অনলাইন ডেস্ক
ভুয়া বর্জন, কাল্পনিক ব্যালট, ব্লাসফেমিসহ বিভিন্ন ভুল তথ্যে ভরা ছিল গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন। গতকাল শুক্রবার নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। নানা কারণে পাকিস্তানের এই নির্বাচনকে গুজবে ভরা এক নির্বাচন বলে আখ্যা দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ‘হাঙ্গামা’র নির্বাচন দেখল পাকিস্তান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান নির্বাচনে কারাবন্দীই ছিলেন। কারাগার থেকেই ভোট দেন তিনি। অন্যদিকে, তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা স্বেচ্ছানির্বাসন থেকে ফিরে সেনাবাহিনীর মদদ নিয়ে নির্বাচনে লড়েন। এই নির্বাচনে লড়ার আগে একে একে বিভিন্ন মামলার সাজা থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয় তাঁকে।
নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফল করেছেন, এমনকি প্রচারে সমান সুযোগ না পাওয়া সত্ত্বেও। নির্বাচন হওয়ার বহু আগে থেকেই বলা হচ্ছিল, কারচুপির নির্বাচন হতে চলেছে পাকিস্তানে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কে বিজয়ী হতে চলেছে, তা জানা যায়নি।
পাকিস্তানের মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ভুয়া তথ্যপ্রবাহের মধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা।
ভোটের আগের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ের কাছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের জোড়া হামলায় ২৮ জন নিহতের ঘটনায় এমনিতেই শঙ্কায় ভরা ছিল নির্বাচনের দিনটি। এর মধ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ‘দোহাই’ দিয়ে ভোট গ্রহণ চলাকালে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি অনুকূল হয়ে ওঠেনি বিরোধী দলের জন্য।
ডিপফেকে নির্বাচন বর্জন
পিটিআই নেতা ইমরান খান ও পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ নির্বাচন বর্জন করেছেন, এ ধরনের বিভিন্ন পোস্ট দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
যদিও সেগুলো ছিল ভুয়া। এএফপির প্রতিবেদনে উদাহরণস্বরূপ বলা হয়, ইমরান খানের কাছ থেকে পিটিআই-সমর্থিত নেতা রাজা বাসারাত বর্জনের আদেশ পেয়েছেন এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেখা গেছে। ওই ভিডিও দেখা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার বার। পরে বাসারাত বলেছেন, এক্সে ছড়ানো ভিডিওটি তাঁর নয়। সেটি ডিপফেক ছিল।
ষড়যন্ত্রের দাবি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে আরও দাবি করা হয়, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন অসংখ্য ব্যালট ছাপিয়েছিল। এটিকে কোনো এক পক্ষের জন্য ভোট কারচুপির অপচেষ্টা হিসেবেও হাজির করা হয়। অর্থাৎ ব্যালটগুলো ভরে কারও পক্ষে বেশি ভোট পড়েছে বলে দেখানো হবে বলে আগেই দাবি করা হয়।
এ-সংক্রান্ত টিকটকের একটি ভিডিওতে বলা হয়, পিটিআইকে পরাজিত করতে নির্বাচন কমিশন সব সীমা অতিক্রম করেছে। ভিডিওটি প্রায় ৫০ হাজার বার দেখা হয়েছে।
ইতিহাস সাক্ষী, পাকিস্তানে নির্বাচন হলে বরাবরই কারচুপির অভিযোগ ওঠে এবং এটিও সত্য যে সেনাবাহিনী-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে সেই সব কারচুপি করা হয়।
নওয়াজকে নিয়ে বেহায়াপনা
ভুয়া তথ্যের ছড়াছড়ির নিশানায় পড়েন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরাও। যেমন ফেসবুকে ছড়ানো পিএমএল-এনের একটি ভিডিওতে দলীয় এক ব্যক্তিকে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে নওয়াজ শরিফকে তুলনা করতে দেখা যায়। এ কাণ্ড এমন এক দেশে ঘটে, যেখানে ব্লাসফেমির জন্য মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেতে হয়।
হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হওয়া একটি মেসেজ নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দারাজে মাত্র এক দিনে ইমরানের মুখোশ বিক্রি হয় ১০ লাখের বেশি। এতে বাজারে ইমরানের মুখোশ আর পাওয়া যাচ্ছিল না। যদিও দারাজ এই তথ্য সঠিক নয় বলে জানায়।
পিটিআই আরও দাবি করে, ভোট গ্রহণ চলাকালে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ও ডেটা সার্ভিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যাতে দলের কর্মী-সমর্থকেরা নির্বাচনের দিন কোনো কর্মকাণ্ড করতে না পারেন। বিরাট ব্যবধানে পিটিআইয়ের জয় এড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এসব বিবেচনায় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছে, পাকিস্তানে নির্বাচন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব হয়েছে, তা এককথায় ভুয়া তথ্যের ছড়াছড়ি। ডিজিটাল রাইটস অ্যাকটিভিস্ট উসামা খিলজি বলেন, সেন্সরশিপ এবং সঠিক তথ্যপ্রাপ্তিতে সুযোগের অভাবেই ভুয়া তথ্যগুলো ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।
ভুয়া বর্জন, কাল্পনিক ব্যালট, ব্লাসফেমিসহ বিভিন্ন ভুল তথ্যে ভরা ছিল গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন। গতকাল শুক্রবার নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। নানা কারণে পাকিস্তানের এই নির্বাচনকে গুজবে ভরা এক নির্বাচন বলে আখ্যা দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ‘হাঙ্গামা’র নির্বাচন দেখল পাকিস্তান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান নির্বাচনে কারাবন্দীই ছিলেন। কারাগার থেকেই ভোট দেন তিনি। অন্যদিকে, তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা স্বেচ্ছানির্বাসন থেকে ফিরে সেনাবাহিনীর মদদ নিয়ে নির্বাচনে লড়েন। এই নির্বাচনে লড়ার আগে একে একে বিভিন্ন মামলার সাজা থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয় তাঁকে।
নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফল করেছেন, এমনকি প্রচারে সমান সুযোগ না পাওয়া সত্ত্বেও। নির্বাচন হওয়ার বহু আগে থেকেই বলা হচ্ছিল, কারচুপির নির্বাচন হতে চলেছে পাকিস্তানে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কে বিজয়ী হতে চলেছে, তা জানা যায়নি।
পাকিস্তানের মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ভুয়া তথ্যপ্রবাহের মধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা।
ভোটের আগের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ের কাছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের জোড়া হামলায় ২৮ জন নিহতের ঘটনায় এমনিতেই শঙ্কায় ভরা ছিল নির্বাচনের দিনটি। এর মধ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ‘দোহাই’ দিয়ে ভোট গ্রহণ চলাকালে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি অনুকূল হয়ে ওঠেনি বিরোধী দলের জন্য।
ডিপফেকে নির্বাচন বর্জন
পিটিআই নেতা ইমরান খান ও পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ নির্বাচন বর্জন করেছেন, এ ধরনের বিভিন্ন পোস্ট দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
যদিও সেগুলো ছিল ভুয়া। এএফপির প্রতিবেদনে উদাহরণস্বরূপ বলা হয়, ইমরান খানের কাছ থেকে পিটিআই-সমর্থিত নেতা রাজা বাসারাত বর্জনের আদেশ পেয়েছেন এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেখা গেছে। ওই ভিডিও দেখা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার বার। পরে বাসারাত বলেছেন, এক্সে ছড়ানো ভিডিওটি তাঁর নয়। সেটি ডিপফেক ছিল।
ষড়যন্ত্রের দাবি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে আরও দাবি করা হয়, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন অসংখ্য ব্যালট ছাপিয়েছিল। এটিকে কোনো এক পক্ষের জন্য ভোট কারচুপির অপচেষ্টা হিসেবেও হাজির করা হয়। অর্থাৎ ব্যালটগুলো ভরে কারও পক্ষে বেশি ভোট পড়েছে বলে দেখানো হবে বলে আগেই দাবি করা হয়।
এ-সংক্রান্ত টিকটকের একটি ভিডিওতে বলা হয়, পিটিআইকে পরাজিত করতে নির্বাচন কমিশন সব সীমা অতিক্রম করেছে। ভিডিওটি প্রায় ৫০ হাজার বার দেখা হয়েছে।
ইতিহাস সাক্ষী, পাকিস্তানে নির্বাচন হলে বরাবরই কারচুপির অভিযোগ ওঠে এবং এটিও সত্য যে সেনাবাহিনী-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে সেই সব কারচুপি করা হয়।
নওয়াজকে নিয়ে বেহায়াপনা
ভুয়া তথ্যের ছড়াছড়ির নিশানায় পড়েন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরাও। যেমন ফেসবুকে ছড়ানো পিএমএল-এনের একটি ভিডিওতে দলীয় এক ব্যক্তিকে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে নওয়াজ শরিফকে তুলনা করতে দেখা যায়। এ কাণ্ড এমন এক দেশে ঘটে, যেখানে ব্লাসফেমির জন্য মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেতে হয়।
হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হওয়া একটি মেসেজ নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দারাজে মাত্র এক দিনে ইমরানের মুখোশ বিক্রি হয় ১০ লাখের বেশি। এতে বাজারে ইমরানের মুখোশ আর পাওয়া যাচ্ছিল না। যদিও দারাজ এই তথ্য সঠিক নয় বলে জানায়।
পিটিআই আরও দাবি করে, ভোট গ্রহণ চলাকালে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ও ডেটা সার্ভিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যাতে দলের কর্মী-সমর্থকেরা নির্বাচনের দিন কোনো কর্মকাণ্ড করতে না পারেন। বিরাট ব্যবধানে পিটিআইয়ের জয় এড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এসব বিবেচনায় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছে, পাকিস্তানে নির্বাচন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব হয়েছে, তা এককথায় ভুয়া তথ্যের ছড়াছড়ি। ডিজিটাল রাইটস অ্যাকটিভিস্ট উসামা খিলজি বলেন, সেন্সরশিপ এবং সঠিক তথ্যপ্রাপ্তিতে সুযোগের অভাবেই ভুয়া তথ্যগুলো ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।
লাওসের পর্যটন শহর ভাং ভিয়েং-এ সন্দেহজনক মিথানল বিষক্রিয়ায় আরও একজন অস্ট্রেলীয় তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিষাক্ত অ্যালকোহল সেবনে সেখানে ছয় বিদেশি পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
৯ মিনিট আগেদখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের বাসিন্দা রায়ান বর্গওয়ার্ট। সম্প্রতি এই কায়াকার নিজের ডুবে যাওয়ার নাটক সাজিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, রায়ান বর্তমানে পূর্ব ইউরোপের কোথাও জীবিত আছেন।
১ ঘণ্টা আগেগাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ছয়টি মহাদেশের ১২৪টি দেশে তাঁরা আটক হতে পারেন।
২ ঘণ্টা আগে