অনলাইন ডেস্ক
গাজায় পারমাণবিক বোমা হামলার কথা প্রকাশ্যে বলা ইসরায়েলি মন্ত্রীকে ক্যাবিনেট থেকে বরখাস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের ঐতিহ্যবিষয়ক মন্ত্রী আমিচে এলিয়াহুকে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত রোববার একটি বিবৃতি দিয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এলিয়াহুর মন্তব্য ‘বাস্তবতাবহির্ভূত’। গাজার যেসব নিরীহ বাসিন্দা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন না, তাঁদের প্রাণ রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক আইন মেনে চেষ্টা করছে ইসরায়েল ও আইডিএফ। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সেই চেষ্টাই করে যাওয়া হবে।
ইসরায়েলের কোল বারামা রেডিওতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমিচে এলিয়াহু কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। হামাসের হামলার পর ইসরায়েল যে মাত্রায় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে, তাতে তিনি পুরোপুরি খুশি নন বলে সেখানে জানান। সাক্ষাৎকারে এলিয়াহুকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি গাজার ‘সবাইকে হত্যা করতে’ সেখানে পারমাণবিক বোমা ফেলার পক্ষে কথা বলেছিলেন কি না? জবাবে এলিয়াহু বলেন, এটি একটি বিকল্প হতে পারে।
আরেক প্রশ্নে হামাসের হাতে বন্দী ২৪০ জিম্মির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে এলিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধে কিছুটা মূল্য দিতেই হয়।’ তার এ মন্তব্যকে ‘বেপরোয়া ও নিষ্ঠুর’ বলে উল্লেখ করেছে জিম্মি ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত দ্য হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং পারসনস ফ্যামিলিস ফোরাম।
ইসরায়েলি মন্ত্রীর এসব মন্তব্যে আরব থেকে পশ্চিমা বিশ্ব- সর্বত্রই হয়েছে সমালোচনা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এলিয়াহুর মন্তব্যকে ‘আপত্তিকর’ আখ্যা দিয়ে বলেন, অবশ্যই তাঁর বক্তব্যটি প্রচণ্ড আপত্তিকর। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ব্যাপারটি পরিষ্কার করেছেন যে, ইসরায়েল সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী বক্তব্য নয় ওসব।
আরব লিগ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলের মন্ত্রী এলিয়াহুর একটি বর্ণবাদী বিবৃতি প্রকাশ পেয়েছে। তিনি শুধু স্বীকারই করেননি যে তাদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র আছে, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইসরায়েলিদের ঘৃণ্য বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তবতাও আবার নিশ্চিত করলেন তিনি।’
এদিকে সাক্ষাৎকারে দেওয়া মন্তব্যগুলো নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর এক্সে (সাবেক টুইটার) এলিয়াহু লিখেছেন, ‘যাদের বুদ্ধি বিবেচনা আছে তারা সহজেই বুঝতে পারবে যে, আমার কথাটি ছিল রূপক অর্থে। তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া অবশ্যই প্রয়োজন ছিল, যা নাৎসি এবং তাদের সমর্থকদের কাছে স্পষ্ট করবে যে সন্ত্রাসবাদ কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
আর জিম্মিদের নিয়ে তিনি বলেন, জিম্মিদের নিরাপদে ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনতে তিনি সম্ভাব্য সবকিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি অঞ্চল গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজারে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৭ হাজার ২০০ জন। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু ও নারী। গাজা ও ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পৃথক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজায় পারমাণবিক বোমা হামলার কথা প্রকাশ্যে বলা ইসরায়েলি মন্ত্রীকে ক্যাবিনেট থেকে বরখাস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের ঐতিহ্যবিষয়ক মন্ত্রী আমিচে এলিয়াহুকে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত রোববার একটি বিবৃতি দিয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এলিয়াহুর মন্তব্য ‘বাস্তবতাবহির্ভূত’। গাজার যেসব নিরীহ বাসিন্দা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন না, তাঁদের প্রাণ রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক আইন মেনে চেষ্টা করছে ইসরায়েল ও আইডিএফ। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সেই চেষ্টাই করে যাওয়া হবে।
ইসরায়েলের কোল বারামা রেডিওতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমিচে এলিয়াহু কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। হামাসের হামলার পর ইসরায়েল যে মাত্রায় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে, তাতে তিনি পুরোপুরি খুশি নন বলে সেখানে জানান। সাক্ষাৎকারে এলিয়াহুকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি গাজার ‘সবাইকে হত্যা করতে’ সেখানে পারমাণবিক বোমা ফেলার পক্ষে কথা বলেছিলেন কি না? জবাবে এলিয়াহু বলেন, এটি একটি বিকল্প হতে পারে।
আরেক প্রশ্নে হামাসের হাতে বন্দী ২৪০ জিম্মির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে এলিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধে কিছুটা মূল্য দিতেই হয়।’ তার এ মন্তব্যকে ‘বেপরোয়া ও নিষ্ঠুর’ বলে উল্লেখ করেছে জিম্মি ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত দ্য হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং পারসনস ফ্যামিলিস ফোরাম।
ইসরায়েলি মন্ত্রীর এসব মন্তব্যে আরব থেকে পশ্চিমা বিশ্ব- সর্বত্রই হয়েছে সমালোচনা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এলিয়াহুর মন্তব্যকে ‘আপত্তিকর’ আখ্যা দিয়ে বলেন, অবশ্যই তাঁর বক্তব্যটি প্রচণ্ড আপত্তিকর। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ব্যাপারটি পরিষ্কার করেছেন যে, ইসরায়েল সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী বক্তব্য নয় ওসব।
আরব লিগ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলের মন্ত্রী এলিয়াহুর একটি বর্ণবাদী বিবৃতি প্রকাশ পেয়েছে। তিনি শুধু স্বীকারই করেননি যে তাদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র আছে, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইসরায়েলিদের ঘৃণ্য বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তবতাও আবার নিশ্চিত করলেন তিনি।’
এদিকে সাক্ষাৎকারে দেওয়া মন্তব্যগুলো নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর এক্সে (সাবেক টুইটার) এলিয়াহু লিখেছেন, ‘যাদের বুদ্ধি বিবেচনা আছে তারা সহজেই বুঝতে পারবে যে, আমার কথাটি ছিল রূপক অর্থে। তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া অবশ্যই প্রয়োজন ছিল, যা নাৎসি এবং তাদের সমর্থকদের কাছে স্পষ্ট করবে যে সন্ত্রাসবাদ কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
আর জিম্মিদের নিয়ে তিনি বলেন, জিম্মিদের নিরাপদে ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনতে তিনি সম্ভাব্য সবকিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি অঞ্চল গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজারে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৭ হাজার ২০০ জন। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু ও নারী। গাজা ও ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পৃথক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন। যার ফলে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে কেউ আর সহজেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে করতে পারবেন না। মার্কিন সরকারের একটি নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত ৩টি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ইরানের নেতৃত্বের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন দেশটির পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য। তবে ইরান বলেছে, তারা এখনো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো চিঠি পায়নি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেফ্রান্সের এক সাবেক সার্জন তথা শল্যচিকিৎসক প্রায় ৩০০ রোগীকে যৌন নির্যাতন করেছেন। এমনকি তাঁর যৌন লালসা থেকে রেহাই মেলেনি নিজের ছেলের বান্ধবীরও। ৭৪ বছর বয়সী ওই চিকিৎসকের নাম জোয়েল লে স্কোয়ার্নেক। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার থেকে এক ফরাসি আদালতে তাঁর বিচার শুরু হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেরাশিয়া ইউক্রেনে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে এ জন্য চূড়ান্ত শান্তি চুক্তির দিকে বাস্তব অগ্রগতি থাকতে হবে। এমনটাই জানিয়েছেন, মস্কোর অভ্যন্তরীণ নীতি সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিরা। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য
৯ ঘণ্টা আগে