ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ১২: ৩৫
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, ১২: ৪২

আইনি সংস্কার পরিকল্পনার প্রতিবাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েলের তেল আবিব। এতে অংশ নিয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। কেউ কেউ বলছে, ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ এটি।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ১০ সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলজুড়ে চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। হাইফা শহরে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। আর তেল আবিবে বিক্ষোভে জড়ো হন ২ লাখের বেশি মানুষ।

নতুন আইনি সংস্কার গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মনে করছেন সমালোচকেরা। তবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার বলছে, পরিকল্পিত পরিবর্তন জনগণের জন্য কল্যাণের।

ইসরায়েলের নতুন সরকার সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের যেকোনো সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে বদলে দেওয়ার ক্ষমতার বিষয়ে প্রস্তাব এনেছে। একই সঙ্গে বিচারক নিয়োগের ক্ষমতাও পার্লামেন্টের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে নেতানিয়াহু সরকার। এরই জেরে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। বিরোধীদের দাবি, আইনি সংস্কারের প্রস্তাব পাস হলে সুপ্রিম কোর্ট দুর্বল হয়ে পড়বে।

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েলআয়োজকেরা জানিয়েছেন, শনিবার বিক্ষোভে প্রায় ৫ লাখ গণতন্ত্রপন্থী মানুষ অংশ নিয়েছিল। এই প্রতিবাদ সমাবেশকে ‘ইসরায়েলের ইতিহাসের বৃহত্তম বিক্ষোভ’ বলে অভিহিত করেছে সেখানকার গণমাধ্যম হারেৎজ।

বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বি’র শেভাতে বলেন, ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে ইসরায়েল। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের ঢেউ আমাদের আঘাত করছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে আমাদের অর্থনীতি, বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে।’

ইরান ও সৌদির চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল সৌদি আরবের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ইরান। অথচ এই সরকারের একমাত্র ভাবনা ইসরায়েলি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা।’

তেল আবিবে বিক্ষোভে অংশ নেওয়াদের দাবি, এটি কেবল আইন সংস্কার নয়, বরং ইসরায়েলকে সম্পূর্ণ একনায়কত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এমন পদক্ষেপ। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ইসরায়েলে গণতন্ত্র বজায় রাখুক, এটাই চাওয়া বলে জানান অনেকে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত