অনলাইন ডেস্ক
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুরুতেই ধারণা করা হয়েছিল। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া এ সম্মেলন তেমন কোনো কৌশলগত অর্জন বা অগ্রগতি ছাড়াই ইতি টেনেছে।
সম্মেলনে আরব বিশ্বের নেতারা গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং অংশগ্রহণকারী ইউরোপের কূটনীতিকেরা সংঘাতের সময় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার ওপর জোর দেন। তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি সবাইকে হতাশ করেছে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর দুই সপ্তাহ পর এই সম্মেলনের ডাক দেয় মিসর। চলমান এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি ও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের হাতে বন্দী আরও ২০০ ইসরায়েলি।
সম্মেলন সফল না হলেও গতকাল জাতিসংঘের ২০ ট্রাক ত্রাণ মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ বলেছে, এই সহায়তা পর্যাপ্ত নয়। এটি মরুভূমিতে একবিন্দু জলের মতো। আর এসব ট্রাকে কোনো জ্বালানিও ছিল না, যা হাসপাতালের জেনারেটর চালানোর জন্য জরুরি। যেখানে আগে গাজায় ২০ লাখ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে প্রতিদিন ১০০টি ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করত।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইউরোপীয় নেতারা একদিকে ইসরায়েলকে শক্ত রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, অপর দিকে গাজায় মানবিক ত্রাণ অনুদান দিচ্ছে। ফলে তাদের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয় আগে থেকেই ছিল।
কায়রোর শান্তি সম্মেলনে কারা যোগ দিয়েছিলেন
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পাশাপাশি জর্ডান, ইরাকসহ বেশির ভাগ উপসাগরীয় দেশের নেতারা এ সম্মেলনে অংশ নেন। অনেক ইউরোপীয় দেশের প্রধান বা পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি পাঠায়। রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন ও জাপান থেকেও প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতির জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনের আগের দিন মিসরের সীমান্ত পরিদর্শন করেছিলেন। তিনিও সম্মেলনে যোগ দেন।
তবে এ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিল মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ও হামাস-হিজবুল্লাহর অর্থদাতা ইরান। তবে লেবাননের এক রাজনীতিবিদ আমেরিকান সংবাদ সংস্থা পলিটিকোকে বলেন, ইরানের অনুপস্থিতি এই সম্মেলন তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।
যুক্তরাষ্ট্র মিসর দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পাঠায়। তবে বাইডেন প্রশাসনের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়নি। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের মিত্র বাইডেন। হামাসের আক্রমণের পরে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে ওকালতি করেছেন তিনি। তবে ইসরায়েলকে ক্রোধ থেকে বেশি আগ্রাসী না হওয়ার জন্যও সতর্ক করেছেন।
গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তখন এক মার্কিন প্রতিনিধি বলেন, এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে।
সম্মেলনে কী বললেন বিশ্বনেতারা?
সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতারা মূলত যুদ্ধ বন্ধ, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা, জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের অভিযোগ বৈধ এবং দীর্ঘ। তবে কোনো কিছুই হামাসের নিন্দনীয় আক্রমণকে ন্যায্যতা দিতে পারে না। আর এই আক্রমণের ফলে কখনোই সব ফিলিস্তিনিকে ভোগান্তিতে ফেলাও ন্যায্য হতে পারে না।
সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহসহ আরব নেতারা ইসরায়েলের গাজা অবরোধ এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার কঠোর সমালোচনা করেন।
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ গাজা ও পশ্চিম তীরে সমস্ত বেসামরিক নাগরিকের ওপর ইসরায়েলের সহিংসতার নিন্দা জানান। তিনি গাজায় বোমা হামলাকে ‘নিষ্ঠুর এবং অসংবেদনশীল’ বলে অভিহিত করেন।
রাজা আবদুল্লাহ বলেন, ‘অবরুদ্ধ ও অসহায় মানুষদের সামষ্টিকভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটা যুদ্ধাপরাধ।’
তবে সম্মেলনে বেসামরিক নাগরিক এবং মানবিক সংকট নিয়ে পশ্চিমা নেতারা উদ্বেগ প্রকাশের সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন।
এদিকে গাজাকে মুক্ত করার দাবিতে প্রায় এক লাখ মানুষ লন্ডনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি সম্মেলনে জানান, তিনি আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান এবং গাজায় নাগরিকদের জীবন রক্ষার দায়িত্ব সম্পর্কে ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন।
জেমস ক্লেভারলি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আমি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে শৃঙ্খলা, পেশাদারি এবং সংযমের আহ্বান জানিয়েছি।’
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি।’
জোলিসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতা এই যুদ্ধ ইসরায়েল এবং গাজা থেকে আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেন। চলমান যুদ্ধে ইরানের সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।
এদিকে টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা ‘আগ্রহের সঙ্গে’ শীর্ষ শান্তি সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে সমস্ত প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও প্রতিরোধকে সমর্থন দেওয়া সব দেশের প্রশংসা করি।’
যুক্তরাজ্যর সংবাদমাধ্যম টাইম শীর্ষ এ সম্মেলনে ইসরায়েলের অনুপস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য ই-মেইলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া মেলেনি।
শীর্ষ সম্মেলনের অর্জন কী?
যুদ্ধরত দুটি পক্ষ (হামাস-ইসরায়েল) এবং তাদের সমর্থকেরা এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল না। বিশ্বনেতারা শীর্ষ সম্মেলনের শেষে কোনো যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেননি, ফলে বিভাজন স্পষ্ট। অর্থাৎ, সম্মেলনে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়নি। দুই পক্ষকে চাপ দেওয়ার মতো কেউ সম্মেলনে ছিলেন না! ফলে এই সংঘাত এখন অবধি সামরিক লড়াইয়ের মাঠেই থেকে গেল, যা বিশ্বের তথাকথিত শান্তিবাদী রাজনীতিবিদদের জন্য লজ্জাকর।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুরুতেই ধারণা করা হয়েছিল। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া এ সম্মেলন তেমন কোনো কৌশলগত অর্জন বা অগ্রগতি ছাড়াই ইতি টেনেছে।
সম্মেলনে আরব বিশ্বের নেতারা গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং অংশগ্রহণকারী ইউরোপের কূটনীতিকেরা সংঘাতের সময় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার ওপর জোর দেন। তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি সবাইকে হতাশ করেছে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর দুই সপ্তাহ পর এই সম্মেলনের ডাক দেয় মিসর। চলমান এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি ও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের হাতে বন্দী আরও ২০০ ইসরায়েলি।
সম্মেলন সফল না হলেও গতকাল জাতিসংঘের ২০ ট্রাক ত্রাণ মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ বলেছে, এই সহায়তা পর্যাপ্ত নয়। এটি মরুভূমিতে একবিন্দু জলের মতো। আর এসব ট্রাকে কোনো জ্বালানিও ছিল না, যা হাসপাতালের জেনারেটর চালানোর জন্য জরুরি। যেখানে আগে গাজায় ২০ লাখ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে প্রতিদিন ১০০টি ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করত।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইউরোপীয় নেতারা একদিকে ইসরায়েলকে শক্ত রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, অপর দিকে গাজায় মানবিক ত্রাণ অনুদান দিচ্ছে। ফলে তাদের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয় আগে থেকেই ছিল।
কায়রোর শান্তি সম্মেলনে কারা যোগ দিয়েছিলেন
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পাশাপাশি জর্ডান, ইরাকসহ বেশির ভাগ উপসাগরীয় দেশের নেতারা এ সম্মেলনে অংশ নেন। অনেক ইউরোপীয় দেশের প্রধান বা পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি পাঠায়। রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন ও জাপান থেকেও প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতির জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনের আগের দিন মিসরের সীমান্ত পরিদর্শন করেছিলেন। তিনিও সম্মেলনে যোগ দেন।
তবে এ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিল মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ও হামাস-হিজবুল্লাহর অর্থদাতা ইরান। তবে লেবাননের এক রাজনীতিবিদ আমেরিকান সংবাদ সংস্থা পলিটিকোকে বলেন, ইরানের অনুপস্থিতি এই সম্মেলন তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।
যুক্তরাষ্ট্র মিসর দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পাঠায়। তবে বাইডেন প্রশাসনের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়নি। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের মিত্র বাইডেন। হামাসের আক্রমণের পরে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে ওকালতি করেছেন তিনি। তবে ইসরায়েলকে ক্রোধ থেকে বেশি আগ্রাসী না হওয়ার জন্যও সতর্ক করেছেন।
গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তখন এক মার্কিন প্রতিনিধি বলেন, এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে।
সম্মেলনে কী বললেন বিশ্বনেতারা?
সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতারা মূলত যুদ্ধ বন্ধ, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা, জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের অভিযোগ বৈধ এবং দীর্ঘ। তবে কোনো কিছুই হামাসের নিন্দনীয় আক্রমণকে ন্যায্যতা দিতে পারে না। আর এই আক্রমণের ফলে কখনোই সব ফিলিস্তিনিকে ভোগান্তিতে ফেলাও ন্যায্য হতে পারে না।
সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহসহ আরব নেতারা ইসরায়েলের গাজা অবরোধ এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার কঠোর সমালোচনা করেন।
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ গাজা ও পশ্চিম তীরে সমস্ত বেসামরিক নাগরিকের ওপর ইসরায়েলের সহিংসতার নিন্দা জানান। তিনি গাজায় বোমা হামলাকে ‘নিষ্ঠুর এবং অসংবেদনশীল’ বলে অভিহিত করেন।
রাজা আবদুল্লাহ বলেন, ‘অবরুদ্ধ ও অসহায় মানুষদের সামষ্টিকভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটা যুদ্ধাপরাধ।’
তবে সম্মেলনে বেসামরিক নাগরিক এবং মানবিক সংকট নিয়ে পশ্চিমা নেতারা উদ্বেগ প্রকাশের সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন।
এদিকে গাজাকে মুক্ত করার দাবিতে প্রায় এক লাখ মানুষ লন্ডনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি সম্মেলনে জানান, তিনি আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান এবং গাজায় নাগরিকদের জীবন রক্ষার দায়িত্ব সম্পর্কে ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন।
জেমস ক্লেভারলি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আমি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে শৃঙ্খলা, পেশাদারি এবং সংযমের আহ্বান জানিয়েছি।’
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি।’
জোলিসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতা এই যুদ্ধ ইসরায়েল এবং গাজা থেকে আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেন। চলমান যুদ্ধে ইরানের সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।
এদিকে টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা ‘আগ্রহের সঙ্গে’ শীর্ষ শান্তি সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে সমস্ত প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও প্রতিরোধকে সমর্থন দেওয়া সব দেশের প্রশংসা করি।’
যুক্তরাজ্যর সংবাদমাধ্যম টাইম শীর্ষ এ সম্মেলনে ইসরায়েলের অনুপস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য ই-মেইলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া মেলেনি।
শীর্ষ সম্মেলনের অর্জন কী?
যুদ্ধরত দুটি পক্ষ (হামাস-ইসরায়েল) এবং তাদের সমর্থকেরা এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল না। বিশ্বনেতারা শীর্ষ সম্মেলনের শেষে কোনো যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেননি, ফলে বিভাজন স্পষ্ট। অর্থাৎ, সম্মেলনে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়নি। দুই পক্ষকে চাপ দেওয়ার মতো কেউ সম্মেলনে ছিলেন না! ফলে এই সংঘাত এখন অবধি সামরিক লড়াইয়ের মাঠেই থেকে গেল, যা বিশ্বের তথাকথিত শান্তিবাদী রাজনীতিবিদদের জন্য লজ্জাকর।
এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে বিপর্যস্ত চীনের সীমান্তবর্তী উত্তর মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) যুদ্ধ বন্ধ করতে চায়। এজন্য তাঁরা জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়। তাঁদের বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
১ ঘণ্টা আগেবিবিসি জানিয়েছে, আজ বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল অন্তত ১৬ সেন্টিমিটার পুরো তুষারের চাদরে ঢাকা পড়েছে। এর আগে ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে এই শহরটিতে সর্বোচ্চ ১২.৪ সেন্টিমিটার পুরুত্বের তুষারে ঢাকা পড়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেহিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র ভারত। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে হিন্দু আধিপত্য ক্রমশ বাড়ছে। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টে হিন্দুদের অধিকার ও রীতিনীতি সুরক্ষার জন্য ‘সনাতন ধর্ম রক্ষা বোর্ড’ নামে একটি বোর্ড গঠনের আবেদন করে ‘সনাতন হিন্দু সেবা সংঘ ট্রাস্ট’ নামে একটি সংগঠন। এই বোর্ড গঠনের জন্য জনস্বা
৩ ঘণ্টা আগেঅভিনেতার বিয়ে ছাড়াই সন্তান জন্মের ঘোষণাটি দক্ষিণ কোরিয়ায় সামাজিক প্রথার বাইরে গিয়ে পরিবার গঠন নিয়ে একটি জাতীয় বিতর্ককে উসকে দিয়েছে। বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি জন্ম নেওয়া এক শিশুকে নিজের সন্তান দাবি করে ঘোষণাটি দিয়েছেন ৫১ বছর বয়সী দক্ষিণ কোরিয়ার চলচ্চিত্র জগতের প্রথম সারির অভিনেতা জং উ-সাং।
৪ ঘণ্টা আগে