অনলাইন ডেস্ক
যুদ্ধ শেষ হলেও গাজার আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। যুদ্ধের ১৫ মাসে প্রতিদিন হাজার হাজার পরিবার তাদের প্রিয়জন হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে মানবিক ক্ষয়ক্ষতির ক্ষত ফুটে না উঠলেও যুদ্ধ শেষে ইসরায়েলি হামলার দগদগে ক্ষত নতুন করে উদ্ভাসিত হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ কেবল গাজার শিশুদের শারীরিক ক্ষতিই করেনি, বরং তাদের মনেও গভীর আঘাত হেনেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় ৩৮ হাজারের বেশি শিশু অনাথ, তারা এখন একা। তাদের চোখে, মনে প্রতিটি দিন যেন এক নতুন বিভীষিকা। একেকটি শিশু, যারা কিছুদিন আগ পর্যন্ত মা-বাবার আদর-ভালোবাসায় বেড়ে উঠছিল, আজ তাদের মুখে শুধু শূন্যতা, দুঃখ এবং ভয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাহের আল-ওয়াহিদি বলেন, প্রায় ৩২ হাজার ১৫১ শিশু তাদের বাবা হারিয়েছে, ৪ হাজার ৪১৭ শিশু মা হারিয়েছে, আর ১ হাজার ৯১৮ শিশু বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছে। তারা এখন তীব্র শূন্যতা আর একাকিত্বের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে।
গাজার শিক্ষা ব্যবস্থা আগে ফিলিস্তিনিদের আশা এবং উন্নতির প্রতীক এক আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত হলেও এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের রিলিফ এজেন্সি ইউএনআরডব্লিউএ জানাচ্ছে, প্রায় ৬ লাখ ৬০ হাজার শিশু এখন স্কুলে যেতে পারছে না, আর ১৪ হাজার ৫০০ শিশুর জীবনযুদ্ধ চিরতরে থেমে গেছে। ভবিষ্যতের সঞ্চয়, আশার আলো সবকিছুই এখন অস্পষ্ট হয়ে পড়েছে।
গাজার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, প্রায় ১৫ হাজার শিশুর মৃত্যু অথবা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার তথ্য। এই বিষয়টি শিশুদের পরিবারগুলোর জন্য এক চরম কষ্টের বাস্তবতা। গাজার ৯৫ শতাংশ স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। একে একে ধ্বংস হয়েছে ১৪০টি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন। শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি বিপর্যস্ত।
তবে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হলো মানসিক। গাজার শিশুদের মধ্যে এক ভয়ংকর মানসিক সংকট তৈরি হয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজার প্রায় ১১ লাখ শিশু এখন দুঃস্বপ্ন, ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যে বেঁচে রয়েছে। তাদের মনে পাথরের মতো চাপ, প্রতি মুহূর্তে মনে হয় তাদের মৃত্যু আসছে। প্রায় ৯৬ শতাংশ শিশু মনে করে, তাদের মৃত্যু অনিবার্য। এর মধ্যে অনেক শিশু মৃত্যু কামনা করছে, যেন এই দুঃস্বপ্নের জীবনের থেকে মুক্তি পায়।
এই অবস্থা শুধু গাজার যুদ্ধের ফলস্বরূপ নয়, এটি একটি নতুন প্রজন্মের জন্য এক দীর্ঘমেয়াদি মানসিক আঘাতের সূচনা। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শিশুদের যন্ত্রণা আগামী প্রজন্ম পর্যন্ত অনুভূত হবে। যুদ্ধের ক্ষতি শুধু শারীরিক নয়, এটি শিশুদের মনের গভীর কোণে এমন দাগ রেখে যাচ্ছে, যা কখনো মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, গাজার এই অবস্থা মানবিকতার প্রতি এক কঠিন প্রশ্ন তুলে ধরে। মানবতা কি এখনো জীবিত? যদি হয়, তবে আমাদের কি কোনো দায়িত্ব নেই এই শিশুদের প্রতি? আমাদের অবিলম্বে এগিয়ে আসতে হবে তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য, তাদের চোখে একটি নতুন আশা এবং ভবিষ্যতের আলোর রেখা তৈরি করার জন্য। পৃথিবী আর একদিনও যেন এমন অন্ধকারের দিকে না চলে যায়, যেখানে একেকটি শিশু শুধু ভয়, আতঙ্ক এবং একাকিত্বের মধ্যে ডুবে থাকে।
যুদ্ধ শেষ হলেও গাজার আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। যুদ্ধের ১৫ মাসে প্রতিদিন হাজার হাজার পরিবার তাদের প্রিয়জন হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে মানবিক ক্ষয়ক্ষতির ক্ষত ফুটে না উঠলেও যুদ্ধ শেষে ইসরায়েলি হামলার দগদগে ক্ষত নতুন করে উদ্ভাসিত হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ কেবল গাজার শিশুদের শারীরিক ক্ষতিই করেনি, বরং তাদের মনেও গভীর আঘাত হেনেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় ৩৮ হাজারের বেশি শিশু অনাথ, তারা এখন একা। তাদের চোখে, মনে প্রতিটি দিন যেন এক নতুন বিভীষিকা। একেকটি শিশু, যারা কিছুদিন আগ পর্যন্ত মা-বাবার আদর-ভালোবাসায় বেড়ে উঠছিল, আজ তাদের মুখে শুধু শূন্যতা, দুঃখ এবং ভয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাহের আল-ওয়াহিদি বলেন, প্রায় ৩২ হাজার ১৫১ শিশু তাদের বাবা হারিয়েছে, ৪ হাজার ৪১৭ শিশু মা হারিয়েছে, আর ১ হাজার ৯১৮ শিশু বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছে। তারা এখন তীব্র শূন্যতা আর একাকিত্বের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে।
গাজার শিক্ষা ব্যবস্থা আগে ফিলিস্তিনিদের আশা এবং উন্নতির প্রতীক এক আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত হলেও এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের রিলিফ এজেন্সি ইউএনআরডব্লিউএ জানাচ্ছে, প্রায় ৬ লাখ ৬০ হাজার শিশু এখন স্কুলে যেতে পারছে না, আর ১৪ হাজার ৫০০ শিশুর জীবনযুদ্ধ চিরতরে থেমে গেছে। ভবিষ্যতের সঞ্চয়, আশার আলো সবকিছুই এখন অস্পষ্ট হয়ে পড়েছে।
গাজার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, প্রায় ১৫ হাজার শিশুর মৃত্যু অথবা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার তথ্য। এই বিষয়টি শিশুদের পরিবারগুলোর জন্য এক চরম কষ্টের বাস্তবতা। গাজার ৯৫ শতাংশ স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। একে একে ধ্বংস হয়েছে ১৪০টি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন। শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি বিপর্যস্ত।
তবে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হলো মানসিক। গাজার শিশুদের মধ্যে এক ভয়ংকর মানসিক সংকট তৈরি হয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজার প্রায় ১১ লাখ শিশু এখন দুঃস্বপ্ন, ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যে বেঁচে রয়েছে। তাদের মনে পাথরের মতো চাপ, প্রতি মুহূর্তে মনে হয় তাদের মৃত্যু আসছে। প্রায় ৯৬ শতাংশ শিশু মনে করে, তাদের মৃত্যু অনিবার্য। এর মধ্যে অনেক শিশু মৃত্যু কামনা করছে, যেন এই দুঃস্বপ্নের জীবনের থেকে মুক্তি পায়।
এই অবস্থা শুধু গাজার যুদ্ধের ফলস্বরূপ নয়, এটি একটি নতুন প্রজন্মের জন্য এক দীর্ঘমেয়াদি মানসিক আঘাতের সূচনা। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শিশুদের যন্ত্রণা আগামী প্রজন্ম পর্যন্ত অনুভূত হবে। যুদ্ধের ক্ষতি শুধু শারীরিক নয়, এটি শিশুদের মনের গভীর কোণে এমন দাগ রেখে যাচ্ছে, যা কখনো মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, গাজার এই অবস্থা মানবিকতার প্রতি এক কঠিন প্রশ্ন তুলে ধরে। মানবতা কি এখনো জীবিত? যদি হয়, তবে আমাদের কি কোনো দায়িত্ব নেই এই শিশুদের প্রতি? আমাদের অবিলম্বে এগিয়ে আসতে হবে তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য, তাদের চোখে একটি নতুন আশা এবং ভবিষ্যতের আলোর রেখা তৈরি করার জন্য। পৃথিবী আর একদিনও যেন এমন অন্ধকারের দিকে না চলে যায়, যেখানে একেকটি শিশু শুধু ভয়, আতঙ্ক এবং একাকিত্বের মধ্যে ডুবে থাকে।
শৈশবের প্রেমিকা ভ্যালেন্তিনা সারভেন্তেসের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন চেলসি তারকা এনজো ফার্নান্দেজ। কারণ হিসেবে একটি বিস্ময়কর তথ্য সামনে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্কনীতির আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা নিউইয়র্কে বিপুল স্বর্ণ মজুত করছেন। ফলে লন্ডনে স্বর্ণের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (বিওই) ভল্ট থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য চার থেকে আট সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেসিরিয়ার নতুন শাসক আহমেদ আল-শারাআ দেশটির সামরিক ঘাঁটি ব্যবহারের বিনিময়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ফেরত দিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রাশিয়া।
৪ ঘণ্টা আগেমহারাষ্ট্রের মন্ত্রী বিজেপি নেতা নিতীশ রানে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে মুসলিম ছাত্রীদের বোরকা পরার ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আজ বুধবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী দাদা ভুসেকে দেওয়া এক চিঠিতে তিনি এই দাবি জানান।
৫ ঘণ্টা আগে