অনলাইন ডেস্ক
হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ হত্যাকাণ্ড বিনা জবাবে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এ ঘটনায় পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভা ডাকার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নাসরুল্লাহ হত্যাকাণ্ডকে ‘ঐতিহাসিক মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ন্যায়বিচারমূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করা দৃশ্যত হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলের জন্য একটি বড় অগ্রগতি। এটি সম্ভবত অঞ্চলটিকে আরও বিস্তৃত ও বিপজ্জনক সংঘাতের আরেক ধাপ কাছে নিয়ে গেছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয়কেই এই সংঘাতে আরও জোরালোভাবে টেনে আনতে পারে।
১৯৯২ সাল থেকে হিজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ। গত শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ)। একের পর এক আঘাতে জর্জর হিজবুল্লাহ। এক ডজনের বেশি শীর্ষপর্যায়ের কমান্ডারের হত্যাকাণ্ডে দলটির কমান্ড কাঠামো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায় এর যোগাযোগকাঠামো এবং বিমান হামলায় বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মেদ আল বাশা বলেন, হাসান নাসরুল্লাহকে হারানোর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে। গোষ্ঠীটি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কার পাশাপাশি স্বল্প মেয়াদে তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলের পরিবর্তন হবে। তবে তারা হুট করে সবকিছু ক্ষান্ত দেবে এমন প্রত্যাশা কিংবা ইসরায়েলের প্রত্যাশিত ‘শান্তির পথে’ আসবে, তা সম্ভবত হবে না।
হিজবুল্লাহ ইতিমধ্যেই লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। দলটির হাজার হাজার যোদ্ধা আছে। তাদের অনেকেরই সিরিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা আছে এবং তারা প্রতিশোধ গ্রহণের দাবি করেছে। দলটির এখনো যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র আছে। এর অনেকগুলোই আবার দূরপাল্লার। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার মতো অস্ত্র আছে, যা তেল আবিব ও অন্য শহরগুলোতে পৌঁছাতে পারে।
নিজেরা আরও ধ্বংসের লক্ষ্যে পরিণত হওয়া বা নিশ্চিহ্ন হওয়ার আগে সেগুলো ব্যবহারের জন্য গোষ্ঠীটির ভেতরে চাপ বাড়ছে। কিন্তু ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে তারা সেটি যদি করে এবং তাতে বেসামরিক নাগরিক হতাহত হলে ইসরায়েলের জবাব হতে পারে আরও ভয়াবহ। তাতে লেবাননের অবকাঠামো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে। এমনকি সেটি ইরান পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ হিজবুল্লাহর মতো ইরানের জন্যও একটি বড় ধাক্কা। দেশটি ইতিমধ্যেই পাঁচ দিনের শোক ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া তাদের নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকেও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গোপন জায়গায় সরিয়ে নিয়েছে। তেহরানের গেস্টহাউসে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার অপমানজনক হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ তেহরান এখনো নিতে পারেনি। তবে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের বেশ কিছু সশস্ত্র সহযোগী গোষ্ঠী আছে।
হিজবুল্লাহর মতো ইয়েমেনে আছে হুতি বাহিনী। ইরাক ও সিরিয়ায় আছে আরও কয়েকটি গোষ্ঠী। ইরান এসব গোষ্ঠীকে ইসরায়েলে এবং ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে হামলা করতে বলতে পারে। কিন্তু যে পদক্ষেপই ইরান নিক না কেন, সেটি হবে যুদ্ধের জন্য বন্দুকে চাপ দেওয়ার মতো, যাতে তারা জয়ের খুব একটা আশা করতে পারে না। নাসরুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের আগে এ নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ থাকলেও এখন আর তা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২টি দেশ ২১ দিনের যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, সে অনুযায়ী সামরিক অভিযান বন্ধের কোনো লক্ষ্য ইসরায়েলের নেই। তাদের সামরিক বাহিনী মনে করে, হিজবুল্লাহ এখন ব্যাকফুটে। সুতরাং, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত লেবাননে হামলা অব্যাহত রাখতে চায় তেল আবিব।
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:
হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ হত্যাকাণ্ড বিনা জবাবে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এ ঘটনায় পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভা ডাকার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নাসরুল্লাহ হত্যাকাণ্ডকে ‘ঐতিহাসিক মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ন্যায়বিচারমূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করা দৃশ্যত হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলের জন্য একটি বড় অগ্রগতি। এটি সম্ভবত অঞ্চলটিকে আরও বিস্তৃত ও বিপজ্জনক সংঘাতের আরেক ধাপ কাছে নিয়ে গেছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয়কেই এই সংঘাতে আরও জোরালোভাবে টেনে আনতে পারে।
১৯৯২ সাল থেকে হিজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ। গত শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ)। একের পর এক আঘাতে জর্জর হিজবুল্লাহ। এক ডজনের বেশি শীর্ষপর্যায়ের কমান্ডারের হত্যাকাণ্ডে দলটির কমান্ড কাঠামো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায় এর যোগাযোগকাঠামো এবং বিমান হামলায় বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মেদ আল বাশা বলেন, হাসান নাসরুল্লাহকে হারানোর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে। গোষ্ঠীটি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কার পাশাপাশি স্বল্প মেয়াদে তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলের পরিবর্তন হবে। তবে তারা হুট করে সবকিছু ক্ষান্ত দেবে এমন প্রত্যাশা কিংবা ইসরায়েলের প্রত্যাশিত ‘শান্তির পথে’ আসবে, তা সম্ভবত হবে না।
হিজবুল্লাহ ইতিমধ্যেই লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। দলটির হাজার হাজার যোদ্ধা আছে। তাদের অনেকেরই সিরিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা আছে এবং তারা প্রতিশোধ গ্রহণের দাবি করেছে। দলটির এখনো যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র আছে। এর অনেকগুলোই আবার দূরপাল্লার। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার মতো অস্ত্র আছে, যা তেল আবিব ও অন্য শহরগুলোতে পৌঁছাতে পারে।
নিজেরা আরও ধ্বংসের লক্ষ্যে পরিণত হওয়া বা নিশ্চিহ্ন হওয়ার আগে সেগুলো ব্যবহারের জন্য গোষ্ঠীটির ভেতরে চাপ বাড়ছে। কিন্তু ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে তারা সেটি যদি করে এবং তাতে বেসামরিক নাগরিক হতাহত হলে ইসরায়েলের জবাব হতে পারে আরও ভয়াবহ। তাতে লেবাননের অবকাঠামো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে। এমনকি সেটি ইরান পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ হিজবুল্লাহর মতো ইরানের জন্যও একটি বড় ধাক্কা। দেশটি ইতিমধ্যেই পাঁচ দিনের শোক ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া তাদের নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকেও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গোপন জায়গায় সরিয়ে নিয়েছে। তেহরানের গেস্টহাউসে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার অপমানজনক হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ তেহরান এখনো নিতে পারেনি। তবে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের বেশ কিছু সশস্ত্র সহযোগী গোষ্ঠী আছে।
হিজবুল্লাহর মতো ইয়েমেনে আছে হুতি বাহিনী। ইরাক ও সিরিয়ায় আছে আরও কয়েকটি গোষ্ঠী। ইরান এসব গোষ্ঠীকে ইসরায়েলে এবং ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে হামলা করতে বলতে পারে। কিন্তু যে পদক্ষেপই ইরান নিক না কেন, সেটি হবে যুদ্ধের জন্য বন্দুকে চাপ দেওয়ার মতো, যাতে তারা জয়ের খুব একটা আশা করতে পারে না। নাসরুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের আগে এ নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ থাকলেও এখন আর তা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২টি দেশ ২১ দিনের যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, সে অনুযায়ী সামরিক অভিযান বন্ধের কোনো লক্ষ্য ইসরায়েলের নেই। তাদের সামরিক বাহিনী মনে করে, হিজবুল্লাহ এখন ব্যাকফুটে। সুতরাং, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত লেবাননে হামলা অব্যাহত রাখতে চায় তেল আবিব।
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:
কানাডা সরকারের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, অমিত শাহ কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লক্ষ্য করে সহিংসতা ও ভয় দেখানোর ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছেন। এ সংক্রান্ত প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
১ ঘণ্টা আগেসর্বনিম্ন মজুরির পরিমাণ বাড়িয়েছে ব্রিটিশ সরকার। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে এই নতুন সর্বনিম্ন মজুরি কার্যকর হবে। ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী বা চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার র্যাচেল রিভস আজ বুধবার এই ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইট থেকে এই তথ্য জানা
১ ঘণ্টা আগেএকটি মানব পাচার চক্র ভেঙে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ। দেশটির দক্ষিণ আচেহকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হতো এই মানবপাচার চক্রটি। এরা অবৈধভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আচেহের বাসিন্দাদের প্রতিবেশী দেশগুলো, বিশেষ করে মালয়েশিয়ায় পাচার করছিল। এই চক্রটির বিস্তৃতি আছে বাংলাদেশেও
২ ঘণ্টা আগেগত সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের ১৪৫ জন নাগরিককে দীর্ঘ মেয়াদে বসবাসের জন্য ভিসা দিয়েছে ভারত। সাধারণত এসব দীর্ঘমেয়াদি ভিসার মেয়াদ হয় পাঁচ বছর। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য হিন্দুকে এই তথ্য জানিয়েছেন
২ ঘণ্টা আগে