মোদিকে ইসলামাবাদ সফরের আমন্ত্রণ জানাল পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৬: ৪১
আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৬: ৫৮

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইসলামাবাদ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে চির বৈরী দেশ পাকিস্তান। অক্টোবরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনে যোগদানের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালুচ। 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১৫-১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এসসিওয়ের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানেরা যোগ দেবেন। তবে মূল বৈঠকের আগে সদস্য দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা অর্থনীতি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করবেন। 

পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালুচ নিশ্চিত করেছেন, দেশটি বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য সদস্য দেশগুলোর সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও একটি আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে।’ এ সময় এই মুখপাত্র জানান, কিছু দেশ এরই মধ্যে বৈঠকে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। কোন দেশ নিশ্চিত করেছে তা যথাসময়ে জানানো হবে। 
 
তবে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ও পরিস্থিতির দিকে তাকালে আঁচ করা যাচ্ছে, মোদির ইসলামাবাদে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এ অবস্থায় তিনি এ কর্মসূচিতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে কোনো মন্ত্রীকে পাঠান কি না, সেটাও দেখার বিষয়। 

বিশ্লেষকেরা বলছেন, জম্মুতে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা পাকিস্তানে উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে নেতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে পারে। এদিকে গত মাসে কারগিল বিজয় দিবস উপলক্ষে মোদি তার বার্তায় পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন, তারা ইতিহাস থেকে কিছুই শেখেনি। তিনি জানান, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ এবং প্রক্সি যুদ্ধের মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করছে। 

পাকিস্তান সফরকারী সবশেষ ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সুষমা স্বরাজ। তিনি ২০১৫ সালে পাকিস্তান সফর করেছিলেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনা কম। কারণ, পাকিস্তান চায় ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক। 

এদিকে ভারত বলেছে, পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর দখল ছাড়া এ ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার আর কিছু বাকি নেই। প্রসঙ্গত, এসসিও সম্ভবত একমাত্র বহুপক্ষীয় মঞ্চ যেখানে ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের শত্রুতা সত্ত্বেও একসঙ্গে কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই রাশিয়া ও চীনের নেতৃত্বাধীন এ গ্রুপের পূর্ণ সদস্য।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত