অনলাইন ডেস্ক
গাজার জন্য যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনার প্রশ্নে সরকারের ব্যর্থতার জন্য খোলাখুলি হতাশা প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মধ্যে সামরিক অভিযানের দিকনির্দেশনা নিয়ে বিভক্তির এক বিরল প্রকাশ ঘটিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আক্রমণ করে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে কেমন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নেতানিয়াহুর কাছ থেকে কোনো দিকনির্দেশনা আসেনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তিনি জনসমক্ষে ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন যে, গাজায় বেসামরিক ও সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো পরিকল্পনা নেই ইসরায়েলের। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত অক্টোবর থেকেই আমি মন্ত্রিসভায় বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে উত্থাপন করছি, কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।’
ইয়োভ গ্যালান্টের মন্তব্যের বিষয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নেতানিয়াহু। প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এবং ফাতাহকে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘ফাতাহস্তানের জন্য হামাস্তান’ বিনিময় করতে তিনি প্রস্তুত নন।
ইয়োভ গ্যালান্ট সতর্ক করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তহীনতা গাজায় কেবল দুটি খারাপ বিকল্প রেখে যাবে: হামাস শাসন বা ইসরায়েলি সামরিক শাসন। এ ঘটনা আমাদের সামরিক অর্জনগুলোকে ক্ষয় করবে, হামাসের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি কাঠামো অর্জনের সম্ভাবনাকেও ধ্বংস করবে।’
ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য বেনি গান্টজ সম্মতি দিয়েছেন ইয়োভ গ্যালান্টের কথায়। নেতানিয়াহুর বিপক্ষে আগেও মত দিয়েছেন গান্টজ। এবার তিনি বলেছেন, ‘গ্যালান্ট সত্যি কথাই বলেছে। যে কোনো মূল্যে দেশের জন্য সঠিক কাজ করা নেতৃত্বের দায়িত্ব।’
গত অক্টোবরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের আক্রমণের পরপরই অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে ইসরায়েলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা পরিকল্পনায় বলেছিল যে, ফিলিস্তিনে একটি স্থানীয় এবং অনুকূল ফিলিস্তিনি শাসক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আর সেই প্রস্তাবগুলো নিয়ে কখনো বিতর্ক হয়নি, কোনো বিকল্পও উপস্থাপন করা হয়নি।
ইয়োভ গ্যালান্ট আরও বলেন, একটি পরিকল্পনা নির্ধারণে ব্যর্থতা ইসরায়েলকে বিপজ্জনক পথে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাকে আবার বলতে হবে যে, আমি গাজায় ইসরায়েলি সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠায় রাজি হব না। ইসরায়েল গাজায় বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করবে না। আমি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং ঘোষণার আহ্বান জানাই যে, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নিয়ন্ত্রণ বা সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করবে না এবং গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে হামাসের একটি বিকল্প শাসক প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে সম্প্রতি বলা হয়েছে যে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার জন্য একটি কার্যকর পরিকল্পনার অভাব সম্পর্কে সামরিক নেতাদের মধ্যে গুরুতর বিভাজন রয়েছে। ইয়োভ গ্যালান্টের সাম্প্রতিক মন্তব্য সেই বিভাজনকেই প্রকাশ্যে এনেছে।
গাজার জন্য যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনার প্রশ্নে সরকারের ব্যর্থতার জন্য খোলাখুলি হতাশা প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মধ্যে সামরিক অভিযানের দিকনির্দেশনা নিয়ে বিভক্তির এক বিরল প্রকাশ ঘটিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আক্রমণ করে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে কেমন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নেতানিয়াহুর কাছ থেকে কোনো দিকনির্দেশনা আসেনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তিনি জনসমক্ষে ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন যে, গাজায় বেসামরিক ও সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো পরিকল্পনা নেই ইসরায়েলের। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত অক্টোবর থেকেই আমি মন্ত্রিসভায় বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে উত্থাপন করছি, কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।’
ইয়োভ গ্যালান্টের মন্তব্যের বিষয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নেতানিয়াহু। প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এবং ফাতাহকে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘ফাতাহস্তানের জন্য হামাস্তান’ বিনিময় করতে তিনি প্রস্তুত নন।
ইয়োভ গ্যালান্ট সতর্ক করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তহীনতা গাজায় কেবল দুটি খারাপ বিকল্প রেখে যাবে: হামাস শাসন বা ইসরায়েলি সামরিক শাসন। এ ঘটনা আমাদের সামরিক অর্জনগুলোকে ক্ষয় করবে, হামাসের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি কাঠামো অর্জনের সম্ভাবনাকেও ধ্বংস করবে।’
ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য বেনি গান্টজ সম্মতি দিয়েছেন ইয়োভ গ্যালান্টের কথায়। নেতানিয়াহুর বিপক্ষে আগেও মত দিয়েছেন গান্টজ। এবার তিনি বলেছেন, ‘গ্যালান্ট সত্যি কথাই বলেছে। যে কোনো মূল্যে দেশের জন্য সঠিক কাজ করা নেতৃত্বের দায়িত্ব।’
গত অক্টোবরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের আক্রমণের পরপরই অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে ইসরায়েলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা পরিকল্পনায় বলেছিল যে, ফিলিস্তিনে একটি স্থানীয় এবং অনুকূল ফিলিস্তিনি শাসক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আর সেই প্রস্তাবগুলো নিয়ে কখনো বিতর্ক হয়নি, কোনো বিকল্পও উপস্থাপন করা হয়নি।
ইয়োভ গ্যালান্ট আরও বলেন, একটি পরিকল্পনা নির্ধারণে ব্যর্থতা ইসরায়েলকে বিপজ্জনক পথে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাকে আবার বলতে হবে যে, আমি গাজায় ইসরায়েলি সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠায় রাজি হব না। ইসরায়েল গাজায় বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করবে না। আমি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং ঘোষণার আহ্বান জানাই যে, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নিয়ন্ত্রণ বা সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করবে না এবং গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে হামাসের একটি বিকল্প শাসক প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে সম্প্রতি বলা হয়েছে যে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার জন্য একটি কার্যকর পরিকল্পনার অভাব সম্পর্কে সামরিক নেতাদের মধ্যে গুরুতর বিভাজন রয়েছে। ইয়োভ গ্যালান্টের সাম্প্রতিক মন্তব্য সেই বিভাজনকেই প্রকাশ্যে এনেছে।
বিচ্ছিন্ন একটি ঘোড়ার মাথা এবং পেটের বাচ্চাসহ কেটে ফেলা একটি মৃত গরু খুঁজে পাওয়া গেছে ইতালির সিসিলির এক শহরে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। এদিকে কর্তৃপক্ষ একে দেখছে মাফিয়ার পাঠানো এক হুমকি বা সতর্ক সংকেত হিসেবে।
৫ মিনিট আগেগরিব দেশগুলোকে ধনী দেশগুলোর তরফ থেকে কী পরিমাণ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে সে বিষয়টি নিয়ে সম্মেলনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। টানা ৩৩ ঘণ্টা বন্ধ ছিল এই আলোচনা। অবশেষে ভেঙে পড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ধনী দেশগুলো এই পরিমাণ অর্থ দিতে সম্মত হয়। এই বিষয়ে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্রধান সাইমন স্টিয়েল বলেন, ‘এটি কঠিন পথ ছিল
১৮ মিনিট আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তাঁর দেশের হাতে ‘ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত’ নতুন ধরনের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র মজুত আছে। এই ‘ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র’কে বাধা দেওয়া যায় না। ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এক দিন পর গত শুক্রবার এক অনির্ধারিত টেলিভিশন ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগেইয়াসমিন ঈদ বলেন, ‘আমার মেয়েরা ক্ষুধার তাড়নায় তাদের আঙুল চুষে, আর আমি তাদের পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াই।’ গাজায় দখলদার ইসরায়েলের চলমান হামলায় জীবনযাপন অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠছে। খাবারের অভাবে অনেক মানুষ দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছেন।
৪ ঘণ্টা আগে