নির্বাচনের দুই দিন পর পাকিস্তানে বন্ধ করা হলো এক্স

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০: ২০
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০: ২৫

জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের দুই দিন পর পাকিস্তানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স (সাবেক টুইটার)। আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সাইবার সিকিউরিটি ও পর্যবেক্ষক সংস্থা নেটব্লকসের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম উইওন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি বলেছে, নিশ্চিত: লাইভ মেট্রিকস দেখাচ্ছে, দেশব্যাপী এক্স/টুইটারে বিড়ম্বনা দেখা যাচ্ছে। মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে বিতর্কিত নির্বাচন হওয়ার দুই দিন পর এ ঘটনা ঘটল। 

কয়েকজন এক্স ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, সাধারণ ইন্টারনেট দিয়ে তাঁরা এক্সে প্রবেশ করতে পারছেন না। এক্সে ঢুকতে তাঁদের ভিপিএন ব্যবহার করতে হচ্ছে। 

উসামা খিলজিল নামের একজন লিখেছেন, ‘নির্বাচনের দুই দিন পর পাকিস্তানে এক্সে শুধু ভিপিএন ব্যবহার করে ঢোকা যাচ্ছে। কারণ, অনলাইনে ভোট কারচুপির প্রমাণ আসা শুরু করেছে। এ ছাড়া ভোট গণনার স্বচ্ছতা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রশ্ন তোলার পর এক্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’ 

আম্মার রশিদ নামের অপর একজন এক্সে লিখেছেন, ব্যাপক কারচুপি অভিযোগের নির্বাচনের দিন মোবাইল পরিষেবা ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধের পর এবার পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে টুইটার বন্ধ করে দিয়েছে। স্বচ্ছতা হ্রাস করতে এবং রাজনৈতিক ফলাফলে কারচুপি করতে এখন প্রতিদিনই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। 

এ ছাড়া এক্স পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ইনসাফ (পিটিআই)। 

এ ব্যাপারে একটি পোস্টে দলটি বলেছে, “এটি পুরোপুরি লজ্জাজনক। নির্বাচনের দিন মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার পর তারা এখন পাকিস্তানে এক্স বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, পিটিআই ভোট কারচুপি ফাঁস করে দিচ্ছিল।” 

গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবারের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে অস্বাভাবিক ধীরগতি দেখা গেছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৪৫টি আসনের ফলাফল জানা গেছে। সেখানে দেখা গেছে, ৯৮টি আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, ৬৯টি আসন পেয়েছে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫১টি আসন। 

তবে পিটিআই দাবি করছে, তারা ১৭০টি আসনে জয় পেয়েছে। বাকি আসনগুলোর ফলাফলে কারচুপি করে তাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত