Ajker Patrika

প্রলম্বিত হবে গাজায় চলমান আগ্রাসন: ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

আপডেট : ২২ মে ২০২৪, ০৯: ৫৩
প্রলম্বিত হবে গাজায় চলমান আগ্রাসন: ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রলম্বিত হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল হেরজি হালেভি। গতকাল মঙ্গলবার তিনি জানান, তাঁর দেশের কৌশল হলো—যতটা বেশি সম্ভব হামাসের কমান্ডারদের নির্মূল করা এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করে আনতে গোষ্ঠীটির নেতাদের ওপর যতটা সম্ভব চাপ প্রয়োগ করা। তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

হেরজি হালেভি এমন এক সময়ে এই অবস্থান জানালেন, যখন বিশ্বজুড়ে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের লক্ষ্যে তীব্র আন্দোলন চলছে। তবে আন্তর্জাতিক সব চাপ উপেক্ষা করে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চলটিকে আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার অবস্থান ব্যক্ত করলেন। গতকাল মঙ্গলবার গাজার জাবালিয়ায় একটি শরণার্থীশিবির পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। 

ইসরায়েলি সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা শুরুতেই বলেছিলাম যে, যুদ্ধ প্রলম্বিত হবে। তারা (হামাস) প্রতিরক্ষার জন্য বছরের পর বছর ধরে এখানে (টানেল) খনন করে আসছে এবং তা এক সপ্তাহ বা এক মাসে ভেঙে ফেলা সম্ভব হবে না।’ এর আগে, ইসরায়েলি বাহিনী গত ১২ মে জাবালিয়া শরণার্থীশিবির ও আশপাশের এলাকায় স্থল অভিযান শুরু করেছিল। এরপর টানা তিন দিন যুদ্ধ চলে। 

এর আগে জেনারেল হালেভি জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালজুড়েই গাজায় যুদ্ধ চলবে। তবে গতকাল হালেভি জানাননি, ঠিক কত দিন গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মিশন হলো, যতটা বেশি সম্ভব হামাসের কমান্ডারদের হত্যা করা এবং যতটা বেশি সম্ভব তাদের অবকাঠামো ধ্বংস করা।’ 

হালেভির মতে, এই কৌশল হামাসের ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করবে। তিনি বলেন, ‘এই চাপ আমাদের (হামাসের হাতে) জিম্মিদের জীবিত আনতে সাহায্য করবে এবং আমরা আমাদের জিম্মিদের মৃতদেহ ইসরায়েলে সমাহিত করার জন্য বিপজ্জনক ও জটিল অপারেশন চালাতে প্রস্তুত।’ 

এদিকে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ চালায়। তারপর সেদিনই ইসরায়েল গাজায় হামলা চালানো শুরু করে। সেই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৬০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু এবং প্রায় ৭৯ হাজার ৯০০ জন আহত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট জারি

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ বাড়াতে পারেন সৌদি যুবরাজ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
তিনটি এফ-৩৫ এবং তিনটি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান উড়িয়ে হোয়াইট হাউসে যুবরাজ সালমানকে অভ্যর্থনা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: বিবিসি
তিনটি এফ-৩৫ এবং তিনটি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান উড়িয়ে হোয়াইট হাউসে যুবরাজ সালমানকে অভ্যর্থনা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: বিবিসি

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের মোট বিনিয়োগ ৬০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত নেওয়া সম্ভব। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা এমবিএস স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসের এক আলোচনায় এই মন্তব্য করেন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইলে এমবিএস বলেন, ‘অবশ্যই।’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘দারুণ। আমি সত্যিই বিষয়টির প্রশংসা করছি।’

এর আগে ট্রাম্প জানান, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে—যা তাঁর এই বছরের শুরুর দিকে রিয়াদ সফরের সময় ঘোষিত চুক্তির অংশ। তিনি বলেন, ‘এই অঙ্ক আরও কিছুটা বাড়তে পারে। আমরা এটিকে অত্যন্ত মূল্যায়ন করি।’

ট্রাম্প আরও বলেন, এই বিনিয়োগের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কারখানা স্থাপন, বিভিন্ন কোম্পানিতে অর্থায়ন এবং ওয়াল স্ট্রিটে কার্যক্রম জোরদার হবে। এর মাধ্যমে দেশটিতে কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক চাকরি তৈরি হচ্ছে।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর যুবরাজ সালমানকে বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়। হোয়াইট হাউসে তাঁর আগমনের সময় আকাশে উড়ে যায় তিনটি এফ-৩৫ এবং তিনটি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান। এটি ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে যুবরাজের প্রতি ব্যক্তিগত নিবেদন। যুবরাজের সফরের আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট জারি

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সৌদি যুবরাজের সঙ্গী নন, তবু একই দিনে হোয়াইট হাউসে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন ফুটবল সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একই দিনে ওয়াশিংটনে আসছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানও। দুই হোয়াইট হাউস কর্মকর্তার বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, রোনালদোর উপস্থিতি সৌদি প্রিন্সের ব্যস্ত কর্মসূচির দিনেই নির্ধারিত হয়েছে।

বর্তমানে সৌদি প্রো লিগে আল-নাসরের হয়ে খেলছেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে পর্তুগালের হয়ে তাঁর গোল সংখ্যা ১৪৩, যা বিশ্ব রেকর্ড। পাঁচটি বিশ্বকাপে গোল করা প্রথম পুরুষ খেলোয়াড়ও তিনি। এই বছর আল-নাসরের সঙ্গে চুক্তির পর ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স তাঁকে ফুটবল ইতিহাসের প্রথম বিলিয়নিয়ার খেলোয়াড় হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি প্রিন্সকে নানা আয়োজনের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসব আয়োজনের মধ্যে আছে—স্বাগত অনুষ্ঠান, আনুষ্ঠানিক নৈশভোজসহ পুরো দিনব্যাপী বৈঠক। তবে সৌদি প্রিন্স আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান নন বলে সফরটিকে ‘স্টেট ভিজিট’ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে না। সফরে ওভাল অফিসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং মধ্যাহ্নভোজও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর এই প্রথম মোহাম্মদ বিন সালমান হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সিআইএ-এর মূল্যায়নে বলা হয়েছিল, হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সৌদি প্রিন্সের সম্পৃক্ত থাকার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন যুবরাজ সালমান।

রোনালদোর ক্ষেত্রেও এটি যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বিরল সফরগুলোর একটি। শেষবার তিনি ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে খেলেছিলেন। সেবার রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মিশিগানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রাক-মৌসুমের এক ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর ব্যক্তিগত আইনি বিতর্কের ইতিহাস আছে। ২০০৯ সালে লাস ভেগাসে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হন রোনালদো। তবে এই অভিযোগ তিনি দৃঢ়ভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন, ঘটনাটি সম্মতিসূচক ছিল।

সম্প্রতি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো নিশ্চিত করেছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপই হবে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। তিনি বলেন, ‘তখন আমার বয়স হবে ৪১। এটা নিশ্চিতভাবে আমার শেষ বড় টুর্নামেন্ট।’ আরও জানান, ফুটবল ক্যারিয়ারের শেষটাও বেশি দূরে নয়—এক বা দুই বছরের মধ্যেই তিনি বিদায় নিতে পারেন।

২০২৬ সালের ৪৮ দলীয় সম্প্রসারিত বিশ্বকাপটি যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের ড্র আগামী ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসির কেনেডি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। ট্রাম্প প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ আনার কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করে থাকেন এবং সোমবার (১৭ নভেম্বর) ওভাল অফিসে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে সাক্ষাতেও সেই কথা তিনি উল্লেখ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট জারি

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাদকগ্রহণ নিয়ে বোনের বক্তব্যে বেকায়দায় ফিলিপিনো প্রেসিডেন্ট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বোন আইমি মার্কোসের সঙ্গে ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বা বংবং মার্কোস। ছবি: সংগৃহীত
বোন আইমি মার্কোসের সঙ্গে ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বা বংবং মার্কোস। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের বিচ্ছিন্ন সম্পর্কের বড় বোন ও সিনেটর আইমি মার্কোসের একটি প্রকাশ্য অভিযোগ ঘিরে দেশটির রাজনীতিতে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আইমির বক্তব্যের পর প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁর অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘দায়িত্বহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, সোমবার রাতে ম্যানিলার একটি জনসমাবেশে আইমি মার্কোস দাবি করেন, ছোটবেলা থেকেই তাঁর ভাই মাদক ব্যবহার করছেন এবং বিয়ের পর এই আসক্তি নাকি আরও বেড়েছে। বংবং নামে পরিচিত মার্কোস জুনিয়রের বর্তমান শাসনামলে দুর্নীতি, নীতিনির্ধারণে বিশৃঙ্খলা, জবাবদিহির অভাব—এসবের পেছনে তাঁর কোকেন আসক্তিকেই দায়ী করেছেন আইমি।

আইমি ও বংবং—দুজনই ফিলিপাইনের প্রয়াত স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের সন্তান।

সমাবেশটি আয়োজিত হয়েছিল একটি প্রভাবশালী চার্চ গ্রুপের নেতৃত্বে এবং একটি বন্যা–নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবাদে। সেখানে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বক্তৃতায় আইমি বলেন, ‘বাবা জীবিত থাকাকালে ওকে দেখভালের দায়িত্ব আমার ছিল না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা ভয়াবহ হয়েছে। আমি জানতাম, সে মাদক নিচ্ছে।’

তিনি তাঁর ভাইকে চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি আমার ভাইকে হারাতে চাই না। মাদকমুক্ত হওয়া এখন খুবই জরুরি।’

এদিকে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের যোগাযোগ–বিষয়ক উপসচিব ক্লেয়ার কাস্ত্রো আইমির অভিযোগকে সরাসরি নাকচ করে বলেছেন—এগুলো ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ এবং সম্ভবত সিনেটে দুর্নীতি নিয়ে চলমান তদন্ত থেকে মনোযোগ সরানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তিনি আইমিকে অনুরোধ করেন তদন্তে সহযোগিতা করতে এবং দুর্নীতিবাজদের পক্ষ না নিতে।

এবারই প্রথম নয়, বংবং মার্কোসের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। তবে ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার আগে তাঁর পক্ষ থেকে দুটি মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়, যেখানে কোকেন ও মেথামফেটামিন–নেশার জন্য নমুনা পরীক্ষায় তিনি নেগেটিভ বলে উল্লেখ ছিল।

এবারের অভিযোগে নাম এসেছে প্রেসিডেন্টের স্ত্রী এবং তাঁর ছেলে ও প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলনেতা সান্দ্রো মার্কোসেরও। সান্দ্রো অভিযোগগুলোকে ‘বিপজ্জনকভাবে দায়িত্বহীন’ এবং ‘এক মিথ্যার জাল’ বলে উল্লেখ করেছেন।

ফিলিপিনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগের এই ঢেউ উঠেছে এমন সময়, যখন মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে অন্তত ৭৬টি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রায়ে কারাবন্দী আছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। স্বচ্ছতার স্বার্থে প্রেসিডেন্ট বংবং মার্কোসকে চুলের ফলিকল পরীক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন দুতার্তের ছেলে ও দাভাও সিটির প্রতিনিধি পাওলো দুতার্তে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট জারি

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৫০ শতাংশ শুল্কের মধ্যেও হঠাৎ আমেরিকায় ভারতের রপ্তানি বাড়ল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি

আমেরিকায় ভারতের পণ্য রপ্তানি গত মাসে (অক্টোবর) ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক এখনো কার্যকর থাকলেও গত পাঁচ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো সেপ্টেম্বরের তুলনায় ভারতীয় পণ্যের রপ্তানি ১৪.৫ শতাংশ বেড়ে ৬.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এর আগে রাশিয়ার তেল কেনার অভিযোগে গত ২৭ আগস্ট থেকে ২৫ শতাংশ জরিমানা সহ মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর ভারতের রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমছিল।

তবে হঠাৎ করে রপ্তানি আবারও বেড়ে যাওয়ার পেছনে দুটি বড় কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমত, ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো আমেরিকা থেকে বার্ষিক এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) আমদানি বাড়াতে রাজি হয়েছে। সোমবারের (১৭ নভেম্বর) ঘোষণা অনুযায়ী, দেশটির মোট বার্ষিক এলপিজি চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ এখন আমেরিকা থেকে আসবে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী এটিকে ‘ঐতিহাসিক উন্নয়ন’ বলে অভিহিত করেছেন। দ্বিতীয়ত, ট্রাম্প প্রশাসন চা, কফি, মসলা-সহ বেশ কিছু কৃষিপণ্যের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। এর ফলে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ভারতীয় কৃষিপণ্য শুল্কমুক্ত হয়ে যাবে।

তারপরও সামগ্রিক চিত্র এখনো উদ্বেগজনক। অক্টোবরে ভারতের মোট পণ্য রপ্তানি বছরের হিসেবে ১১.৮ শতাংশ কমেছে। শীর্ষ ২০টি বাজারের মধ্যে ১৫ টিতেই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হ্রাস পেয়েছে। দিল্লির থিংক ট্যাংক গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (টিআরআই)-এর অজয় অবাস্তব বলেছেন, ‘স্মার্টফোন, ওষুধের মতো শুল্কমুক্ত খাতগুলো ভালো করেছে বলে ধারণা, তবে এটা এখনো অনুমানের পর্যায়ে। মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমেরিকায় রপ্তানি ২৮.৪ শতাংশ কমেছে, এতে প্রতি মাসে ২.৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে।’

এদিকে বিগত মাসগুলোতে শুল্ক আরোপের জের ধরে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে যে বাণিজ্য উত্তেজনা শুরু হয়েছিল, তা কমে আসার ইঙ্গিত এখন স্পষ্ট। মাসখানেক আগেও রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে আটকে থাকা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা এখন দ্রুত এগোচ্ছে। সোমবার ভারতের একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা দা হিন্দুকে জানিয়েছেন, চুক্তির প্রথম ধাপ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

তবে এর মধ্যে কূটনৈতিক জটিলতাও রয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দিল্লি সফর করবেন। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত রাশিয়া থেকে বিপুল তেল কিনেছে। গত বছর রাশিয়া থেকে ৫২.৭ বিলিয়ন ডলারের অপরিশোধিত তেল কেনা হয়, যা দেশটির ক্রয় করা মোট তেলের ৩৭ শতাংশ। ট্রাম্প বারবার বলেছেন, ভারত রাশিয়ার তেল কমাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যদিও দিল্লি আনুষ্ঠানিকভাবে এটা স্বীকার করেনি।

তবু বোঝা যাচ্ছে, দুই দেশই বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত করতে আগ্রহী। শুল্ক যুদ্ধের ছায়া ক্রমশ সরে যাচ্ছে এবং আগামী মাসগুলোতে একটি বড় বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট জারি

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

News Hub