ইসরায়েলি জিম্মিদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে পারবেন না হামাস নেতা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪, ২২: ০৭

অবরুদ্ধ গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো আশ্বাস দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা বাসেম নাইম। তবে জিম্মিদের যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে জাতিসংঘের একজন বিশেষ প্রতিনিধির দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। বার্তা সংস্থা সিএনএন এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বলেন, ‘আমি এখন কাউকে জিম্মিদের সুস্থতা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে পারছি না, কারণ ফিলিস্তিনিদের মতো সকল যুদ্ধবন্দীই এখন একই ধরনের বোমাবর্ষণ এবং ক্ষুধার সম্মুখীন।’ তবে জিম্মিদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের অফিস থেকে জুম সাক্ষাৎকারে গত বুধবার বাসেম নাইম ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা, হামাসের হাতে এখনো ১৩০ জন ইসরায়েলি জিম্মির ভাগ্য এবং হামাসের দায়িত্ব সম্পর্কে সিএনএনের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামাসের হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করার ধারণাকে অস্বীকার করেন তিনি। বেসামরিকদের লক্ষ্য করে সেই হামলা চালানো হয়নি বলেও দাবি করেন এই নেতা।

সে সঙ্গে, গাজায় ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ চালানোর অভিযোগে ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছেন বাসেম নাইম। পবিত্র রমজান মাসেও ইসরায়েলিদের গণহত্যা বন্ধ না হওয়ায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধে ফিলিস্তিনিদের হামাসের যোগদানের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা প্যাটেনের নেতৃত্বে জাতিসংঘের একটি দল বলেছিল, তারা স্পষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেয়েছে যে, হামাসের হাতে জিম্মি কয়েকজন নারীকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হামাস নেতা বাসেম নাইম। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি একজন প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকেও কোনো শক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তিনি ভুক্তভোগীদের কারও সঙ্গেই দেখা করেননি।’

প্রমিলা প্যাটেনের দল মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের ৩৪ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তার ভিত্তিতে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্ত হওয়া জিম্মিদের প্রত্যক্ষ বিবরণের ভিত্তিতে জাতিসংঘের দলটি স্পষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেয়েছে যে, সেখানে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন নারীরা। যার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন এবং বন্দী থাকাকালীন কয়েকজন নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত