Ajker Patrika

আসাদকে উৎখাতের সম্মুখ সমর ও নেপথ্যে কারা, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ কী

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ৩২
হামা শহরে বিদ্রোহীদের একটি সামরিক যান। ছবি: এএফপি
হামা শহরে বিদ্রোহীদের একটি সামরিক যান। ছবি: এএফপি

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ভেঙে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে দিয়েছে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৩ বছর আগে, আরব বসন্তের সময়। যা পরে এক রক্তাক্ত, বহুমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এই সংঘর্ষে দেশীয় বিরোধী গোষ্ঠী, চরমপন্থী গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক শক্তি জড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি সিরিয়ান নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী দ্রুতগতিতে আক্রমণ চালিয়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাশাপাশি দেশটির রাজধানী দখল করে নিয়েছে। যা দেশটিতে এক যুগের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা ভেঙে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশত্যাগ করেছেন।

আপাতদৃষ্টিতে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির সূচনা মনে হলেও দেশটি আসলে কোন দিকে যাবে তা জানার জন্য আরও অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে দেশটিতে বিভিন্ন স্থানীয় শক্তি ও আন্তর্জাতিক শক্তি জড়িত থাকায় আগামী দিন যে খুব একটা সহজ হবে না তা অনুমেয়।

কে কার বিরুদ্ধে লড়েছে

বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বে সরকারি বাহিনী

বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বে সিরিয়ার সরকার ২০১১ সালে শুরু হওয়া দীর্ঘস্থায়ী এবং ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধের অন্যতম পক্ষ। তিনি ২০০০ সালে তাঁর বাবা হাফিজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন। হাফিজ আল-আসাদ ১৯৭১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। হাফিজ মারা যান ২০০০ সালে। আসাদ শুরুতে নিজেকে আধুনিক সংস্কারক হিসেবে উপস্থাপন করলেও আরব বসন্তের সময় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন, যা দেশজুড়ে বিদ্রোহের সৃষ্টি করে।

হামায় একটি সরকারি ভবনে আসাদের ছবিতে আগুন লাগিয়ে দেয় স্থানীয়রা। ছবি: এএফপি
হামায় একটি সরকারি ভবনে আসাদের ছবিতে আগুন লাগিয়ে দেয় স্থানীয়রা। ছবি: এএফপি

যুদ্ধের কয়েক বছর পর ইরান, রাশিয়া এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়ার সহায়তায় আসাদ সরকার বিদ্রোহীদের কাছ থেকে হারানো বেশির ভাগ অঞ্চল পুনর্দখল করে। তবে সম্প্রতি বাশার আল-আসাদের মিত্ররা বিভিন্ন সংঘাতে দুর্বল হয়ে পড়েছে বা অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়ায় আসাদ সরকার আবার বিপদে পড়ে।

হায়াত তাহরির আল-শাম

হায়াত তাহরির আল-শাম (শাম মুক্তির সংগঠন) সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শুরুতে জিহাদি গোষ্ঠী আল-নুসরা ফ্রন্ট হিসেবে গঠিত হয়েছিল। এটি আসাদবিরোধী বাহিনীর বিরুদ্ধে শত শত আক্রমণ চালিয়েছে, যার মধ্যে আত্মঘাতী হামলাও ছিল। প্রথমদিকে ইসলামিক স্টেট ও পরে আল-কায়েদার সঙ্গে গোষ্ঠীটির যোগসূত্র ছিল। তবে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি আল-নুসরা ফ্রন্ট তাদের চরমপন্থী পরিচয় ঝেড়ে ফেলে এবং অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে হায়াত তাহরির আল-শাম গঠন করে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ এটিকে এখনো একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে গণ্য করে।

গোষ্ঠীটির নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জালানি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নিপীড়নমূলক শাসন থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করা। তিনি ইদলিব অঞ্চলে সরকারি সেবা দিয়ে করে বৈধতা অর্জনের চেষ্টা করছেন।

কুর্দি বাহিনী

সিরিয়ার কুর্দি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাহিনী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান স্থানীয় মিত্র হয়ে ওঠে এবং সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের অধীনে লড়াই চালায়। গোষ্ঠীটি পরাজিত হওয়ার পর কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গড়ে তোলে। তবে তাদের দীর্ঘদিনের শত্রু তুরস্ক। কারণ দেশটি মনে করে, সিরিয়ার এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে তুরস্কের কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। এই বিষয়টি কুর্দি যোদ্ধাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

এ ছাড়াও সিরিয়ার বিভিন্ন মিলিশিয়া দল রয়েছে, যাদের নিজস্ব এজেন্ডা ও মিত্র রয়েছে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদেশি খেলোয়াড়

তুরস্ক

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তুরস্ক একাধিকবার সীমান্ত পেরিয়ে সামরিক হস্তক্ষেপ চালিয়েছে, মূলত কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে তুরস্ক কার্যত সিরিয়ার উত্তর সীমান্ত বরাবর একটি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। তুরস্ক সিরিয়ার কুর্দিদের বিরোধিতা করলেও সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির মতো গোষ্ঠীগুলোকেও সমর্থন করে। এটি সিরিয়ার বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট। বিশ্লেষকেরা বলছেন, হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বাধীন আক্রমণেও তুরস্ক সম্ভবত পরোক্ষ সমর্থন দিয়েছে।

দামেস্কের উপকণ্ঠে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জনতার উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি
দামেস্কের উপকণ্ঠে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জনতার উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান শুক্রবার বিদ্রোহীদের অগ্রগতিকে সরাসরি সমর্থন দেন। ইস্তাম্বুলে শুক্রবারের জুমার নামাজ শেষে তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘...ইদলিব, হামা, হোমস এবং অবশ্যই লক্ষ্য হলো দামেস্ক। বিরোধীদের মার্চ অব্যাহত রয়েছে। আমাদের ইচ্ছা, সিরিয়ায় এই অগ্রগতি কোনো দুর্ঘটনা বা বিপর্যয় ছাড়াই চলতে থাকবে।’ সিরিয়ার নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা (বাশার আল— ) আসাদকে আহ্বান জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, আসুন, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ একসঙ্গে নির্ধারণ করি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ইতিবাচক সাড়া পাইনি।’

রাশিয়া

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বিদেশি সমর্থকদের একটি রাশিয়া। আসাদের বাহিনীকে সমর্থন দিতে রুশ সৈন্য ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর পাশাপাশি সিরিয়ায় কৌশলগত সামরিক উপস্থিতি ধরে রেখেছে রাশিয়া। এ অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য তারা বিমান ও নৌঘাঁটি ব্যবহার করে।

তবে ইউক্রেনের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কারণে রাশিয়া সিরিয়ার সরকারকে পূর্বের মতো সক্রিয়ভাবে সমর্থন করতে পারছে না বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন। বিদ্রোহীদের অগ্রগতি ঠেকাতে রুশ বিমান হামলা তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে।

ইরান ও হিজবুল্লাহ

সিরিয়া হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ইয়েমেনের হুতিদের নিয়ে গঠিত ইরানের নেতৃত্বে ‘অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘প্রতিরোধ অক্ষের’ একটি মূল অংশ। এই অক্ষের লক্ষ্য হলো ইসরায়েল ধ্বংস করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান প্রভাব হ্রাস করা। ইরান সিরিয়া এবং ইরাক হয়ে হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাচার করে। এর বিনিময়ে ইরান ও হিজবুল্লাহ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আসাদের পক্ষে হাজার হাজার যোদ্ধা পাঠিয়েছে। গত শুক্রবার ইরান তার সামরিক কমান্ডার ও কর্মীদের সিরিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করে। এটি সিরিয়ায় ইরানের অবস্থান হারানোর একটি ইঙ্গিত ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। ওবামা প্রশাসন শুরুতে বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছিল, যদিও তাতে সীমিত ফলাফল মিলেছিল। আবার ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা ও কুর্দি বাহিনীর সহায়তায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তেলক্ষেত্র এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ইরাক ও জর্ডান সীমান্তের কাছে একটি ঘাঁটিতে প্রায় ৯০০ সৈন্য এখনো মোতায়েন রয়েছে।

ইসরায়েল সিরিয়ায় বেশির ভাগ সময় হিজবুল্লাহ ও ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। বিশেষত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের, অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রগুলো এবং ইরান থেকে হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাঠানোর করিডর লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে।

বিদ্রোহীদের বিজয় কী অর্থ বহন করে?

বিদ্রোহীরা বলছে, তাদের লক্ষ্য হলো আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা। তবে তাঁর পতন হলে কী ঘটবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই তাঁকে সিরিয়ার নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল, যদিও তিনি বিরোধীদের দমন এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।

অনেক দেশের কাছে আসাদ কিছুটা স্থিতিশীলতার প্রতীক, ফলে বিদ্রোহীদের ক্ষমতা দখল অঞ্চলে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে। গত বছর কিছু আরব দেশ দীর্ঘকাল আসাদের সরকারকে বয়কট করার পর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা শুরু করেছে।

সরকারিভাবে আমেরিকান কর্মকর্তারা হায়াত তাহরির আল-শামের বিষয়ে সতর্ক ছিলেন। তবে মার্কিন সরকারের কিছু অংশ মনে করে, গোষ্ঠীটির বাস্তববাদী হওয়ার প্রবণতা সত্যিকারের হতে পারে। নেতারা জানেন, যদি তাদের জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে তারা সিরিয়ার সরকারে যোগদান বা নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না।

বিদ্রোহীরা সফল হোক বা না হোক, ইসরায়েল, ইরান ও তুরস্কের মতো প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলোর এই যুদ্ধে বড় ধরনের স্বার্থ রয়েছে। ফলে এর প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো বৈশ্বিক শক্তিতেও পড়বে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে এক শান্তিপূর্ণ সরকারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। পরে এই যুদ্ধ সশস্ত্র বিদ্রোহী, চরমপন্থী এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে জটিল সংঘাতে রূপ নেয়। এই সংঘাত শুরু হয় যখন সিরিয়ার জনগণ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের জবাবে সহিংস দমন চালানো হয় এবং নিজেদের রক্ষার জন্য বিভিন্ন সম্প্রদায় অস্ত্র তুলে নেয়। এর পরপরই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে সিরিয়ার জাতিগত কুর্দি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী অস্ত্র হাতে তুলে নেয় এবং ধীরে ধীরে তাদের নিজেদের বলে দাবি করা এলাকা দখল করে। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অংশ দখল করে এবং সেই অঞ্চলকে নিজেদের ‘খেলাফত’ ঘোষণা করে, যা এই অঞ্চলে আরও অস্থিরতা তৈরি করে।

আল-আসাদ সরকার ইরান, রাশিয়া এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন পেয়েছে। অন্যদিকে, বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মতো তেলসমৃদ্ধ আরব রাষ্ট্রগুলো। কুর্দি মিলিশিয়াদের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে তুরস্কও হস্তক্ষেপ করে।

এই যুদ্ধে কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আসাদপন্থী বাহিনীই সবচেয়ে বেশি নৃশংসতার জন্য দায়ী। সরকার সাধারণ মানুষকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে রাসায়নিক অস্ত্র, ব্যারেল বোমা এবং ক্ষুধা নীতি ব্যবহার করেছে।

নিউইয়র্ক টাইমস থেকে অনূদিত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিরিয়ায় রাশিয়ার ঘাঁটি রাখতে যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের তদবির

চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

‘আমাদের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করলে থানা ঘেরাও করব’, সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল

এনসিপির কর্মীদের ঢাকায় আনতে সরকারের বাস রিকুইজিশন, সমালোচনার ঝড়

নয়াদিল্লিতে নতুন হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ, ৩ মাস সময় নিল ভারত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত