অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল যদি ইরানে হামলা চালায়, তবে এর ‘নজিরবিহীন জবাব’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তেহরান। মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তেহরান যুক্তরাষ্ট্রকে বিষয়টি জানিয়েছে। তেহরান জানিয়েছে, এবার ইসরায়েলের সব অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে ইরানি কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তাঁদের দেশ কাতারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর উসকে ওঠা সংঘাতের আগুন প্রশমিত করতে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে বলেছে।
ইরানি ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বার্তায় তেহরান ওয়াশিংটনকে বলেছে যে, ‘একতরফা আত্মসংযমের পর্যায় শেষ হয়েছে এবং কেবল একতরফা আত্মসংযম আমাদের (ইরানের) জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তাগুলো সুরক্ষিত করে না।’ মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে পাঠানো বার্তায় ইরান জোর দিয়ে বলেছে, তেহরান আঞ্চলিক যুদ্ধ চায় না।
মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান। এই হামলার পরদিন বুধবার তেল আবিব জানায়, তারা ইরানি হামলার উপযুক্ত জবাব দেবে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ইরানের ওপর ইসরায়েলি প্রতিশোধের ক্ষেত্রে তারা ইসরায়েলের পক্ষেই থাকবে।
ওয়াশিংটন থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি কিম্বারলি হ্যালকেট বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠানো ইরানি বার্তাটি সম্ভবত গত বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া। সেই বক্তব্যে বাইডেন বলেছিলেন, ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে।
হ্যালকেট বলেন, ইরান যে দুটি বার্তা দিয়েছে, সেগুলো একত্রে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। এর অর্থ হতে পারে, ইরান বলতে চায়, ‘আমরা চাই না, আপনারা কিছু করুন, তাহলে আমরা এটিকে (বৃহত্তর যুদ্ধ) ঠেকানোর চেষ্টা করব। আবার এটি একটি সতর্ক বার্তাও হতে পারে যে, ‘আপনারা পদক্ষেপ নিলে আমাদের প্রতিক্রিয়া আরও বড় হবে।
আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলা ওই ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠানো বার্তায় ইরান এই অঞ্চলে ইসরায়েলে ‘লাগামহীন উন্মাদনা’ রোধের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। ইরানি ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।’
ইরান বিশেষজ্ঞ তোহিদ আসাদি আল-জাজিরাকে বলেন, ‘ইরান পুরো পশ্চিম এশিয়াকে একটি পূর্ণাঙ্গ, সর্বাত্মক যুদ্ধে টেনে নিতে আগ্রহী নয়। কিন্তু ইসরায়েল গত কয়েক মাস ধরে এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাপ্রবাহ আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ইরানি কর্মকর্তাদের একধরনের দ্বিমুখী বক্তব্য দেখছি এবং শুনছি। একদিকে তাঁরা দাবি করে যে তারা যুদ্ধে আগ্রহী নয়...একই সঙ্গে তারা বলছে, তারা যুদ্ধে ভয় পায় না। মন্তব্যগুলো ইঙ্গিত করে যে, নতুন করে যেকোনো আগ্রাসনের ক্ষেত্রে কঠিন পরিণতি হবে। আজকাল তেহরান থেকে স্পষ্টভাবে যে বার্তাটি শোনা যাচ্ছে, তা হলো—তারা আর ধৈর্য ধরবে না, কারণ তাদের ধৈর্যের সীমা ফুরিয়ে গেছে।’
এলিজাহ ম্যাগনিয়ার নামে এক সামর বিশ্লেষক তোহিদ আসাদির সঙ্গে একমত পোষণ করে আল-জাজিরাকে বলেন, ‘ইরানের সামনে দুটি বিকল্প আছে। হয় দেশটি তার সব মিত্রের পরাজয় না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং তারপর নিজেও ইসরায়েলের আক্রমণের শিকার হবে অথবা এখনই যুদ্ধে যোগ দেবে।’
এলিজাহ ম্যাগনিয়ার বলেন, ‘ইরান কোনো ইসরায়েলি হামলা সহ্য করবে না, এমনকি সামরিক স্থাপনা বা নিরাপত্তা অবকাঠামোর বিরুদ্ধেও কোনো হামলা সহ্য করবে না। কারণ, ইরান মনে করে, তারা এখন সমান...ইসরায়েল দুবার আঘাত করেছে, ইরানও দুবার আঘাত করেছে।’
ইসরায়েল যদি ইরানে হামলা চালায়, তবে এর ‘নজিরবিহীন জবাব’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তেহরান। মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তেহরান যুক্তরাষ্ট্রকে বিষয়টি জানিয়েছে। তেহরান জানিয়েছে, এবার ইসরায়েলের সব অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে ইরানি কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তাঁদের দেশ কাতারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর উসকে ওঠা সংঘাতের আগুন প্রশমিত করতে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে বলেছে।
ইরানি ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বার্তায় তেহরান ওয়াশিংটনকে বলেছে যে, ‘একতরফা আত্মসংযমের পর্যায় শেষ হয়েছে এবং কেবল একতরফা আত্মসংযম আমাদের (ইরানের) জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তাগুলো সুরক্ষিত করে না।’ মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে পাঠানো বার্তায় ইরান জোর দিয়ে বলেছে, তেহরান আঞ্চলিক যুদ্ধ চায় না।
মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান। এই হামলার পরদিন বুধবার তেল আবিব জানায়, তারা ইরানি হামলার উপযুক্ত জবাব দেবে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ইরানের ওপর ইসরায়েলি প্রতিশোধের ক্ষেত্রে তারা ইসরায়েলের পক্ষেই থাকবে।
ওয়াশিংটন থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি কিম্বারলি হ্যালকেট বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠানো ইরানি বার্তাটি সম্ভবত গত বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া। সেই বক্তব্যে বাইডেন বলেছিলেন, ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে।
হ্যালকেট বলেন, ইরান যে দুটি বার্তা দিয়েছে, সেগুলো একত্রে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। এর অর্থ হতে পারে, ইরান বলতে চায়, ‘আমরা চাই না, আপনারা কিছু করুন, তাহলে আমরা এটিকে (বৃহত্তর যুদ্ধ) ঠেকানোর চেষ্টা করব। আবার এটি একটি সতর্ক বার্তাও হতে পারে যে, ‘আপনারা পদক্ষেপ নিলে আমাদের প্রতিক্রিয়া আরও বড় হবে।
আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলা ওই ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠানো বার্তায় ইরান এই অঞ্চলে ইসরায়েলে ‘লাগামহীন উন্মাদনা’ রোধের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। ইরানি ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।’
ইরান বিশেষজ্ঞ তোহিদ আসাদি আল-জাজিরাকে বলেন, ‘ইরান পুরো পশ্চিম এশিয়াকে একটি পূর্ণাঙ্গ, সর্বাত্মক যুদ্ধে টেনে নিতে আগ্রহী নয়। কিন্তু ইসরায়েল গত কয়েক মাস ধরে এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাপ্রবাহ আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ইরানি কর্মকর্তাদের একধরনের দ্বিমুখী বক্তব্য দেখছি এবং শুনছি। একদিকে তাঁরা দাবি করে যে তারা যুদ্ধে আগ্রহী নয়...একই সঙ্গে তারা বলছে, তারা যুদ্ধে ভয় পায় না। মন্তব্যগুলো ইঙ্গিত করে যে, নতুন করে যেকোনো আগ্রাসনের ক্ষেত্রে কঠিন পরিণতি হবে। আজকাল তেহরান থেকে স্পষ্টভাবে যে বার্তাটি শোনা যাচ্ছে, তা হলো—তারা আর ধৈর্য ধরবে না, কারণ তাদের ধৈর্যের সীমা ফুরিয়ে গেছে।’
এলিজাহ ম্যাগনিয়ার নামে এক সামর বিশ্লেষক তোহিদ আসাদির সঙ্গে একমত পোষণ করে আল-জাজিরাকে বলেন, ‘ইরানের সামনে দুটি বিকল্প আছে। হয় দেশটি তার সব মিত্রের পরাজয় না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং তারপর নিজেও ইসরায়েলের আক্রমণের শিকার হবে অথবা এখনই যুদ্ধে যোগ দেবে।’
এলিজাহ ম্যাগনিয়ার বলেন, ‘ইরান কোনো ইসরায়েলি হামলা সহ্য করবে না, এমনকি সামরিক স্থাপনা বা নিরাপত্তা অবকাঠামোর বিরুদ্ধেও কোনো হামলা সহ্য করবে না। কারণ, ইরান মনে করে, তারা এখন সমান...ইসরায়েল দুবার আঘাত করেছে, ইরানও দুবার আঘাত করেছে।’
ইউক্রেনের ‘আকাশে ও সমুদ্রে’ এক মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ফ্রান্স ও ব্রিটেন। গতকাল রোববার লন্ডনে সংকট বৈঠকের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এ কথা জানান। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৫ মিনিট আগেরাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক আলোচনার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছেন ইউরোপের নেতারা। এই লক্ষ্যে আজ রোববার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার লন্ডনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
৯ ঘণ্টা আগে‘প্রেসিডেন্ট অ্যাট ওয়ার’ নামে নতুন একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কীভাবে একাধিক মার্কিন প্রেসিডেন্টের জীবন ও শাসনকে প্রভাবিত করেছিল, তা বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া বইটিতে জন এফ কেনেডির প্রেমজীবনের একটি বিতর্কিত অধ্যায় তুলে ধরেছেন লেখক স্টিভেন এম গিলন। ইনগা আরভাদ নামে একজন
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণ সীমান্তে আরও প্রায় ৩ হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে। গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন কমান্ড (নর্থকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দ্বিতীয় স্ট্রাইকার ব্রিগেড কমব্যাট টিম (এসবিসিটি) থেকে প্রায় ২ হাজার ৪০০ সেনা এবং তৃতীয় কমব্যাট এভিয়েশন ব্রিগেড থেকে ৫০০
১১ ঘণ্টা আগে