গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৭ মে ২০২৪, ০৯: ৫০
Thumbnail image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য ঘরে-বাইরে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে। গাজায় গণহত্যা বন্ধে দেশে দেশে বিক্ষোভের পাশাপাশি ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও জিম্মিদের নিরাপদে ফেরানোর দাবি জোরালো হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

জিম্মিদের ফেরানোর দাবিতে বিভিন্ন বিক্ষোভ থেকে সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এই ইস্যুতে সরকারের অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা তাঁদের নিজেদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখা নিয়ে ব্যস্ত। 

চলতি মাসের শুরুর দিকে ইয়ার লাপিদ বলেছিলেন, গাজায় প্রতিদিন ইসরায়েলি সেনাদের হত্যা করা হচ্ছে আর তাঁরা (ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সদস্যরা) টেলিভিশনে নিজেদের মধ্যে লড়াই করছেন। এই মন্ত্রিসভা বিচ্ছিন্ন ও অকার্যকর। নেতানিয়াহু প্রশাসন তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে পড়ছে, মধ্যবিত্তরা ব্যাপক চাপে পড়ছে। 

এদিকে, জিম্মিদের ফেরানোর দাবিতে গত শনিবার ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে আওয়াজ তোলেন। অনেকের হাতে ছিল জিম্মিদের ছবি। কারও কারও হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, এই ‘যুদ্ধ থামাও’। 

জিম্মিদের ফেরাতে ইসরায়েলে বিক্ষোভের মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যদের হতাহতের তালিকা ক্রমেই আরও দীর্ঘ হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা গতকাল জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার জাবালিয়া এলাকা থেকে যুদ্ধরত একদল ইসরায়েলি সেনাকে জিম্মি করার দাবি করেছে হামাস। হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, ‘একটি সুড়ঙ্গে অতর্কিত হামলা চালাতে ইহুদি বাহিনীকে (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) প্রলুব্ধ করে আমাদের যোদ্ধারা। পরে ওই বাহিনীর সব সদস্যকে হতাহত ও আটকের পর অভিযান শেষ করা হয়েছে।’ 

হামাসের এমন দাবি অবশ্য প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। আইডিএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এমন কিছুই ঘটেনি। নতুন করে হামাসের হাতে ইসরায়েলের কোনো সেনাসদস্য জিম্মি হয়নি। আইডিএফের তরফে বিষয়টি অস্বীকার করা হলেও হামাসের প্রকাশিত এক ভিডিওতে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তিকে সুড়ঙ্গের ভেতরে টেনে নিয়ে যেতে দেখা যায়। সেখানে তাঁর অস্ত্র ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জামের ছবিও দেখানো হয়। 

এদিকে নানামুখী চাপে যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় বসতে পারে ইসরায়েল এমন গুঞ্জন রয়েছে। এ বিষয়ে অবগত একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আবার আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কাতার ও মিসর মূল মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকলেও এ প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রেরও সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকবে। জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকেই আলোচনায় বসতে পারে বিবদমান পক্ষ দুটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত