ইরাকে যৌথ বাহিনীর মিশন শেষ হবে আগামী বছর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০: ১৭
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০: ২৫

ইরাকে বিদ্যমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে যৌথ বাহিনী আছে, সেটির মিশন ২০২৫ সালের শেষ দিক নাগাদ শেষ হবে। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তী ও দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারত্ব থেকে যাবে। গতকাল শুক্রবার ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে ইরাকে আড়াই হাজার বিদেশি সেনা অবস্থান করছে। এ ছাড়া, প্রতিবেশী সিরিয়ায় আছে আরও ৯০০ সেনা। ২০১৪ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে মোকাবিলায় এই যৌথ বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। 

যৌথ বিবৃতিতে কতসংখ্যক মার্কিন সৈন্য ইরাক ছেড়ে যাবে এবং কোন ঘাঁটি থেকে যাবে, সে বিষয়ে খুব সামান্যই তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, এই পদক্ষেপের অর্থ ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার নয় এবং কোনো সৈন্য ইরাক ছেড়ে যাবে কি না, তা বলতেও তিনি অস্বীকার করেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি শুধু এই সত্য বলতে চাই যে, এটি প্রত্যাহার নয়। এটি একটি পরিবর্তন মাত্র। এটি জোটের সামরিক মিশন থেকে একটি সম্প্রসারিত যুক্তরাষ্ট্র-ইরাক দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সম্পর্কের রূপান্তর মাত্র।’ ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইরাকে মার্কিন সামরিক অবস্থানের বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। 

রয়টার্সকে একটি সূত্র জানিয়েছে, এই চুক্তির ফলে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে যৌথ বাহিনীর শত শত সৈন্য ইরাক ত্যাগ করবে। বাকিরা ২০২৬ সালের শেষ দিকে চলে যাবে। পরিকল্পনার আওতায় যৌথ বাহিনী ইরাকের পশ্চিমের আনবার প্রদেশের আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটি ত্যাগ করবে এবং ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাগদাদে তাদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনবে। তবে মার্কিন নেতৃত্বের যৌথ বাহিনীর অন্যান্য সৈন্য ইরবিলে থেকে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই জোটে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালিসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ আছে। 

ইরাকে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতির ধরন পরিবর্তন হলেও মার্কিন কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছেন, সিরিয়ায় মার্কিন মিশন অব্যাহত থাকবে। ইরাক থেকে মার্কিন নেতৃত্বের যৌথ বাহিনীর প্রস্থান বা সেনাসংখ্যা কমানোর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ওয়াশিংটনের সামরিক উপস্থিতিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বয়ে আনবে। 

মার্কিন সমর কর্মকর্তাদের মতে, প্রাথমিকভাবে ইসলামিক স্টেটের মোকাবিলায় মনোনিবেশ করার জন্য এই যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও ইরাকে মার্কিন উপস্থিতি ইরানের বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত অবস্থান হিসেবে কাজ করে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরাকে মার্কিন বাহিনী ইসরায়েলের দিকে ইরানের রকেট ও ড্রোন নিক্ষেপ করার মতো বিষয়ে ডিটারেন্স বা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করছে। এ কারণে ইরাকে মার্কিন উপস্থিতি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। 

বিশ্লেষকেরা এই চুক্তিকে ইরাকের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল-সুদানির জন্য একটি বড় রাজনৈতিক জয় নলে মনে করেন। কারণ, তিনি একই সঙ্গে ইরানেরও মিত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত