Ajker Patrika

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদ জানাল আর্জেন্টিনা

অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই। ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই। ছবি: সংগৃহীত

দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট মিলেই নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে অগ্রাহ্য করেছে, বিশেষ করে হামাস ও হিজবুল্লাহর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আক্রমণের বিরুদ্ধে।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম বুয়েনস আয়ার্স টাইমস এক প্রতিবেদন এ খবর জানিয়েছে।

আর্জেন্টিনার সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্তের সঙ্গে আর্জেন্টিনা একমত নয়।

মিলেই আরও বলেছেন, ইসরায়েল এখনো নির্দয় আক্রমণের শিকার হচ্ছে। দেশটির নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে জিম্মি করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, একটি জাতির আইনগত প্রতিরক্ষার অধিকারকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে সন্ত্রাসী সংগঠনের নৃশংসতা উপেক্ষা করা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের মূল উদ্দেশ্যকে বিকৃত করা।

আইসিসি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্ট এবং হামাসের সামরিক প্রধান মুহাম্মদ দাইফের বিরুদ্ধে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের’ অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বলেছে, গাজাবাসীকে বেঁচে থাকার উপকরণ থেকে বঞ্চিত করে নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্ট মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ করেছেন।

আইসিসি পরোয়ানা জারির পর নেদারল্যান্ডস ও ইতালিসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপিয়ান দেশ জানিয়েছে, যদি নেতানিয়াহু তাদের দেশে প্রবেশ করে তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করে আইসিসির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র, হাঙ্গেরি এবং আর্জেন্টিনার মতো কয়েকটি বড় দেশ নেতানিয়াহুর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিয়েছে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেছেন তিনি নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ করে নিজ দেশে আনবেন।

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিজেকে ইসরায়েলপন্থি হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি দখলদার ইসরায়েলে সফর করেন এবং জেরুজালেমে আর্জেন্টিনার দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।

জন্মসূত্রে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান এবং এই ধর্মের রীতিনীতি মেনে বেড়ে উঠলেও ইহুদি ধর্মের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ আছে বলে দাবি করে থাকেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট। লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনায় সবচেয়ে বেশি ইহুদির বসবাস রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত