অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের সর্ববৃহৎ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে। আর এই অস্ত্রের প্রধান ক্রেতা এখন ইউরোপ।
সম্প্রতি স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র রপ্তানির ৪৩ শতাংশ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের; যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ ফ্রান্সের তুলনায় ৪ গুণ বেশি। আগের পাঁচ বছরে (২০১৫-১৯) এই হার ছিল ৩৫ শতাংশ।
গত এক দশকে ইউরোপের দেশগুলো ক্রমে মার্কিন অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাশিয়ার ২০২২ সালে ইউক্রেনে আক্রমণের পর ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ব্যাপক অস্ত্র আমদানি করেছে। ২০১৫-১৯ সালে এ হার ছিল ৫০ শতাংশের একটু বেশি। ২০২০ থেকে ২০২৪ সালে তা বেড়ে প্রায় ৬৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
এসআইপিআরআইয়ের তথ্য অনুসারে, দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র রপ্তানির প্রধান গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তে ইউরোপীয় অঞ্চল হয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশটি ব্যাপক হারে মার্কিন অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ তথ্য ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দ্বিমুখী নির্ভরতাকে তুলে ধরেছে। কারণ, ইউরোপ একদিকে চায় মার্কিন অস্ত্র, আবার অন্যদিকে চায় মার্কিন সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বাস্তবতা পরিবর্তিত হচ্ছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ ইউরোপকে নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেই নিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো জোটের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও ‘একপক্ষীয় নির্ভরশীলতা আর সহ্য করবে না’।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপ ইউরোপের সঙ্গে আরও দূরত্ব তৈরি করেছে। যেমন ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মস্কোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বা ইউক্রেনের কোনো কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপের দেশগুলো নিজেদের অস্ত্র উৎপাদনক্ষমতা বাড়াতে বড় ধরনের বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে।
২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো সম্মিলিতভাবে প্রতিরক্ষার জন্য তাদের মোট জিডিপির ১ দশমিক ৯ শতাংশ ব্যয় করেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দিক থেকেই প্রতিরক্ষা ব্যয় আরও বাড়ানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বলেছেন, ইউরোপের সামরিক ব্যয় ‘৩ শতাংশের ওপরে’ হওয়া উচিত।
গত বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্যদেশ এমন একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যা প্রতিরক্ষা ব্যয়ে কয়েক বিলিয়ন ইউরো বরাদ্দের সুযোগ করে দেবে। এ ছাড়া ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান একটি পরিকল্পনা পেশ করেছেন; যেখানে প্রতিরক্ষা খাতে দেশগুলোকে মোট ১৫০ বিলিয়ন ইউরো (১৬৩ বিলিয়ন ডলার) ঋণ দেওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হবে। আগামী মাসের শেষ দিকে এই পরিকল্পনা নিয়ে আরও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে। আর এই অস্ত্রের প্রধান ক্রেতা এখন ইউরোপ।
সম্প্রতি স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র রপ্তানির ৪৩ শতাংশ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের; যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ ফ্রান্সের তুলনায় ৪ গুণ বেশি। আগের পাঁচ বছরে (২০১৫-১৯) এই হার ছিল ৩৫ শতাংশ।
গত এক দশকে ইউরোপের দেশগুলো ক্রমে মার্কিন অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাশিয়ার ২০২২ সালে ইউক্রেনে আক্রমণের পর ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ব্যাপক অস্ত্র আমদানি করেছে। ২০১৫-১৯ সালে এ হার ছিল ৫০ শতাংশের একটু বেশি। ২০২০ থেকে ২০২৪ সালে তা বেড়ে প্রায় ৬৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
এসআইপিআরআইয়ের তথ্য অনুসারে, দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র রপ্তানির প্রধান গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তে ইউরোপীয় অঞ্চল হয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশটি ব্যাপক হারে মার্কিন অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ তথ্য ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দ্বিমুখী নির্ভরতাকে তুলে ধরেছে। কারণ, ইউরোপ একদিকে চায় মার্কিন অস্ত্র, আবার অন্যদিকে চায় মার্কিন সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বাস্তবতা পরিবর্তিত হচ্ছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ ইউরোপকে নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেই নিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো জোটের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও ‘একপক্ষীয় নির্ভরশীলতা আর সহ্য করবে না’।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপ ইউরোপের সঙ্গে আরও দূরত্ব তৈরি করেছে। যেমন ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মস্কোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বা ইউক্রেনের কোনো কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপের দেশগুলো নিজেদের অস্ত্র উৎপাদনক্ষমতা বাড়াতে বড় ধরনের বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে।
২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো সম্মিলিতভাবে প্রতিরক্ষার জন্য তাদের মোট জিডিপির ১ দশমিক ৯ শতাংশ ব্যয় করেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দিক থেকেই প্রতিরক্ষা ব্যয় আরও বাড়ানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বলেছেন, ইউরোপের সামরিক ব্যয় ‘৩ শতাংশের ওপরে’ হওয়া উচিত।
গত বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্যদেশ এমন একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যা প্রতিরক্ষা ব্যয়ে কয়েক বিলিয়ন ইউরো বরাদ্দের সুযোগ করে দেবে। এ ছাড়া ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান একটি পরিকল্পনা পেশ করেছেন; যেখানে প্রতিরক্ষা খাতে দেশগুলোকে মোট ১৫০ বিলিয়ন ইউরো (১৬৩ বিলিয়ন ডলার) ঋণ দেওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হবে। আগামী মাসের শেষ দিকে এই পরিকল্পনা নিয়ে আরও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর শুরুর দিকের কয়েক সপ্তাহ বাদে আর কোনো সরাসরি আলোচনায় অংশ নেয়নি। তবে ক্রেমলিন জানিয়েছে, শুক্রবার মস্কোতে ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তিন ঘণ্টার বৈঠকে রাশিয়া ও
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের মিলওয়াকি কাউন্টি সার্কিট কোর্টের বিচারক হান্না ডুগানকে আজ শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার থেকে বাঁচাতে সহায়তা করায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, বেসামরিক বহু মানুষ ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রসফায়ারে পড়ে নিহত হয়েছে। হামাসের হামলার পর থেকে নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৮২ জন ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। ইসরায়েল বলছে, এদের কেউ কেউ পাথর নিক্ষেপ ও ‘জঙ্গি’ কার্যক্রমে জড়িত ছিল। অধিকার গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে...
১১ ঘণ্টা আগেএক দশকের বেশি সময় ধরে চীনে পরিত্যক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বের সর্বোচ্চ অসমাপ্ত গগনচুম্বী ভবনের নির্মাণকাজ আবার শুরু হতে যাচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহেই এই কাজ শুরু হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে