জেরুজালেমের সিনাগগে গুলি করে ৭ জনকে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১০: ১০
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১২: ৪৩

পূর্ব জেরুজালেমের একটি সিনাগগে (ইহুদিদের উপাসনালয়) সাতজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে নেভ ইয়াকভ পাড়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী একজন সন্ত্রাসী। তিনিও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম ওই হামলাকারীকে একজন ফিলিস্তিনি হিসেবে বর্ণনা করেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ইসরায়েলি পুলিশ কমিশনার কোবি শাবতাই বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যত হামলা হয়েছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলোর একটি।

পুলিশ জানিয়েছে, ইসরায়েলি উপাসকেরা ওই সিনাগগে প্রার্থনার জন্য সমবেত হয়েছিলেন। হঠাৎ একজন বন্দুকধারী সেখানে গুলি চালাতে শুরু করে। পরে পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছেন।

বন্দুকধারী ওই ব্যক্তি একটি সাদা রঙের গাড়িতে চেপে এসেছিলেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ফরেনসিক দলগুলো গাড়িটির তদন্ত করছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এই হামলার প্রশংসা করেছে। পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিরা শোভাযাত্রা ও মিষ্টি বিতরণ করে এই হামলা উদ্‌যাপন করেছে। তবে ফিলিস্তিনি কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘বন্দুকধারী ব্যক্তিটি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। পুলিশ তাকে পেছন থেকে ধাওয়া করে এবং গুলি করতে থাকে।’

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবারের এই বন্দুক হামলার ঘটনায় ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।’ হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

হামলার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত