পড়তে না পারার কষ্ট: ১১০ বছর বয়সে স্কুলে সৌদি নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ২২: ৫৪

নাওদা আল-কাহতানি। একজন সৌদি নারী। বয়স ১১০ বছর। এই বয়সে তিনি পড়ালেখা শুরু করেছেন। নাওদা আল-কাহতানি চার সন্তানের জননী। বড় সন্তানের বয়স ৮০ বছর। আর সবচেয়ে ছোট সন্তানের বয়স ৫০–এর কোঠায়। আল-কাহতানি আরব নিউজকে বলেন, পড়তে এবং লিখতে শেখা তার জীবনকে বদলে দিয়েছে। 

আল-কাহতানি সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উমওয়াহ গভর্নরেটের বাসিন্দা। সেখানে আল-রাহওয়া সেন্টারের সহায়তায় পড়াশোনা শুরু করেন। 

কয়েক সপ্তাহ আগে কেন্দ্রে একটি নিরক্ষরতা দূরীকরণ কর্মসূচিতে যোগ দেন। তিনি প্রতিদিন ৫০ জন লোকের সঙ্গে ক্লাস করেন। আল-রাহওয়া সেন্টারে সব বয়সের শিক্ষার্থীর বর্ণমালার মৌলিক বিষয় এবং কোরআনের কিছু আয়াত শেখানো হয়। 

আল-কাহতানি বলেন, তিনি পাঠগুলো উপভোগ করেন। প্রতি দিন স্কুলে আসার আগে হোমওয়ার্ক শেষ করেন। 

বিশায় সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শাখা আল-কাহতানি সম্পর্কে এক্স প্ল্যাটফর্মে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট শেয়ার করেছে। ১১০ বছর বয়সে নিরক্ষরতা দূর করতে পেরে রাজ্যের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আল-কাহতানি। 

আল-কাহতানি বলেছেন, পড়াশোনায় ফিরে আসার কথা চিন্তা করা একটি কঠিন বিষয় ছিল, বিশেষ করে ১০০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তির জন্য। 

তিনি বলেন, অনেক বছর আগেই তাঁর স্কুলে পড়া উচিত ছিল। পড়ালেখা না করে যে বছরগুলো অতিবাহিত করেছেন এখন সে জন্য দুঃখ লাগে। তিনি আরও বলেন, এই বয়সে পড়ালেখা করা অবশ্যই আমার জীবনে পরিবর্তন আনবে এবং অন্যদের জীবনেও পরিবর্তন আনতে পারে। 

আল-কাহতানি বলেন, তিনি যে এলাকায় বাস করেন সেটি গ্রামীণ এলাকা। ভৌগোলিকভাবে এটি বিচ্ছিন্ন। সে কারণে পড়াশোনা করতে পারেননি। শুধু তিনি নন, এ রকম আরও শত শত মেয়ে পড়াশোনা করতে পারেনি। 

আল-কাহতানির চার সন্তান তাঁকে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন। 

কাহতানির ৬০ বছর বয়সী ছেলে মোহাম্মদ আরব নিউজকে বলেন, তিনি প্রতিদিন সকালে মাকে শিক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যান। ক্লাস শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। তিনি খুশি এবং গর্বিত যে তাঁর মা প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছেন। 

আল-কাহতানি আশা করেন, কর্তৃপক্ষ গণশিক্ষার জন্য আরও স্কুল প্রতিষ্ঠা করবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত