অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন গড়িয়েছে ১২০ দিনে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে অঞ্চলটিতে অন্তত ৯৪ হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে নিহত ২৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি। গাজা প্রশাসনের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজা প্রশাসন স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৩৬৫ জনে। নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি শিশু ও নারী। এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে আরও ৬৬ হাজার ৬৩০ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৯৩ হাজার ৯৯৫ জন হতাহত হয়েছে।
এদিকে, টানা প্রায় চার মাসের ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। এসব হামলায় ২৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে অন্তত ১৭ হাজার শিশু অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
অবরুদ্ধ গাজার প্রায় সব শিশুরই মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তার দরকার বলে ইউনিসেফের ফিলিস্তিন বিষয়ক মুখপাত্র জনাথান ক্রিক্স জানান। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক শিশুরই স্বজন হারানোর ও ভোগান্তির হৃদয়বিদারক গল্প আছে।’
জেরুজালেম থেকে ভিডিও বার্তায় ক্রিক্স বলেন, ‘এই (১৭ হাজার) সংখ্যাটি সামগ্রিক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির, যা প্রায় ১৭ লাখ বা এক শতাংশের সমান।’ তবে এ সংখ্যাকে ‘কেবল অনুমান’ বলছেন তিনি। কারণ বিরাজমান পরিস্থিতিতে প্রকৃত সংখ্যা যাচাই করা প্রায় অসম্ভব।
ক্রিক্সকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরার বলছে, প্রতিটি শিশুই ভয়াবহ এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে। অভিভাবকহীন শিশু শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ হাসপাতালে আনা আহত শিশুরা নিজের নামটিও বলতে পারে না।
সংঘাতের সময় মা–বাবা হারা শিশুদের পরিবারের অন্য সদস্যরা দেখাশোনা করে থাকেন। ক্রিক্স বলেন, ‘গাজায় খাবার, পানি ও আশ্রয়ের অভাবে স্বজনেরা নিজেই দুর্দশার মধ্যে দিন পার করছেন। যেখানে তারা নিজের সন্তানের দেখাশোনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে অন্য শিশুর দায়িত্ব নেওয়া তাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং।’ মা–বাবা হারা শিশুদের ইউনিসেফ বিচ্ছিন্ন শিশু বলে উল্লেখ করেছে এবং যে শিশুদের মা–বাবাও নেই ও কোনো স্বজনও নেই তাদের অভিভাবকহীন শিশু বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ক্রিক্স আরও বলেন, সংঘাতের কারণে গাজার শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে এবং দশ লাখেরও বেশি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা প্রয়োজন। গাজার শিশুদের মধ্যে বেশ কয়েকটি উপসর্গ দেখা দিয়েছে—উচ্চমাত্রায় উদ্বেগ, ক্ষুধামন্দা, অনিদ্রা, বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনলেই তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং হঠাৎই তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে।
ইউনিসেফ বলছে, সংঘাতের মাত্রা বাড়ার আগে গাজায় প্রায় পাঁচ লাখ শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ও মনো–সামাজিক সহায়তা প্রয়োজন ছিল। তবে, এখন ইউনিসেফের অনুমান প্রায় সব শিশুরই এ ধরনের সহায়তা প্রয়োজন। ক্রিক্স বলছেন, এমন প্রায় দশ লাখেরও বেশি শিশু রয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন গড়িয়েছে ১২০ দিনে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে অঞ্চলটিতে অন্তত ৯৪ হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে নিহত ২৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি। গাজা প্রশাসনের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজা প্রশাসন স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৩৬৫ জনে। নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি শিশু ও নারী। এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে আরও ৬৬ হাজার ৬৩০ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৯৩ হাজার ৯৯৫ জন হতাহত হয়েছে।
এদিকে, টানা প্রায় চার মাসের ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। এসব হামলায় ২৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে অন্তত ১৭ হাজার শিশু অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
