Ajker Patrika

গাজার ‘পুরোপুরি বিধ্বস্ত’ অর্থনীতি যুদ্ধ-পূর্ব অবস্থায় ফিরতে লাগবে ৩৫০ বছর

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯: ৫৫
গাজার ‘পুরোপুরি বিধ্বস্ত’ অর্থনীতি যুদ্ধ-পূর্ব অবস্থায় ফিরতে লাগবে ৩৫০ বছর

ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই ‘পুরোপুরি বিধ্বস্ত’ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় অঞ্চলটির অর্থনীতি যুদ্ধ-পূর্ব অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে ৩৫০ বছর। এমনটাই উঠে এসেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নসংক্রান্ত শাখা আঙ্কটাডের এক প্রতিবেদন থেকে। 

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন শাখা আঙ্কটাডের তৈরি করা প্রতিবেদনে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের অর্থনৈতিক খরচ সম্পর্কে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে ইসরায়েলে ১ হাজার ১৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর থেকে চলমান আগ্রাসন গাজার অর্থনীতি ও অবকাঠামোকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। 

গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উপস্থাপিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের আগে থেকেই দুর্বল অবস্থায় থাকা গাজার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি থমকে গেছে এই আগ্রাসনের কারণে। কেবল ন্যূনতম মানবিক স্বাস্থ্য ও খাদ্য পরিষেবাগুলো চলছে। তা-ও এর মধ্যে সুপেয় পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের সংকট তীব্রতর এবং এসব পরিষেবা বাইরে থেকেও খুব একটা দেওয়া যাচ্ছে না। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ফলে অভূতপূর্ব মানবিক, পরিবেশগত ও সামাজিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে এবং গাজাকে পুনঃ উন্নয়নের পথ থেকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব কয়েক বছর ধরে বজায় থাকবে এবং গাজাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কয়েক দশক সময় লাগতে পারে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘একবার যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হলে ২০০৭-২০২২ সময়কালে গাজায় যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা ছিল, সেই অবস্থায় ফিরতে প্রায় ৩৫০ বছর সময় লাগবে।’ 

আঙ্কটাড বলেছে, চলতি বছরের প্রথম চতুর্থাংশে (জানুয়ারি–মার্চ মাস) গাজার ৯৬ শতাংশ নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে, কৃষি উৎপাদন নেমে গেছে ৯৩ শতাংশ, সামগ্রিক উৎপাদন কমেছে ৯২ শতাংশ, সেবা খাতের উৎপাদন কমেছে ৭৬ শতাংশ। এ ছাড়া বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ৮১ দশমিক ৭ শতাংশে। ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চলতে থাকায় গাজার এই পরিস্থিতি এখনো বিদ্যমান আছে কিংবা আরও খারাপ হয়েছে বলে মনে করে জাতিসংঘ। 

এই প্রতিবেদনে দেওয়া হিসাব বলছে, উল্লিখিত সীমাবদ্ধতাগুলো না থাকলে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ গাজার মোট দেশজ উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ৭৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি হতো। এর অর্থ হলো, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ক্ষতি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালে গাজার মোট জিডিপির ১৭ গুণ বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত