যুদ্ধবিরতিতে তোড়জোড়, লেবাননে মরছে শিশু

  • প্রতিদিন অন্তত একটি করে শিশু মারা যাচ্ছেন।
  • শর্ত সাপেক্ষে যুদ্ধবিরতির পক্ষে ইসরায়েল।
  • লেবানন ও হিজবুল্লাহও যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত।
এএফপি, জেরুজালেম
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০১: ২২
লেবাননে ইসরায়েলি হামলার পর ধোঁয়া উড়ছে একটি শহর থেকে। ছবি: আনাদোলু

ফিলিস্তিনের গাজার পরিণতির দিকে ধীরে ধীরে আগাচ্ছে লেবানন। সেখানে উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা ফাঁকা করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। এমনসব এলাকা ফাঁকা করতে বলা হয়েছে, যেখানে শরণার্থীশিবিরও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলা বৃদ্ধির পর এমন কোনো দিন নেই যে লেবাননে শিশু মারা যায়নি।

এদিকে লেবাননে যুদ্ধবিরতির কাজ এগিয়ে নিতে তোড়জোড় চলছে। এ নিয়ে আলোচনা করতে ইসরায়েলে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। এ ছাড়া শর্ত সাপেক্ষে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। এ ছাড়া নিরাপত্তা সাপেক্ষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েলও।

লেবাননের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার কথা বলেন জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের মহাপরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল। তিনি জানান, গত ৪ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন অন্তত একটি শিশু মারা যাচ্ছে। আর আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। চলমান এই যুদ্ধের কারণে লেবাননে শিশুদের জন্য একেবারে খাদের কিনারে এসে পৌঁছেছে।

এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদল ইসরায়েলে গেছে। গতকাল এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা। এর আগে গতকাল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, শর্ত সাপেক্ষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি তারা। ইসরায়েলে সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার সাপেক্ষে যুদ্ধবিরতির চুক্তির পক্ষে তিনি।

এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলেছেন হিজবুল্লাহর নতুন নেতা নাইম কাশেম। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট শর্ত পূরণের ভিত্তিতে তাঁরা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে পারেন। হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্রমাগত ইসরায়েলি বোমা হামলা চলার মধ্যে গত বুধবার এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, মাসের পর মাস ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলা প্রতিরোধ করে যাওয়ার মতো সক্ষমতা হিজবুল্লাহর আছে। তবে ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, তবে দরজা খোলা আছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলেছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। এক সাক্ষাৎকারে মিকাতি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দূত আমোস হোচেস্টেইন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে হয়তো ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের দিনগুলোতে আমরা একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে পারব।’

এর আগে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিয়ে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে।

প্রতিবেদন অনুসারে, লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা, সেনা কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দূত আমোস হচস্টেইনের ইসরায়েলে আসন্ন সফর ইঙ্গিত দেয় যে নেতানিয়াহু চুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সমর্থন করছেন এবং হচস্টেইন ইসরায়েলে যাওয়ার আগে ইসরায়েলিরা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় তার অপেক্ষায় ছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত