অনলাইন ডেস্ক
গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর (আইডিএফ) অভিযান। হাসপাতালের ভেতরের পরিবেশকে প্রচণ্ড ভয়ংকর বলে অভিহিত করেছেন সেখানকার একজন চিকিৎসক। পাশাপাশি হাসপাতালের ভেতরে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান চালাতে না দিতে রুখে দাঁড়ান এক চিকিৎসক।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর মুখোমুখি দাঁড়ানো ওই চিকিৎসকের নাম মুনির আল-বারশ। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালে অভিযান চালাচ্ছে মূলত সেখানে থাকা ফিলিস্তিনিদের মনে ভয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি করতে।
মুনির আল-বারশ ইসরায়েলি সেনাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে থাকা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যই তোমরা এই হাসপাতালে প্রবেশ করেছ। হাসপাতালের প্রতিটি করিডর, প্রতিটি তলা মানুষে পরিপূর্ণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাই তোমরা কেন অভিযান চালাচ্ছ, সেটার কারণ আমি শুনতে চাই না।’
আল-শিফা হাসপাতালের এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘হাসপাতালের প্রতিটি তলা—প্রথম থেকে শুরু করে ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত মানুষে পরিপূর্ণ। তার পরও তোমরা অভিযান চালানোর ব্যাপারে বলতেই থাকবে?’ তিনি আরও বলেন, তার পরও কী এটি তোমাদের জন্য সমস্যার কারণ? তার পরও তোমাদের হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে দেখতে হবে?’
এ সময় মুনির আল-বারশ বলেন, ‘হাসপাতালের রিসেপশন, সার্জারি বিভাগ বাস্তুচ্যুত মানুষে ভর্তি। ডায়ালাইসিস, ডেলিভারি ও প্রশাসনিক বিভাগ কিছুটা খালি রয়েছে। হাসপাতালের ডান দিকে থাকা বার্ন ইউনিটও রোগী আর বাস্তুচ্যুত মানুষ দিয়ে ভর্তি।’
এদিকে আল-জাজিরার পৃথক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় ৩০ জনকে চোখ বেঁধে আল-শিফা হাসপাতালের বাইরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু হামাসের উপস্থিতির কোনো প্রমাণ এখনো সেখানে পাওয়া যায়নি। ওই ৩০ জন ফিলিস্তিনিকে চোখ বেঁধে বিবস্ত্র করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের আঙিনায় তিনটি ট্যাংক দিয়ে ঘেরা জায়গায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সার্জারি ভবনের ভেতরে ইসরায়েলি সেনারা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। সব পার্টিশন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, ভেঙে দেওয়া হয়েছে সব দেয়াল। বেসমেন্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। সেখানে একেকজন করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আল-শিফা হাসপাতালের নিচে অবস্থিত একটি সুড়ঙ্গে হামাস তাদের অভিযানের নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করেছে—এমন দাবি করে সেখানে অভিযান পরিচালনা করার কথা বলেছিল আইডিএফ। তবে ইসরায়েলের একটি রেডিওতে বলা হয়েছে, হাসপাতালটিতে হামাসের উপস্থিতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালটির ভেতরে থাকা চিকিৎসক আহমেদ আল মোখাল্লালাতি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত গুলিবর্ষণে জানালার কাছ থেকে দূরে সরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে রোগী, চিকিৎসক, আশ্রয়প্রার্থী সবাই। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের ভেতরে ও আশপাশে গুলি করা হচ্ছে। এটা সত্যিই প্রচণ্ড ভয়ংকর যে এতগুলো নিরীহ মানুষের মধ্যে গুলি করা হচ্ছে। হাসপাতালের আশপাশে ঘুরছে ট্যাংক। জরুরি বিভাগের সামনেই একটি ট্যাংক মোতায়েন রাখা আছে। হাসপাতালের চারপাশে সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। সরাসরি হাসপাতালকেই লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে তারা। আমরা জানালা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছি।’
আল-শিফাসহ গাজার হাসপাতালগুলোকে হামাস ব্যবহার করছে—এমন দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পরই স্থানীয় সময় আজ বুধবার রাত ১টায় ইসরায়েলি বাহিনী আল-শিফা হাসপাতালে প্রবেশ করেছে। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, চিকিৎসক দল ও আরবি ভাষাভাষীদের অন্তর্ভুক্ত করে গঠিত তাদের বাহিনী এই অভিযান চালাচ্ছে।
তবে হামাস তার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাসপাতাল ব্যবহার করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এ বিষয়ে কোনো আন্তর্জাতিক কমিটিকে এসে পরিদর্শনের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর (আইডিএফ) অভিযান। হাসপাতালের ভেতরের পরিবেশকে প্রচণ্ড ভয়ংকর বলে অভিহিত করেছেন সেখানকার একজন চিকিৎসক। পাশাপাশি হাসপাতালের ভেতরে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান চালাতে না দিতে রুখে দাঁড়ান এক চিকিৎসক।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর মুখোমুখি দাঁড়ানো ওই চিকিৎসকের নাম মুনির আল-বারশ। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালে অভিযান চালাচ্ছে মূলত সেখানে থাকা ফিলিস্তিনিদের মনে ভয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি করতে।
মুনির আল-বারশ ইসরায়েলি সেনাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে থাকা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যই তোমরা এই হাসপাতালে প্রবেশ করেছ। হাসপাতালের প্রতিটি করিডর, প্রতিটি তলা মানুষে পরিপূর্ণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাই তোমরা কেন অভিযান চালাচ্ছ, সেটার কারণ আমি শুনতে চাই না।’
আল-শিফা হাসপাতালের এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘হাসপাতালের প্রতিটি তলা—প্রথম থেকে শুরু করে ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত মানুষে পরিপূর্ণ। তার পরও তোমরা অভিযান চালানোর ব্যাপারে বলতেই থাকবে?’ তিনি আরও বলেন, তার পরও কী এটি তোমাদের জন্য সমস্যার কারণ? তার পরও তোমাদের হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে দেখতে হবে?’
এ সময় মুনির আল-বারশ বলেন, ‘হাসপাতালের রিসেপশন, সার্জারি বিভাগ বাস্তুচ্যুত মানুষে ভর্তি। ডায়ালাইসিস, ডেলিভারি ও প্রশাসনিক বিভাগ কিছুটা খালি রয়েছে। হাসপাতালের ডান দিকে থাকা বার্ন ইউনিটও রোগী আর বাস্তুচ্যুত মানুষ দিয়ে ভর্তি।’
এদিকে আল-জাজিরার পৃথক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় ৩০ জনকে চোখ বেঁধে আল-শিফা হাসপাতালের বাইরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু হামাসের উপস্থিতির কোনো প্রমাণ এখনো সেখানে পাওয়া যায়নি। ওই ৩০ জন ফিলিস্তিনিকে চোখ বেঁধে বিবস্ত্র করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের আঙিনায় তিনটি ট্যাংক দিয়ে ঘেরা জায়গায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সার্জারি ভবনের ভেতরে ইসরায়েলি সেনারা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। সব পার্টিশন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, ভেঙে দেওয়া হয়েছে সব দেয়াল। বেসমেন্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। সেখানে একেকজন করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আল-শিফা হাসপাতালের নিচে অবস্থিত একটি সুড়ঙ্গে হামাস তাদের অভিযানের নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করেছে—এমন দাবি করে সেখানে অভিযান পরিচালনা করার কথা বলেছিল আইডিএফ। তবে ইসরায়েলের একটি রেডিওতে বলা হয়েছে, হাসপাতালটিতে হামাসের উপস্থিতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালটির ভেতরে থাকা চিকিৎসক আহমেদ আল মোখাল্লালাতি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত গুলিবর্ষণে জানালার কাছ থেকে দূরে সরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে রোগী, চিকিৎসক, আশ্রয়প্রার্থী সবাই। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের ভেতরে ও আশপাশে গুলি করা হচ্ছে। এটা সত্যিই প্রচণ্ড ভয়ংকর যে এতগুলো নিরীহ মানুষের মধ্যে গুলি করা হচ্ছে। হাসপাতালের আশপাশে ঘুরছে ট্যাংক। জরুরি বিভাগের সামনেই একটি ট্যাংক মোতায়েন রাখা আছে। হাসপাতালের চারপাশে সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। সরাসরি হাসপাতালকেই লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে তারা। আমরা জানালা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছি।’
আল-শিফাসহ গাজার হাসপাতালগুলোকে হামাস ব্যবহার করছে—এমন দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পরই স্থানীয় সময় আজ বুধবার রাত ১টায় ইসরায়েলি বাহিনী আল-শিফা হাসপাতালে প্রবেশ করেছে। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, চিকিৎসক দল ও আরবি ভাষাভাষীদের অন্তর্ভুক্ত করে গঠিত তাদের বাহিনী এই অভিযান চালাচ্ছে।
তবে হামাস তার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাসপাতাল ব্যবহার করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এ বিষয়ে কোনো আন্তর্জাতিক কমিটিকে এসে পরিদর্শনের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
গরিব দেশগুলোকে ধনী দেশগুলোর তরফ থেকে কী পরিমাণ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে সে বিষয়টি নিয়ে সম্মেলনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। টানা ৩৩ ঘণ্টা বন্ধ ছিল এই আলোচনা। অবশেষে ভেঙে পড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ধনী দেশগুলো এই পরিমাণ অর্থ দিতে সম্মত হয়। এই বিষয়ে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্রধান সাইমন স্টিয়েল বলেন, ‘এটি কঠিন পথ ছিল
৬ মিনিট আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তাঁর দেশের হাতে ‘ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত’ নতুন ধরনের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র মজুত আছে। এই ‘ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র’কে বাধা দেওয়া যায় না। ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এক দিন পর গত শুক্রবার এক অনির্ধারিত টেলিভিশন ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগেইয়াসমিন ঈদ বলেন, ‘আমার মেয়েরা ক্ষুধার তাড়নায় তাদের আঙুল চুষে, আর আমি তাদের পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াই।’ গাজায় দখলদার ইসরায়েলের চলমান হামলায় জীবনযাপন অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠছে। খাবারের অভাবে অনেক মানুষ দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগেব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানী ক্যামিলা দক্ষিণ এশিয়া সফরের পরিকল্পনা করেছেন। এই সফরের অংশ হিসেবে তাঁরা ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশেও সফর করতে পারেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সম্ভাব্য সফরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত সফরের খসড়াও তৈরি করা হচ
১২ ঘণ্টা আগে