Ajker Patrika

গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ বলল ডব্লিউএইচও

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১: ০৫
গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ বলল ডব্লিউএইচও

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফাকে ‘ডেথ জোন’ বা ‘মৃত্যু অঞ্চল’ বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হাসপাতালটিতে এখনো যারা অবস্থান করছে, তাদের সরিয়ে নিতেও অনুরোধ করেছে সংস্থাটি। আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা।

গত শনিবার মানবিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ডব্লিউএইচওর নেতৃত্বে একটি দল হাসপাতালটি পরিদর্শন করে। এর আগেই আল-শিফা থেকে অধিকাংশ রোগী ও আশ্রয়প্রার্থীকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পর্যবেক্ষণকারী দলটি হাসপাতালের প্রবেশমুখেই একটি গণকবর দেখতে পায়, যেখানে একসঙ্গে ৮০ জনেরও বেশি লোককে কবর দেওয়া হয়েছিল। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, লজিস্টিক অফিসার এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত দলটি হাসপাতালে গোলাবর্ষণ ও গোলাগুলির দৃশ্যমান নানা লক্ষণও দেখতে পেয়েছে।

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে পর্যবেক্ষক দলটি হাসপাতালের ভেতরে মাত্র এক ঘণ্টা অবস্থান করতে সক্ষম হয় এবং সেই এক ঘণ্টার পরিদর্শনেই তাঁরা এই হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ বা ‘মৃত্যু অঞ্চল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। হাসপাতালের পরিস্থিতিকে ‘মরিয়া’ বলেও বর্ণনা করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, ওষুধ, খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাবে হাসপাতালটি ঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে কর্মীদের পক্ষে হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। করিডর এবং হাসপাতালের মাঠ বর্জ্যে ভরে গেছে। এতে এখানে অবস্থানরতদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে গেছে।

ডব্লিউএইচও আরও বলেছে, হাসপাতালে অবস্থানরত রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আতঙ্কিত। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তারা। আল-শিফা হাসপাতাল এখন আর নতুন করে কোনো রোগীকে ভর্তি করতে পারছে না এবং আহত ও অসুস্থদের ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে যেতে বলা হচ্ছে।

আল-শিফা হাসপাতালে এখনো ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৩২ শিশুসহ ২৯১ জন রোগী রয়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। রোগী, চিকিৎসক ও আশ্রয়প্রার্থীদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। নির্দেশ পালন করতে বন্দুকের মুখে বল প্রয়োগ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, যারা হাসপাতালটি ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছে, কেবল তাদের অনুরোধের ভিত্তিতেই বাহিনী কাজ করেছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকেই ফিলিস্তিনের গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা দেড় মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না স্কুল, মসজিদ এমনকি হাসপাতালের মতো স্থাপনাও। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে বেশ কয়েকটি দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত