অনলাইন ডেস্ক
পশ্চিমা বিশ্বের খ্রিষ্টীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে প্রতিবছর উদ্যাপিত হয় হ্যালোইন উৎসব। ভূত, প্রেত, দেও–দানোর মতো সেজে আনন্দ করে সব বয়সী মানুষ। বিশ্বের অনেক দেশেই এখন এটি জনপ্রিয় উৎসব। সেই উৎসব পৌঁছে গেছে সৌদি আরবেও।
সৌদি আরবে হ্যালোইন উদ্যাপনের কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। গায়ে সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, আর মুখে ভয়ংকর মুখোশ—রাজধানী রিয়াদের ব্যস্ত রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে কয়েকজন—এমন ছবি ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ইন্টারনেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত সৌদি আরবে হ্যালোউন উৎসব উদ্যাপিত হয়েছে। যেখানে কয়েক বছর আগেও এই দেশে এই পশ্চিমা উৎসব নিষিদ্ধ ছিল। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে ‘ভিশন ২০৩০’ এর আওতায় অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উদারীকরণের লক্ষ্যে হ্যালোইনের মতো উৎসব আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সৌদি আরবের হলগুলোতেও এখন হলিউডের সিনেমা চলছে হাউসফুল!
ইসলামের নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)–এর জন্মভূমিতে এমন উৎসব আয়োজনের অনুমতি ও মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। অনেকে এই উদারীকরণের প্রশংসা করলেও বহু মুসলিম এর নিন্দা জানিয়েছেন।
২০১৮ সালেও একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর আসে, সৌদি পুলিশ একটি হ্যালোইন পার্টিতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করে। পার্টিতে সবাই ভূতের পোশাক পরে ছিল। ওই সময় ‘অদ্ভুত পোশাক’ পরিহিত নারীদের ‘শরীর ঢেকে’ রাখার নির্দেশ দেয় পুলিশ।
অথচ এ বছর রিয়াদের রাস্তায় প্রকাশ্যে ভূতের পোশাক পরে লোকজনকে ঘুরতে দেখা গেছে। দানব, ব্যাংক ডাকাত, এমনকি ফ্রেঞ্চ মেইড (সাদা–কালো মিনি স্কার্ট) পরেও রাস্তায় চলতে দেখা গেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে একজন স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াহিয়া আল হাজ্জাজি বলেন, ‘আমরা যদি আবার আগের সময়ে ফিরে যাই, তাহলে বলতে হবে এটা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ নয়।’ ফিন্যান্সের ছাত্র আব্দুল আজিজ খালেদ বলেন, ‘সৌদি আরব বদলে যাচ্ছে।’
উইকেন্ড_হরর এবং কস্টিউম অব ইভিল নামে দুটি হ্যাশট্যাগ এখন টুইটারে শীর্ষে। সৌদি আরবে হ্যালোইন উদ্যাপনের এই দুই হ্যাশট্যাগ টুইটারে ঝড় তুলেছে। তবে মানুষের প্রতিক্রিয়া মিশ্র।
গবেষক ও টার্কিক ওয়ার্ড ইয়ুথ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট রমজান ইজল টুইটে বলেছেন, ‘এই ছবিগুলো রিয়াদে তোলা। সংস্কারের নামে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবে হ্যালোইন উদ্যাপনের অনুমতি দিতে শুরু করেছেন। এটা কোনো সংস্কার বা উদ্ভাবনের কিছু নয়, বরং এটা হলো মর্যাদাহানি এবং অধঃপতন। আমরা এটি গ্রহণ করতে পারি না।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘সৌদি আরব প্রকাশ্যে হ্যালোউন উদ্যাপন করছে, এটা আমরা কাছে খুব ভয়ংকর ব্যাপার মনে হচ্ছে।’
অনেকে অবশ্য এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এ বছর সৌদি আরবে হ্যালোইন...এককথায় দারুণ!’
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের রাজ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী এবং প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তিনি ব্যাপক সংস্কার শুরু করেছেন। অনেক সামাজিক বিধিনিষেধ রদ অথবা শিথিল করা শুরু করেছেন।
প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর হ্যালোইন উদ্যাপন করা হয়। সৌদি আরবে প্রকাশ্যে হ্যালোইন উদ্যাপন শুরু হয় ২০২১ সালে।
পশ্চিমা বিশ্বের খ্রিষ্টীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে প্রতিবছর উদ্যাপিত হয় হ্যালোইন উৎসব। ভূত, প্রেত, দেও–দানোর মতো সেজে আনন্দ করে সব বয়সী মানুষ। বিশ্বের অনেক দেশেই এখন এটি জনপ্রিয় উৎসব। সেই উৎসব পৌঁছে গেছে সৌদি আরবেও।
সৌদি আরবে হ্যালোইন উদ্যাপনের কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। গায়ে সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, আর মুখে ভয়ংকর মুখোশ—রাজধানী রিয়াদের ব্যস্ত রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে কয়েকজন—এমন ছবি ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ইন্টারনেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত সৌদি আরবে হ্যালোউন উৎসব উদ্যাপিত হয়েছে। যেখানে কয়েক বছর আগেও এই দেশে এই পশ্চিমা উৎসব নিষিদ্ধ ছিল। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে ‘ভিশন ২০৩০’ এর আওতায় অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উদারীকরণের লক্ষ্যে হ্যালোইনের মতো উৎসব আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সৌদি আরবের হলগুলোতেও এখন হলিউডের সিনেমা চলছে হাউসফুল!
ইসলামের নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)–এর জন্মভূমিতে এমন উৎসব আয়োজনের অনুমতি ও মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। অনেকে এই উদারীকরণের প্রশংসা করলেও বহু মুসলিম এর নিন্দা জানিয়েছেন।
২০১৮ সালেও একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর আসে, সৌদি পুলিশ একটি হ্যালোইন পার্টিতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করে। পার্টিতে সবাই ভূতের পোশাক পরে ছিল। ওই সময় ‘অদ্ভুত পোশাক’ পরিহিত নারীদের ‘শরীর ঢেকে’ রাখার নির্দেশ দেয় পুলিশ।
অথচ এ বছর রিয়াদের রাস্তায় প্রকাশ্যে ভূতের পোশাক পরে লোকজনকে ঘুরতে দেখা গেছে। দানব, ব্যাংক ডাকাত, এমনকি ফ্রেঞ্চ মেইড (সাদা–কালো মিনি স্কার্ট) পরেও রাস্তায় চলতে দেখা গেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে একজন স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াহিয়া আল হাজ্জাজি বলেন, ‘আমরা যদি আবার আগের সময়ে ফিরে যাই, তাহলে বলতে হবে এটা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ নয়।’ ফিন্যান্সের ছাত্র আব্দুল আজিজ খালেদ বলেন, ‘সৌদি আরব বদলে যাচ্ছে।’
উইকেন্ড_হরর এবং কস্টিউম অব ইভিল নামে দুটি হ্যাশট্যাগ এখন টুইটারে শীর্ষে। সৌদি আরবে হ্যালোইন উদ্যাপনের এই দুই হ্যাশট্যাগ টুইটারে ঝড় তুলেছে। তবে মানুষের প্রতিক্রিয়া মিশ্র।
গবেষক ও টার্কিক ওয়ার্ড ইয়ুথ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট রমজান ইজল টুইটে বলেছেন, ‘এই ছবিগুলো রিয়াদে তোলা। সংস্কারের নামে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবে হ্যালোইন উদ্যাপনের অনুমতি দিতে শুরু করেছেন। এটা কোনো সংস্কার বা উদ্ভাবনের কিছু নয়, বরং এটা হলো মর্যাদাহানি এবং অধঃপতন। আমরা এটি গ্রহণ করতে পারি না।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘সৌদি আরব প্রকাশ্যে হ্যালোউন উদ্যাপন করছে, এটা আমরা কাছে খুব ভয়ংকর ব্যাপার মনে হচ্ছে।’
অনেকে অবশ্য এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এ বছর সৌদি আরবে হ্যালোইন...এককথায় দারুণ!’
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের রাজ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী এবং প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তিনি ব্যাপক সংস্কার শুরু করেছেন। অনেক সামাজিক বিধিনিষেধ রদ অথবা শিথিল করা শুরু করেছেন।
প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর হ্যালোইন উদ্যাপন করা হয়। সৌদি আরবে প্রকাশ্যে হ্যালোইন উদ্যাপন শুরু হয় ২০২১ সালে।
একজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
১ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ইসরায়েলের ‘‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসাবে অভিহিত করেছে ইরান।
২ ঘণ্টা আগেভারতের মণিপুর রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ওই রাজ্যটিতে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট ২৮৮টি কোম্পানি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
৩ ঘণ্টা আগে