যেভাবে গাজায় যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ করছেন এক ফ্রিল্যান্সার নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৯: ৪৪

হিন্দ খোদারি একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে চলমান সংঘাতের মধ্যে একটি ক্যামেরা এবং মোবাইল ফোন দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাগুলো ছবি এবং ভিডিও আকারে ধারণ করছেন তিনি। 

আরব আমিরাত ভিত্তিক দ্য ন্যাশনালকে তিনি বলেন, ‘অসংখ্য মানুষ জানতে চান—গাজার ভেতরে কী ঘটছে।’ আরও বলেন, ‘নিরীহ মানুষগুলোর ওপর এ ধরনের যুদ্ধাপরাধ আমাদের কাম্য না।’ 

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরুর মাত্র দুই মাস আগে নিজের জন্মস্থান গাজায় ফিরে এসেছিলেন হিন্দ খোদারি। এর আগে করোনা মহামারির মধ্যে প্রায় চার বছর তুরস্কে ছিলেন ফিলিস্তিনি এই নারী। 

খোদারির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় হাসপাতালগুলোর মর্মান্তিক চিত্র। বোমায় আহত এবং উপচে পড়া নারী, পুরুষ ও শিশুদের আর্ত চিৎকার ছাড়া এখন আর কিছুই শোনা যায় না এসব হাসপাতালে। পড়ে আছে সারি সারি মরদেহ। 

আরও দেখা যাচ্ছে, ধ্বংসাবশেষে পরিণত হওয়া ঘর-বাড়ি, খাদ্য আর পানীয় স্বল্পতার মধ্যে জীবন টিকিয়ে রাখতে মানুষের সংগ্রাম। 

খোদারি বলেন, ‘এখন আমি আমার নিজের পাড়াকেই চিনতে পারি না।’ 

থাকার মতো নিজের সবগুলো আশ্রয় ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় আপাতত গাজার আল-শিফা হাসপাতালের আশপাশেই অবস্থান করছেন খোদারি। এক বন্ধুর গাড়ির ভেতরেই ঘুমাতে হয় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে, আমরা সবাই মারা যাবো। এখন পর্যন্ত ১৮ জন সাংবাদিক মারা গেছেন। সংখ্যাটা ক্রমেই বাড়ছে। এটা বিপর্যয়কর।’ 

খোদারি আরও বলেন, ‘এই গল্পের কোনো শেষ নেই। আমার চাচাতো ভাই আমার একদল বন্ধুসহ বিমান হামলায় মারা গেছে। বিমান হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে বের করা হয়েছে আমার মায়ের পরিবারকে। ধ্বংস হয়ে গেছে আমার স্বামীর বাড়িও।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের ভূমিতেই আমরা সবাই শরণার্থী হয়ে গেছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত