অনলাইন ডেস্ক
কেউ বলেন, যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি হামাসের গাজা অঞ্চলের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার সহজাত। কেউ বলেন, তিনি একজন সাইকোপ্যাথ, যার কোনো যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। আবার কেউ বলেন, হামাসের এই নেতা সাইকোপ্যাথ হলেও তাঁর সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা আছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও স্বীকার করেছে, তাঁর নেওয়া সিদ্ধান্ত যৌক্তিক।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠানটি খোদ ইসরায়েলে অবস্থিত। তেল আবিবের উপকণ্ঠে অবস্থিত রাইখম্যান ইউনিভার্সিটির কম্পিউটারাইজড ডিসিশন মেকিং ল্যাবের ‘হাহেদলেই’ সফটওয়্যার ব্যবহারের পর এই ফলাফল এসেছে।
হাহেদলেই সফটওয়্যারটি মূলত বেশ কয়েকটি এআইয়ের সমন্বয়, যা একটি ব্যতিক্রম পদ্ধতিতে মানুষের ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণ’ প্রক্রিয়াকে যাচাই করে দেখে। সফটওয়্যারটি থেকে দেখা গেছে, হামাসের প্রধান হিসেবে সংস্থাটির লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সিনওয়ারের গৃহীত সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। মূলত হামাসের আদর্শ ও লক্ষ্য বিবেচনায় রেখে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এখানে পশ্চিমা বিশ্ব বা ইসরায়েলি দৃষ্টিভঙ্গি আমলে নেওয়া হয়নি।
রাইখম্যান ইউনিভার্সিটির এআই সফটওয়্যার সিনওয়ারের পূর্ববর্তী ১৪টি সিদ্ধান্ত যাচাই করে দেখেছে, যার মধ্যে ২০২১ সালে অপারেশন গার্ডিয়ান অব দ্য ওয়ালসের পর ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যাওয়া, হামাস নির্মূলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর অভিযানের পরও গোষ্ঠীটির সদস্যদের ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদে যোগদান থেকে বিরত থাকা, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে বড় আকারে হামলা চালানো, নভেম্বরে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া, সর্বশেষ ২৯ নভেম্বর সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত উল্লেখযোগ্য।
হাহেদলেই সফটওয়্যার দেখিয়েছে, এই ১৪টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ১২টিকেই হামাসের যে আদর্শ ও লক্ষ্য তার আলোকে অযৌক্তিক বলে বাতিল করার সুযোগ নেই। বিশেষ করে হামাসকে ক্ষমতায় রাখা, গোষ্ঠীটির নেতাদের রক্ষা করা, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্ত করা ইত্যাদির আলোকে সিনওয়ারের অধিকাংশ সিদ্ধান্তই যৌক্তিক। এআই বলছে, সিনওয়ার এসব ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক বিকল্প মূল্যায়ন করে দেখে তারপরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে প্রথমে অযৌক্তিক বলে বিবেচনা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে হামাস প্রকাশিত নথিতে থাকা সিনওয়ারের বিবৃতি থেকে দেখা গেছে, হামলার আগে ইরান প্রক্সির মাধ্যমে (হিজবুল্লাহ, হুতি ও ইরাকের বিভিন্ন শিয়া গোষ্ঠীর মাধ্যমে) হামাসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
এর ধারাবাহিকতায় হামলার পরবর্তী ঘটনাক্রম বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সিনওয়ারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ছিল। যদিও এই হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার গভীরতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তেল আবিবকে খাটো করে দেখেছিলেন সিনওয়ার।
তবে হামাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণের যে প্রভাবশালী মানদণ্ড, তার আলোকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল আক্রমণের ক্ষেত্রে সিনওয়ারের হিসাব সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে। সেই আক্রমণের প্রতিক্রিয়া ও সিনওয়ারের যে প্রত্যাশা—হিজবুল্লাহ ও অন্যান্য গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলবিরোধী যুদ্ধে যোগ দেবে—তার আলোকে সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলে রায় দিয়েছে হাহেদলেই এআই।
এই এআই ব্যবহার করে সিনওয়ারের অনেক সিদ্ধান্ত আগেভাবে অনুমান করা সম্ভব হচ্ছে। যেমন—কয়েক সপ্তাহ আগে রাইখম্যান ইউনিভার্সিটি এক সিমুলেশনের সাহায্যে দেখিয়েছিল যে, ইসরায়েল যদি মানবিক ত্রাণ সহায়তা, রাফাহে অভিযানের বিষয়ে কড়া অবস্থান নেয়, তবে হামাসও জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেবে। হয়েছেও তাই।
জেরুসালেম পোস্টে এই নিবন্ধ লিখেছেন রাইখম্যান ইউনিভার্সিটির কম্পিউটারাইজড ডিসিশন মেকিং ল্যাবের পরিচালক অ্যালেক্স মিন্তজ।
কেউ বলেন, যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি হামাসের গাজা অঞ্চলের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার সহজাত। কেউ বলেন, তিনি একজন সাইকোপ্যাথ, যার কোনো যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। আবার কেউ বলেন, হামাসের এই নেতা সাইকোপ্যাথ হলেও তাঁর সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা আছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও স্বীকার করেছে, তাঁর নেওয়া সিদ্ধান্ত যৌক্তিক।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠানটি খোদ ইসরায়েলে অবস্থিত। তেল আবিবের উপকণ্ঠে অবস্থিত রাইখম্যান ইউনিভার্সিটির কম্পিউটারাইজড ডিসিশন মেকিং ল্যাবের ‘হাহেদলেই’ সফটওয়্যার ব্যবহারের পর এই ফলাফল এসেছে।
হাহেদলেই সফটওয়্যারটি মূলত বেশ কয়েকটি এআইয়ের সমন্বয়, যা একটি ব্যতিক্রম পদ্ধতিতে মানুষের ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণ’ প্রক্রিয়াকে যাচাই করে দেখে। সফটওয়্যারটি থেকে দেখা গেছে, হামাসের প্রধান হিসেবে সংস্থাটির লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সিনওয়ারের গৃহীত সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। মূলত হামাসের আদর্শ ও লক্ষ্য বিবেচনায় রেখে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এখানে পশ্চিমা বিশ্ব বা ইসরায়েলি দৃষ্টিভঙ্গি আমলে নেওয়া হয়নি।
রাইখম্যান ইউনিভার্সিটির এআই সফটওয়্যার সিনওয়ারের পূর্ববর্তী ১৪টি সিদ্ধান্ত যাচাই করে দেখেছে, যার মধ্যে ২০২১ সালে অপারেশন গার্ডিয়ান অব দ্য ওয়ালসের পর ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যাওয়া, হামাস নির্মূলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর অভিযানের পরও গোষ্ঠীটির সদস্যদের ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদে যোগদান থেকে বিরত থাকা, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে বড় আকারে হামলা চালানো, নভেম্বরে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া, সর্বশেষ ২৯ নভেম্বর সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত উল্লেখযোগ্য।
হাহেদলেই সফটওয়্যার দেখিয়েছে, এই ১৪টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ১২টিকেই হামাসের যে আদর্শ ও লক্ষ্য তার আলোকে অযৌক্তিক বলে বাতিল করার সুযোগ নেই। বিশেষ করে হামাসকে ক্ষমতায় রাখা, গোষ্ঠীটির নেতাদের রক্ষা করা, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্ত করা ইত্যাদির আলোকে সিনওয়ারের অধিকাংশ সিদ্ধান্তই যৌক্তিক। এআই বলছে, সিনওয়ার এসব ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক বিকল্প মূল্যায়ন করে দেখে তারপরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে প্রথমে অযৌক্তিক বলে বিবেচনা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে হামাস প্রকাশিত নথিতে থাকা সিনওয়ারের বিবৃতি থেকে দেখা গেছে, হামলার আগে ইরান প্রক্সির মাধ্যমে (হিজবুল্লাহ, হুতি ও ইরাকের বিভিন্ন শিয়া গোষ্ঠীর মাধ্যমে) হামাসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
এর ধারাবাহিকতায় হামলার পরবর্তী ঘটনাক্রম বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সিনওয়ারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ছিল। যদিও এই হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার গভীরতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তেল আবিবকে খাটো করে দেখেছিলেন সিনওয়ার।
তবে হামাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণের যে প্রভাবশালী মানদণ্ড, তার আলোকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল আক্রমণের ক্ষেত্রে সিনওয়ারের হিসাব সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে। সেই আক্রমণের প্রতিক্রিয়া ও সিনওয়ারের যে প্রত্যাশা—হিজবুল্লাহ ও অন্যান্য গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলবিরোধী যুদ্ধে যোগ দেবে—তার আলোকে সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলে রায় দিয়েছে হাহেদলেই এআই।
এই এআই ব্যবহার করে সিনওয়ারের অনেক সিদ্ধান্ত আগেভাবে অনুমান করা সম্ভব হচ্ছে। যেমন—কয়েক সপ্তাহ আগে রাইখম্যান ইউনিভার্সিটি এক সিমুলেশনের সাহায্যে দেখিয়েছিল যে, ইসরায়েল যদি মানবিক ত্রাণ সহায়তা, রাফাহে অভিযানের বিষয়ে কড়া অবস্থান নেয়, তবে হামাসও জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেবে। হয়েছেও তাই।
জেরুসালেম পোস্টে এই নিবন্ধ লিখেছেন রাইখম্যান ইউনিভার্সিটির কম্পিউটারাইজড ডিসিশন মেকিং ল্যাবের পরিচালক অ্যালেক্স মিন্তজ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যা আইসিসির ইতিহাসে একটি বিরল পদক্ষেপ।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি সামরিক ঘাঁটির ওপর রহস্যজনক ড্রোন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা। কিছু কিছু মহল এমনটাও বলছেন, অজানা উড়ন্ত বস্তুগুলো (ইউএফও) বহির্জাগতিক বা এলিয়েন টাইপ কিছু হতে পারে। এই ঘাঁটিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি এমন
৬ ঘণ্টা আগেএকজনের বাড়ি ইউক্রেন, একজন যুক্তরাষ্ট্রের, জার্মানিরও আছেন একজন, অন্য দুজন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের। বাইকের হ্যান্ডেল ধরে শুধু রাস্তাই নয়, নিজেদের জীবনকেও নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এই পাঁচ নারী।
৬ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ১৬ বছর ধরে খোঁজাখুঁজির পর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনার মুখোমুখি হলেন ডিডি বোসওয়েল নামে এক মার্কিন নারী। সম্প্রতি তিনি প্রথমবারের মতো নিজের বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার একটি আবেগঘন মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগে