অনলাইন ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে তেল আবিব ও জেরুজালেমের রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি। তবে পদত্যাগ তো দূরের কথা, আগাম নির্বাচনের আহ্বানও প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহু।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে জনমত জরিপে নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে।
গত অক্টোবরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করার পর থেকে আগাম ভোটের দাবি জোরালো হচ্ছে। জিম্মিদের প্রায় অর্ধেকই গত নভেম্বরের সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি পেয়েছেন।
হামাসের হামলার জবাবে অবরুদ্ধ গাজায় নজিরবিহীন বিমান ও স্থল হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজায় এ অভিযানে প্রায় ২৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৪ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ অভিযানকে অনেক সরকারই গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছে।
২০২৩ সালের বেশির ভাগ সময় ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অস্থিতিশীল ছিল ইসরায়েল। কিন্তু এ যুদ্ধের কারণে বিক্ষোভ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়ে। এরপরও বিক্ষোভকারীরা গতকাল শনিবার রাতে আবার রাস্তায় নেমে আগাম নির্বাচনের দাবি জানায়। ইসরায়েলে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৬ সালে।
তেল আবিবে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। যদিও গত বছরের গণবিক্ষোভের তুলনায় জমায়েত বেশ ছোট ছিল।
মাথায় ইসরায়েলের পতাকা বেঁধে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমি সরকারকে বলতে চাই, আপনারা আপনাদের সময় পেয়েছেন, যা যা নষ্ট করতে পারতেন তার সবই নষ্ট করে দিয়েছেন। এখন সময় এসেছে মানুষের সবকিছু সংশোধন করার, আপনার সব খারাপ কাজ সংশোধন করার।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর সরকারি বাসভবনের বাইরেও বিক্ষোভ হয়েছে। জনগণের মধ্যে ক্রমেই হামাসের হাতে বন্দী শতাধিক জিম্মির পরিণতি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে।
বিক্ষোভকারীরা বলে, নেতানিয়াহু গাজা সংঘাত অবসানের বিষয়ে আলোচনার জন্য মিসরের রাজধানী কায়রোতে প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকার করায় তাঁরা ক্ষুব্ধ।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর কয়েক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে। কিন্তু ইসরায়েল ও হামাসের দাবির মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকায় আলোচনায় ভাটা পড়েছে। গতকাল শনিবার কাতার জানায়, আলোচনা ‘আশানুরূপ এগোচ্ছে না’।
হামাস বলেছে, ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ না করলে এবং গাজায় ‘অন্যায় অবরোধ প্রত্যাহার’ ছাড়া অবশিষ্ট সব বন্দীকে মুক্তি দেবে না তারা। একই সঙ্গে ইসরায়েলের হাতে বন্দী শত শত ফিলিস্তিনির মুক্তির দাবিও জানিয়েছে তারা।
নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে হামাসের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন, হামাসের যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য মার্কিন ও আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুরোধে গত সপ্তাহে কায়রোতে বৈঠকে তিনি একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের আবার পাঠানোর কোনো মানে দেখছেন না।
তেল আবিবের তথাকথিত জিম্মি স্কয়ারে বিশাল লাউডস্পিকারে বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে বলেন, ‘তাঁদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন না! আমাদের চোখের দিকে তাকান, কায়রো সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রতিনিধি পাঠান এবং জিম্মিদের এখনই ঘরে ফিরিয়ে আনুন।’
এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহুকে গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আগাম নির্বাচন আয়োজনের জন্য নিজের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টি থেকেই আহ্বানের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়।
তিনি এর জবাবে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের যে জিনিসটি প্রয়োজন নেই তা হলো নির্বাচন এবং নির্বাচন মোকাবিলা, কারণ নির্বাচন অবিলম্বে আমাদের বিভক্ত করে ফেলবে। আমাদের এই মুহূর্তে দরকার ঐক্য।’
তবে ইসরায়েল ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউটের এক জরিপে দেখা গেছে, দুই–তৃতীয়াংশের বেশি ইসরায়েলি মনে করেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে তেল আবিব ও জেরুজালেমের রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি। তবে পদত্যাগ তো দূরের কথা, আগাম নির্বাচনের আহ্বানও প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহু।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে জনমত জরিপে নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে।
গত অক্টোবরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করার পর থেকে আগাম ভোটের দাবি জোরালো হচ্ছে। জিম্মিদের প্রায় অর্ধেকই গত নভেম্বরের সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি পেয়েছেন।
হামাসের হামলার জবাবে অবরুদ্ধ গাজায় নজিরবিহীন বিমান ও স্থল হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজায় এ অভিযানে প্রায় ২৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৪ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ অভিযানকে অনেক সরকারই গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছে।
২০২৩ সালের বেশির ভাগ সময় ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অস্থিতিশীল ছিল ইসরায়েল। কিন্তু এ যুদ্ধের কারণে বিক্ষোভ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়ে। এরপরও বিক্ষোভকারীরা গতকাল শনিবার রাতে আবার রাস্তায় নেমে আগাম নির্বাচনের দাবি জানায়। ইসরায়েলে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৬ সালে।
তেল আবিবে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। যদিও গত বছরের গণবিক্ষোভের তুলনায় জমায়েত বেশ ছোট ছিল।
মাথায় ইসরায়েলের পতাকা বেঁধে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমি সরকারকে বলতে চাই, আপনারা আপনাদের সময় পেয়েছেন, যা যা নষ্ট করতে পারতেন তার সবই নষ্ট করে দিয়েছেন। এখন সময় এসেছে মানুষের সবকিছু সংশোধন করার, আপনার সব খারাপ কাজ সংশোধন করার।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর সরকারি বাসভবনের বাইরেও বিক্ষোভ হয়েছে। জনগণের মধ্যে ক্রমেই হামাসের হাতে বন্দী শতাধিক জিম্মির পরিণতি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে।
বিক্ষোভকারীরা বলে, নেতানিয়াহু গাজা সংঘাত অবসানের বিষয়ে আলোচনার জন্য মিসরের রাজধানী কায়রোতে প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকার করায় তাঁরা ক্ষুব্ধ।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর কয়েক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে। কিন্তু ইসরায়েল ও হামাসের দাবির মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকায় আলোচনায় ভাটা পড়েছে। গতকাল শনিবার কাতার জানায়, আলোচনা ‘আশানুরূপ এগোচ্ছে না’।
হামাস বলেছে, ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ না করলে এবং গাজায় ‘অন্যায় অবরোধ প্রত্যাহার’ ছাড়া অবশিষ্ট সব বন্দীকে মুক্তি দেবে না তারা। একই সঙ্গে ইসরায়েলের হাতে বন্দী শত শত ফিলিস্তিনির মুক্তির দাবিও জানিয়েছে তারা।
নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে হামাসের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন, হামাসের যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য মার্কিন ও আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুরোধে গত সপ্তাহে কায়রোতে বৈঠকে তিনি একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের আবার পাঠানোর কোনো মানে দেখছেন না।
তেল আবিবের তথাকথিত জিম্মি স্কয়ারে বিশাল লাউডস্পিকারে বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে বলেন, ‘তাঁদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন না! আমাদের চোখের দিকে তাকান, কায়রো সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রতিনিধি পাঠান এবং জিম্মিদের এখনই ঘরে ফিরিয়ে আনুন।’
এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহুকে গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আগাম নির্বাচন আয়োজনের জন্য নিজের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টি থেকেই আহ্বানের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়।
তিনি এর জবাবে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের যে জিনিসটি প্রয়োজন নেই তা হলো নির্বাচন এবং নির্বাচন মোকাবিলা, কারণ নির্বাচন অবিলম্বে আমাদের বিভক্ত করে ফেলবে। আমাদের এই মুহূর্তে দরকার ঐক্য।’
তবে ইসরায়েল ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউটের এক জরিপে দেখা গেছে, দুই–তৃতীয়াংশের বেশি ইসরায়েলি মনে করেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত।
ভারতের বিশেষ করে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় পরিবারগুলোর সন্তান দেখাশোনার কাজ বেছে নিচ্ছেন। প্রতি ঘণ্টা ১৩ থেকে ১৮ ডলার পান তাঁরা। তবে এই সম্মানী এলাকা ও প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। অনেক পরিবার বেবি সিটারদের থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে।
৩০ মিনিট আগেইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়াতে হামলা চালানোর পর যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া জানাল, পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের দালনে গ্রাম দখলে নিয়েছে তাদের সেনারা। অবশ্য রাশিয়ার গ্রাম দখলের বিষয়টি স্বীকার করেনি ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ।
১ ঘণ্টা আগেট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মনোনীত হওয়ার পরপরই যৌন কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে সরে দাঁড়াতে হলো ম্যাট গেটজকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে পুরোনো মিত্র পাম বন্ডিকে বেছে নিলেন ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগেকংগ্রেস ভবনের সব শৌচাগার, পোশাক পরিবর্তনের কক্ষ, লকার রুমগুলো নারী–পুরুষ অনুযায়ী ভাগ করা আছে। নারীদের জন্য নির্ধারিত পরিসরে শুধু নারীদের অধিকার থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন লুইজিয়ানার এই রিপাবলিকান প্রতিনিধি।
৪ ঘণ্টা আগে