Ajker Patrika

‘অচেনা আবাসে’ উত্তর গাজার প্রায় ৪ লাখ ফিলিস্তিনি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭: ৩২
Thumbnail image
ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে উত্তর গাজা। ছবি: এএফপি

প্রায় ৪৭০ দিন পর উত্তর গাজায় নিজ আবাসস্থলে ফিরলেন ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া ৩ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। সংস্থাটি জানিয়েছে, নেটজারিম করিডোর বরাবর দুটি প্রধান রাস্তা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পর উত্তর গাজাবাসীরা নিজ আবাসস্থলে ফিরেছেন।

ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে উত্তর গাজা। বাস্তুচ্যুত হয়ে দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। ফিরে এসে নিজেদের আবাসস্থলের অবস্থা থেকে মিশ্র অনুভূতি প্রকাশ করেন তারা। গত ১৫ মাসে গাজা যুদ্ধে শুধু ঘরবাড়ি নয়, পরিবারের সদস্য, বন্ধু, প্রতিবেশীসহ অনেককে হারিয়েছেন তারা। ফিরে আসা উত্তর গাজাবাসীরা বলছেন, তাদের কাছে সব ‘অপরিচিত’ মনে হচ্ছে। তবে বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও ফিরে আসতে পেরে খুশি।

গত ১৯ জানুয়ারি হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে উত্তর গাজায় নিজ বাসভূমে ফিরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন ফিলিস্তিনিরা। হামাস এক বেসামরিক ইসরায়েলি নাগরিককে শনিবার মুক্তি না দেওয়ায় উত্তর গাজায় প্রবেশের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে হামাস তিন জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হলে আবার প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের জাতিসংঘ দূত ড্যানি দানন আবারও জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কার্যক্রম বন্ধ করতে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের এলাকা থেকে তাদের দপ্তর খালি করতে বলেন। ট্রাম্প প্রশাসনও ইসরায়েলের পূর্ব জেরুজালেমে এই সংস্থাটির কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে।

ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে আমরা খাদ্য সহায়তার দুই-তৃতীয়াংশ বিতরণ করেছি। এক মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ব্যক্তির আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। ২ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে পোলিও টিকা দিয়েছি।’

এ সময় তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরায়েল। লাজারিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে যদি এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়, তাহলে লাখো মানুষ ভুক্তভোগী হবে। গাজা যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ ‘অনিশ্চিত’ হয়ে পড়বে।

যুক্তরাজ্য গাজার পুনর্গঠনের জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তবে তারা সতর্ক করে দিয়েছে, ইউএনআরডব্লিউএর নিষিদ্ধ হওয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে মানবিক সহায়তার প্রচেষ্টাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৭ হাজার ৩৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ জন আহত হয়েছেন। এর আগে একই দিনে ইসরায়েলে হামাসের চালানো হামলায় অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০-র বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত