থাকে। গত মাসে বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান ভারতের কিছু চিকিৎসক। পশ্চিমবঙ্গে হাসপাতাল ও চেম্বারে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে বয়কটের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অনেক চিকিৎসকই। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, কলকাতার হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীর মধ্যে হিন্দু রোগীর চেয়ে মুসলিম রোগীর সংখ্যা বেশি। ধর্ম-বর্ণ বা জাতিগত কোনো কারণে ভারতে চিকিৎসা নিতে আসা বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছেন ভারতের চিকিৎসকেরা।
আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালের কার্ডিওথোরাসিক ও হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন কে এম মান্দানা বলেন, ‘বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না করার প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের সঙ্গে তাঁদের বহু বছরের সম্পর্ক। বর্তমান অস্থিরতা এ সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমরা উদ্বিগ্ন, অনেক রোগী চিকিৎসা করতে আসতে পারছেন না। তাঁদের অবস্থা খারাপ থেকে আরও খারাপ হতে পারে।’
পিয়ারলেস হাসপাতালের প্রধান ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিস্ট অজয় সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশে যা ঘটছে তা উদ্বেগজনক। যে কোনো বিবেকবান সরকারের উচিত তাঁর প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা। এ বিষয়গুলো রাজনৈতিক, আমরা শপথ নিয়েছি সব রোগীকে সমানভাবে চিকিৎসা দেব।’
এএম ফার্টিলিটির বিশেষজ্ঞ কৌশিকি রায় বলেন, ‘বন্ধ্যাত্বের জন্য বাংলাদেশের অনেক নারী রোগী এখানে এসে নারী চিকিৎসককে দেখাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অনেকেই এখানে চিকিৎসা নিয়ে সন্তান ধারণ করেছেন। তাঁদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে সহায়তা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। যে কেউ আমাদের কাছ থেকে যত্ন নিতে আসে, তাঁরা সম্প্রদায় বা দেশ নির্বিশেষে রোগী।’
এ ছাড়া গতকাল বুধবার কলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) পশ্চিমবঙ্গ শাখা জানায়, তারা বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া বন্ধ করবে না। রোগীদের কোনো ধরনের হয়রানি হতে দেবে না। বাংলাদেশি রোগীদের প্রতি মানবিকতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে তাঁরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে আইএমএর পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদস্য চিকিৎসক এন কাঞ্জিলাল ও কৌশিক চৌধুরী বলেন, ‘চিকিৎসকদের কাছে রোগীর কোনো জাত, ধর্ম বা দেশের পরিচয় নেই। রোগীকে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া চিকিৎসকদের নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব। চিকিৎসা পরিষেবা নিতে পশ্চিমবঙ্গে আসা রোগীদের যথাযথ সেবা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা কোনো আপস করব না।’
চিকিৎসা খাতের ওপর কোনো অস্থিরতা বা রাজনৈতিক প্রভাব পড়তে দেওয়া হবে না বলে জানায় আইএমএ পশ্চিমবঙ্গ শাখা। তাঁরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবার উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চিকিৎসাসংক্রান্ত সহায়তা করতে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য একটি বিশেষ হেল্পলাইন চালুর ঘোষণাও দিয়েছে আইএমএ।
অন্যদিকে, বাংলাদেশি রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা পরিষেবায় ১০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন বেহালা বালানন্দ ব্রহ্মচারী হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার হাসপাতাল সুপার চিকিৎসক সুশান্ত সেনগুপ্ত ও ট্রাস্টের সম্পাদক দীপক সরকার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক আলোচনার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছেন ইউরোপের নেতারা। এই লক্ষ্যে আজ রোববার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার লন্ডনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
৩ ঘণ্টা আগে‘প্রেসিডেন্ট অ্যাট ওয়ার’ নামে নতুন একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কীভাবে একাধিক মার্কিন প্রেসিডেন্টের জীবন ও শাসনকে প্রভাবিত করেছিল, তা বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া বইটিতে জন এফ কেনেডির প্রেমজীবনের একটি বিতর্কিত অধ্যায় তুলে ধরেছেন লেখক স্টিভেন এম গিলন। ইনগা আরভাদ নামে একজন
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণ সীমান্তে আরও প্রায় ৩ হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে। গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন কমান্ড (নর্থকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দ্বিতীয় স্ট্রাইকার ব্রিগেড কমব্যাট টিম (এসবিসিটি) থেকে প্রায় ২ হাজার ৪০০ সেনা এবং তৃতীয় কমব্যাট এভিয়েশন ব্রিগেড থেকে ৫০০
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস ও বোস্টনে শত শত মানুষ ইউক্রেনের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। ভারমন্টের ওয়েটসফিল্ড শহরেও সমবেত হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স তাঁর পরিবার নিয়ে স্কি অবকাশযাপনে গিয়েছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে