অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু করে আলেপ্পো, হামা, হোমস এবং শেষ পর্যন্ত দামেস্ক দখল করেছে বিরোধী যোদ্ধারা। পতন হয়েছে সিরিয়ার অর্ধ শতাব্দী পুরোনো আল-আসাদ পরিবারের শাসনের। এই অভিযানের পথে বিদ্রোহীরা পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের কারাগারগুলো ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছে। দুর্বল ও বিভ্রান্ত বন্দীদের তারা আশ্বস্ত করেছে যে, তারা এখন নিরাপদ।
বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার ভয়ংকর কারাগারগুলোর গোপন প্রকৃতি এবং সেখানে বন্দী অবস্থায় কাটানো অসংখ্য মানুষের দুর্দশার প্রমাণ তুলে সংগ্রহ করেছে। এ পর্যন্ত শতাধিক কারাগার শনাক্ত এবং সেখান থেকে অসংখ্য বন্দীকে মুক্ত করা হয়েছে।
‘মানব কসাইখানা’ নামে পরিচিত বাশার আল-আসাদের কারাগারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি হলো—তাদমর ও সেদনায়া। তাদমর কারাগারটি পালমিরার মরুভূমিতে এবং সেদনায়া কারাগার দামেস্কের উপকণ্ঠে অবস্থিত। এই দুটি ছিল সিরিয়ার সবচেয়ে ভয়ংকর কারাগার। ২০১৪ সালে ‘সিজার’ নামে পরিচিত সরকারি কর্মচারী সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসেন। তিনি কারাগারগুলোতে বন্দী নির্যাতনের ওপর ৫৩ হাজার ২৭৬টি নথি প্রকাশ করেন।
নথিগুলো থেকে দেখা গেছে, অন্তত ৬ হাজার ৭৮৬ বন্দী সরকারি হেফাজতে মারা গিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ২০১৭ সালে সেদনায়া কারাগারকে ‘মানব কসাইখানা’ বলে আখ্যা দেয়। সংস্থাটি জানায়, সেখানে হাজার হাজার মানুষকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বা নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। অনেককে খাবার, পানি ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এরপর মৃতদেহগুলো গণকবরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৩৪ জন সিরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে ৫ হাজার ২৭৪ জন শিশু এবং ১০ হাজার ২২১ জন নারী। বাশারের বাবা হাফিজ আল-আসাদের শাসনামলেও বহু মানুষকে গোপনে অপহরণ করা হয়েছিল। হাফিজ ১৯৭১ সালে ক্ষমতায় আসেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর ২০০০ সালে ছেলে বাশার আল-আসাদ সিরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
কারাগারে এখনো কতজন বন্দী
বিদ্রোহীরা সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের কারাগারগুলো শনাক্ত করতে পারলেও সবাইকে এখনো মুক্ত করতে পারেনি। একটি মানবাধিকার সংস্থার হিসাব অনুসারে, বাশারের কারাগারে প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার বন্দী ছিল। এদের মধ্যে অনেককে মুক্ত করা সম্ভব হলেও এখনো অসংখ্য মানুষ সিরিয়ার গোপন কারাগারে বন্দী। বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, সাবেক সৈন্য ও কারাগার রক্ষীদের কাছে গোপন দরজার পাসওয়ার্ড চেয়ে বন্দীদের মুক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অনেক বন্দী এখনো বৈদ্যুতিক দরজার পেছনে আটকে আছে বলে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে।
সিরিয়ার মানবাধিকার সংস্থা হোয়াইট হেলমেটস বাশার আল-আসাদের গোপন কারাগারের খোঁজ দিতে উৎসাহিত করার জন্য আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। এটি এখনো স্পষ্ট নয় কারা কারাগারে রয়ে গেছে, তবে বিদ্রোহীরা এখন পর্যন্ত হাজার হাজার নারী, বৃদ্ধ এবং মধ্যবয়সী পুরুষকে মুক্তি দিয়েছে—যাদের মধ্যে অনেকেই জীবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। এমনকি বিদ্রোহীরা ছোট ছোট শিশুদেরও খুঁজে পেয়েছে এসব কারাগারে।
যেভাবে নির্যাতন করা হতো বন্দীদের
সিরিয়ার কারাগারগুলোতে বন্দীদের ওপর যে অত্যাচার চালানো হয়েছে, তা অকল্পনীয়। তাদের চাবুক দিয়ে পেটানো, ঘুমাতে না দেওয়া, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করা, এমনকি নগ্ন করে ধর্ষণ করা হতো। পুরুষ ও নারী উভয়ের ওপরই এসব নির্যাতন চালানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি তিনটি নির্যাতনের পদ্ধতি বিশেষভাবে কুখ্যাত ছিল, যা বন্দীদের শারীরিকভাবে ধ্বংস করে দিত। সিরিয়ার বন্দী শিবিরগুলো ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক ভয়ংকর উদাহরণ। এই অধ্যায়ের সমাপ্তি মানবতার জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
কুখ্যাত তিন নির্যাতন পদ্ধতির একটিকে বলা হতো ‘জার্মান চেয়ার’। যেখানে কারারক্ষীরা বন্দীদের একটি বিশেষ ধরনের চেয়ারে বসিয়ে বেঁধে চেয়ারটির পেছনের অংশকে এতটাই বাঁকিয়ে দিত যে, তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে যেত। দ্বিতীয়টি ছিল ‘উড়ন্ত কার্পেট’। যেখানে দুই ভাগে বিভক্ত কিন্তু সংযুক্ত একটি কাঠের পাটাতনের একটি অংশে বন্দীর শরীরের ঊর্ধ্বাংশ বাঁধা হতো। অপর অংশে কোমরের নিচের অংশ বাঁধা হতো এবং এর পর নিচের অংশটি আস্তে আস্তে ওপরের দিকে তুলে আনা হতো। এই অবস্থায় বন্দীদের পা এবং বুক একপ্রকার সমান্তরালে চলে আসত এবং এর ফলে অসহ্য ব্যথা সৃষ্টি হতো। তৃতীয় পদ্ধতিতে বন্দীদের একটি মইয়ের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে দাঁড় করিয়ে দিত কারারক্ষীরা। এরপর তারা মইটিকে ধাক্কা দিত, এর ফলে বন্দীরা পেছন দিকে পড়ে যেত। কারও কারও মেরুদণ্ড ভেঙে যেত, কেউ বা প্রচণ্ড অবর্ণনীয় ব্যথা পেতেন।
আল-জাজিরা থেকে সংক্ষেপে অনূদিত
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু করে আলেপ্পো, হামা, হোমস এবং শেষ পর্যন্ত দামেস্ক দখল করেছে বিরোধী যোদ্ধারা। পতন হয়েছে সিরিয়ার অর্ধ শতাব্দী পুরোনো আল-আসাদ পরিবারের শাসনের। এই অভিযানের পথে বিদ্রোহীরা পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের কারাগারগুলো ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছে। দুর্বল ও বিভ্রান্ত বন্দীদের তারা আশ্বস্ত করেছে যে, তারা এখন নিরাপদ।
বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার ভয়ংকর কারাগারগুলোর গোপন প্রকৃতি এবং সেখানে বন্দী অবস্থায় কাটানো অসংখ্য মানুষের দুর্দশার প্রমাণ তুলে সংগ্রহ করেছে। এ পর্যন্ত শতাধিক কারাগার শনাক্ত এবং সেখান থেকে অসংখ্য বন্দীকে মুক্ত করা হয়েছে।
‘মানব কসাইখানা’ নামে পরিচিত বাশার আল-আসাদের কারাগারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি হলো—তাদমর ও সেদনায়া। তাদমর কারাগারটি পালমিরার মরুভূমিতে এবং সেদনায়া কারাগার দামেস্কের উপকণ্ঠে অবস্থিত। এই দুটি ছিল সিরিয়ার সবচেয়ে ভয়ংকর কারাগার। ২০১৪ সালে ‘সিজার’ নামে পরিচিত সরকারি কর্মচারী সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসেন। তিনি কারাগারগুলোতে বন্দী নির্যাতনের ওপর ৫৩ হাজার ২৭৬টি নথি প্রকাশ করেন।
নথিগুলো থেকে দেখা গেছে, অন্তত ৬ হাজার ৭৮৬ বন্দী সরকারি হেফাজতে মারা গিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ২০১৭ সালে সেদনায়া কারাগারকে ‘মানব কসাইখানা’ বলে আখ্যা দেয়। সংস্থাটি জানায়, সেখানে হাজার হাজার মানুষকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বা নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। অনেককে খাবার, পানি ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এরপর মৃতদেহগুলো গণকবরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৩৪ জন সিরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে ৫ হাজার ২৭৪ জন শিশু এবং ১০ হাজার ২২১ জন নারী। বাশারের বাবা হাফিজ আল-আসাদের শাসনামলেও বহু মানুষকে গোপনে অপহরণ করা হয়েছিল। হাফিজ ১৯৭১ সালে ক্ষমতায় আসেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর ২০০০ সালে ছেলে বাশার আল-আসাদ সিরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
কারাগারে এখনো কতজন বন্দী
বিদ্রোহীরা সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের কারাগারগুলো শনাক্ত করতে পারলেও সবাইকে এখনো মুক্ত করতে পারেনি। একটি মানবাধিকার সংস্থার হিসাব অনুসারে, বাশারের কারাগারে প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার বন্দী ছিল। এদের মধ্যে অনেককে মুক্ত করা সম্ভব হলেও এখনো অসংখ্য মানুষ সিরিয়ার গোপন কারাগারে বন্দী। বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, সাবেক সৈন্য ও কারাগার রক্ষীদের কাছে গোপন দরজার পাসওয়ার্ড চেয়ে বন্দীদের মুক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অনেক বন্দী এখনো বৈদ্যুতিক দরজার পেছনে আটকে আছে বলে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে।
সিরিয়ার মানবাধিকার সংস্থা হোয়াইট হেলমেটস বাশার আল-আসাদের গোপন কারাগারের খোঁজ দিতে উৎসাহিত করার জন্য আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। এটি এখনো স্পষ্ট নয় কারা কারাগারে রয়ে গেছে, তবে বিদ্রোহীরা এখন পর্যন্ত হাজার হাজার নারী, বৃদ্ধ এবং মধ্যবয়সী পুরুষকে মুক্তি দিয়েছে—যাদের মধ্যে অনেকেই জীবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। এমনকি বিদ্রোহীরা ছোট ছোট শিশুদেরও খুঁজে পেয়েছে এসব কারাগারে।
যেভাবে নির্যাতন করা হতো বন্দীদের
সিরিয়ার কারাগারগুলোতে বন্দীদের ওপর যে অত্যাচার চালানো হয়েছে, তা অকল্পনীয়। তাদের চাবুক দিয়ে পেটানো, ঘুমাতে না দেওয়া, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করা, এমনকি নগ্ন করে ধর্ষণ করা হতো। পুরুষ ও নারী উভয়ের ওপরই এসব নির্যাতন চালানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি তিনটি নির্যাতনের পদ্ধতি বিশেষভাবে কুখ্যাত ছিল, যা বন্দীদের শারীরিকভাবে ধ্বংস করে দিত। সিরিয়ার বন্দী শিবিরগুলো ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক ভয়ংকর উদাহরণ। এই অধ্যায়ের সমাপ্তি মানবতার জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
কুখ্যাত তিন নির্যাতন পদ্ধতির একটিকে বলা হতো ‘জার্মান চেয়ার’। যেখানে কারারক্ষীরা বন্দীদের একটি বিশেষ ধরনের চেয়ারে বসিয়ে বেঁধে চেয়ারটির পেছনের অংশকে এতটাই বাঁকিয়ে দিত যে, তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে যেত। দ্বিতীয়টি ছিল ‘উড়ন্ত কার্পেট’। যেখানে দুই ভাগে বিভক্ত কিন্তু সংযুক্ত একটি কাঠের পাটাতনের একটি অংশে বন্দীর শরীরের ঊর্ধ্বাংশ বাঁধা হতো। অপর অংশে কোমরের নিচের অংশ বাঁধা হতো এবং এর পর নিচের অংশটি আস্তে আস্তে ওপরের দিকে তুলে আনা হতো। এই অবস্থায় বন্দীদের পা এবং বুক একপ্রকার সমান্তরালে চলে আসত এবং এর ফলে অসহ্য ব্যথা সৃষ্টি হতো। তৃতীয় পদ্ধতিতে বন্দীদের একটি মইয়ের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে দাঁড় করিয়ে দিত কারারক্ষীরা। এরপর তারা মইটিকে ধাক্কা দিত, এর ফলে বন্দীরা পেছন দিকে পড়ে যেত। কারও কারও মেরুদণ্ড ভেঙে যেত, কেউ বা প্রচণ্ড অবর্ণনীয় ব্যথা পেতেন।
আল-জাজিরা থেকে সংক্ষেপে অনূদিত
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তারা নতুন ই-ভিসা সিস্টেমে যাচ্ছে। ৯৪টি রয়্যাল থাই দূতাবাস ও কনস্যুলেট জেনারেল অফিস একসঙ্গে এই সেবা দেবে।
১৬ মিনিট আগেমার্কিন কংগ্রেস শুক্রবার মধ্যরাতে শাটডাউন ঠেকাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করেছে। দীর্ঘ আলোচনার পর পাস হওয়া এই বিলটি ফেডারেল সংস্থাগুলোর অর্থায়ন আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে। মধ্যরাতের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সিনেটররা প্রথাগত নিয়ম এড়িয়ে দ্রুত ভোট দেন।
২ ঘণ্টা আগে‘অবৈধ বাংলাদেশি’দের জন্য ভারতে ডিটেনশন সেন্টার বা বন্দিশালা তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের জন্য মুম্বাইয়ে ভালো ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগেভারতীয় পুলিশের হাতে আটক আনসার-আল-ইসলাম বাংলাদেশের আট সন্দেহভাজন সদস্য ‘চিকেন নেক’ বা সিলিগুরি করিডরে হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্সের সংযোগকারী একমাত্র অংশ এই সিলিগুড়ি করিডর।
৩ ঘণ্টা আগে