অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের তীব্র ও বজ্রগতির আক্রমণের মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের সুবিধা ভালোমতোই নিয়েছে ইসরায়েল। টানা কয়েক দিন সিরিয়ায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পুরোটাই প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। এবার ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছে ও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বিশ্বাস করে যে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের মিত্র গোষ্ঠীগুলোর দুর্বলতা এবং সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকারের নাটকীয় পতনের পর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর আঘাত হানার মোক্ষম সুযোগ তৈরি হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা জানান, ইসরায়েলি বিমানবাহিনী (আইএএফ) সেই সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতির জন্য নিজেদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে। আইডিএফ আরও বিশ্বাস করে যে, আসাদ সরকারের পতন এবং লেবাননে ইরানের প্রধান মিত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর দুর্বলতার পর ইরান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং সেই শূন্যতা পূরণের চেষ্টা হিসেবে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি আরও এগিয়ে নিতে পারে এবং একটি বোমা তৈরি করতে পারে।
ইরান বরাবরই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে, তাদের মহাকাশ কর্মসূচি এবং পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ নাগরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইরান ২০০৩ সাল পর্যন্ত একটি সংগঠিত সামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে এসেছে এবং এর পর নাগরিক প্রয়োজনীয়তার বাইরে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েল দাবি করে যে, ইরান কখনোই তাদের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি পুরোপুরি ত্যাগ করেনি এবং তাদের অনেক পারমাণবিক স্থাপনা শক্তভাবে সুরক্ষিত পর্বতের নিচে অবস্থিত।
ইসরায়েলকে চিরশত্রু মনে করে ইরান এবং দেশটি প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত বছর ইরান দুবার ইসরায়েলের ওপর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার জবাবে ইসরায়েল তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন প্রতিরোধ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ইরানের উভয় হামলার প্রতিশোধে ইসরায়েল গুরুত্বপূর্ণ ইরানি সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হেনেছে। এই হামলাগুলো ইরানি সন্ত্রাসী মিত্রদের দ্বারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি বহুমুখী যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছে।
আইএএফ জানিয়েছে, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ার আকাশসীমায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে ইরানের অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের পর তারা ওই এলাকায় সম্পূর্ণ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। সিরিয়ার ওপর এই শ্রেষ্ঠত্ব আইএএফের বিমানগুলোকে ইরানে আঘাত হানার জন্য আরও নিরাপদ পথে চলাচল করার সুযোগ করে দেবে বলে জানিয়েছেন তেল আবিবের সামরিক কর্মকর্তারা বলেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে সিরিয়াজুড়ে ইসরায়েলের পরিচালিত ব্যাপক বোমা হামলা সিরিয়া অধিকাংশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সামরিক সূত্রমতে, আইএএফ সিরিয়ার আসাদ সরকারের সাবেক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ৮৬ শতাংশ ধ্বংস করেছে। এতে ১০৭টি পৃথক প্রতিরক্ষা ইউনিট এবং ৪৭টি রাডার অন্তর্ভুক্ত। ইসরায়েলের ধ্বংস করা সামরিক শক্তির তালিকায় স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার এসএ-২২ (যা পান্তশির-এস ১ নামে পরিচিত) এবং রুশ এসএ-১৭ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত। রাশিয়ার তৈরি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আইএএফের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল।
বর্তমানে সিরিয়ায় মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অবশিষ্ট আছে, যা আইএএফের জন্য বড় কোনো হুমকি নয়। আইএএফ বলেছে, তারা সিরিয়ার আকাশে অবাধে কার্যক্রম চালাতে পারবে। এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, ‘সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী ছিল এবং এর ওপর আঘাত আইএএফের আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।’
এই নতুন আকাশসীমায় কার্যক্রমের স্বাধীনতা ইরানে সম্ভাব্য হামলার সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি আইএএফকে সিরিয়ায় নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। আগে যখন আইএএফ সিরিয়ায় ইরান-সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাত তখন তারা সরাসরি দামেস্কের ওপর দিয়ে উড়তে পারত না। তবে এখন এটি সম্ভব। আইএএফ এখন সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ওপর নজরদারি ড্রোনও পাঠাতে পারে কোনো ভয় ছাড়াই।
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের তীব্র ও বজ্রগতির আক্রমণের মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের সুবিধা ভালোমতোই নিয়েছে ইসরায়েল। টানা কয়েক দিন সিরিয়ায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পুরোটাই প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। এবার ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছে ও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বিশ্বাস করে যে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের মিত্র গোষ্ঠীগুলোর দুর্বলতা এবং সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকারের নাটকীয় পতনের পর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর আঘাত হানার মোক্ষম সুযোগ তৈরি হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা জানান, ইসরায়েলি বিমানবাহিনী (আইএএফ) সেই সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতির জন্য নিজেদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে। আইডিএফ আরও বিশ্বাস করে যে, আসাদ সরকারের পতন এবং লেবাননে ইরানের প্রধান মিত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর দুর্বলতার পর ইরান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং সেই শূন্যতা পূরণের চেষ্টা হিসেবে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি আরও এগিয়ে নিতে পারে এবং একটি বোমা তৈরি করতে পারে।
ইরান বরাবরই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে, তাদের মহাকাশ কর্মসূচি এবং পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ নাগরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইরান ২০০৩ সাল পর্যন্ত একটি সংগঠিত সামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে এসেছে এবং এর পর নাগরিক প্রয়োজনীয়তার বাইরে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েল দাবি করে যে, ইরান কখনোই তাদের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি পুরোপুরি ত্যাগ করেনি এবং তাদের অনেক পারমাণবিক স্থাপনা শক্তভাবে সুরক্ষিত পর্বতের নিচে অবস্থিত।
ইসরায়েলকে চিরশত্রু মনে করে ইরান এবং দেশটি প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত বছর ইরান দুবার ইসরায়েলের ওপর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার জবাবে ইসরায়েল তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন প্রতিরোধ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ইরানের উভয় হামলার প্রতিশোধে ইসরায়েল গুরুত্বপূর্ণ ইরানি সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হেনেছে। এই হামলাগুলো ইরানি সন্ত্রাসী মিত্রদের দ্বারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি বহুমুখী যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছে।
আইএএফ জানিয়েছে, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ার আকাশসীমায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে ইরানের অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের পর তারা ওই এলাকায় সম্পূর্ণ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। সিরিয়ার ওপর এই শ্রেষ্ঠত্ব আইএএফের বিমানগুলোকে ইরানে আঘাত হানার জন্য আরও নিরাপদ পথে চলাচল করার সুযোগ করে দেবে বলে জানিয়েছেন তেল আবিবের সামরিক কর্মকর্তারা বলেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে সিরিয়াজুড়ে ইসরায়েলের পরিচালিত ব্যাপক বোমা হামলা সিরিয়া অধিকাংশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সামরিক সূত্রমতে, আইএএফ সিরিয়ার আসাদ সরকারের সাবেক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ৮৬ শতাংশ ধ্বংস করেছে। এতে ১০৭টি পৃথক প্রতিরক্ষা ইউনিট এবং ৪৭টি রাডার অন্তর্ভুক্ত। ইসরায়েলের ধ্বংস করা সামরিক শক্তির তালিকায় স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার এসএ-২২ (যা পান্তশির-এস ১ নামে পরিচিত) এবং রুশ এসএ-১৭ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত। রাশিয়ার তৈরি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আইএএফের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল।
বর্তমানে সিরিয়ায় মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অবশিষ্ট আছে, যা আইএএফের জন্য বড় কোনো হুমকি নয়। আইএএফ বলেছে, তারা সিরিয়ার আকাশে অবাধে কার্যক্রম চালাতে পারবে। এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, ‘সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী ছিল এবং এর ওপর আঘাত আইএএফের আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।’
এই নতুন আকাশসীমায় কার্যক্রমের স্বাধীনতা ইরানে সম্ভাব্য হামলার সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি আইএএফকে সিরিয়ায় নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। আগে যখন আইএএফ সিরিয়ায় ইরান-সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাত তখন তারা সরাসরি দামেস্কের ওপর দিয়ে উড়তে পারত না। তবে এখন এটি সম্ভব। আইএএফ এখন সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ওপর নজরদারি ড্রোনও পাঠাতে পারে কোনো ভয় ছাড়াই।
সাংবাদিকতার জন্য বিশ্বে সবচেয়ে বিপজ্জনক বছরগুলোর একটি হয়ে উঠেছে ২০২৪ সাল। আজ বৃহস্পতিবার রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) প্রকাশিত তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মৃত্যুর শিকার সাংবাদিকদের এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। এই ভয়াবহ তথ্য স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর চলমান...
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট রুভেন রিভলিন দাবি করেছেন, প্রয়াত ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথ মনে করতেন—প্রত্যেক ইসরায়েলিই হয় সন্ত্রাসী নয়তো সন্ত্রাসীদের বংশধর। গত রোববার লন্ডনে ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিওন-ইসরায়েল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ১০০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন...
২ ঘণ্টা আগেএক বছরেরও বেশি সময় ধরে আপত্তি জানানোর পর হামাস অবশেষে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি দাবি মেনে নিয়েছে। এই চুক্তির শর্ত অনুসারে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী আইডিএফ সাময়িকভাবে গাজায় অবস্থান করবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল আজ বৃহস্পতিবার আরব...
২ ঘণ্টা আগেডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৪ সালে এই প্রাপ্তির জন্য তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার টাইম ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক স্যাম জ্যাকবস তাঁর পাঠকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে বলেন, ‘ঐতিহাসিক পুনরুত্থান,
২ ঘণ্টা আগে