অবরুদ্ধ গাজার প্রায় সব শিশুরই মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তার দরকার বলে ইউনিসেফের ফিলিস্তিন বিষয়ক মুখপাত্র জনাথান ক্রিক্স জানান। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক শিশুরই স্বজন হারানোর ও ভোগান্তির হৃদয়বিদারক গল্প আছে।’
জেরুজালেম থেকে ভিডিও বার্তায় ক্রিক্স বলেন, ‘এই (১৭ হাজার) সংখ্যাটি সামগ্রিক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির, যা প্রায় ১৭ লাখ বা এক শতাংশের সমান।’ তবে এ সংখ্যাকে ‘কেবল অনুমান’ বলছেন তিনি। কারণ বিরাজমান পরিস্থিতিতে প্রকৃত সংখ্যা যাচাই করা প্রায় অসম্ভব।
ক্রিক্সকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরার বলছে, প্রতিটি শিশুই ভয়াবহ এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে। অভিভাবকহীন শিশু শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ হাসপাতালে আনা আহত শিশুরা নিজের নামটিও বলতে পারে না।
সংঘাতের সময় মা–বাবা হারা শিশুদের পরিবারের অন্য সদস্যরা দেখাশোনা করে থাকেন। ক্রিক্স বলেন, ‘গাজায় খাবার, পানি ও আশ্রয়ের অভাবে স্বজনেরা নিজেই দুর্দশার মধ্যে দিন পার করছেন। যেখানে তারা নিজের সন্তানের দেখাশোনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে অন্য শিশুর দায়িত্ব নেওয়া তাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং।’ মা–বাবা হারা শিশুদের ইউনিসেফ বিচ্ছিন্ন শিশু বলে উল্লেখ করেছে এবং যে শিশুদের মা–বাবাও নেই ও কোনো স্বজনও নেই তাদের অভিভাবকহীন শিশু বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ক্রিক্স আরও বলেন, সংঘাতের কারণে গাজার শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে এবং দশ লাখেরও বেশি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা প্রয়োজন। গাজার শিশুদের মধ্যে বেশ কয়েকটি উপসর্গ দেখা দিয়েছে—উচ্চমাত্রায় উদ্বেগ, ক্ষুধামন্দা, অনিদ্রা, বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনলেই তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং হঠাৎই তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে।
ইউনিসেফ বলছে, সংঘাতের মাত্রা বাড়ার আগে গাজায় প্রায় পাঁচ লাখ শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ও মনো–সামাজিক সহায়তা প্রয়োজন ছিল। তবে, এখন ইউনিসেফের অনুমান প্রায় সব শিশুরই এ ধরনের সহায়তা প্রয়োজন। ক্রিক্স বলছেন, এমন প্রায় দশ লাখেরও বেশি শিশু রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় হ্যারিসন ‘সোনালি বাহুর অধিকারী মানুষ’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর রক্তে বিরল একটি অ্যান্টিবডি (অ্যান্টি-ডি) ছিল। এই অ্যান্টিবডি এমন ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হতো, যা গর্ভবতী মায়েদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়। মূলত যেসব মায়ের রক্ত অনাগত শিশুর রক্তের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ তাঁদের শরীরেই এই ওষুধটি দেওয়া
২ ঘণ্টা আগেএখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত প্রতারিত নারীর তথ্য পেয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের বয়ান ও স্বাধীনভাবে তদন্তের পর এই ইস্যু নিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সিরিজ ‘স্পাই কপস’ প্রচার শুরু করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি। আর এরপরই এ নিয়ে শুরু হয়
২ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘নাৎসি’ আখ্যা দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তিনি বলেছেন, ইহুদি জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন জেলেনস্কি। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গণমাধ্যম ক্রাসনায়া জভেজদাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বলেন লাভরভ। জেলেনস্কি রুশ সংস্কৃতিকে সম্মান করেন না বলে
৩ ঘণ্টা আগেগাজা ইস্যুতে আবারও জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে আরব দেশগুলো। আগামীকাল মঙ্গলবার কায়রোতে অনুষ্ঠিত হবে বৈঠক। আলোচনা হবে, যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের হুমকি, মার্কিন প্রেসিডেন্টের গাজা দখল সংক্রান্ত হুমকিসহ ফিলিস্তিনের সার্বিক ইস্যু নিয়েই।
৩ ঘণ্টা আগে