অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা। গতকাল শুক্রবার রাতে দেশটির চার প্রদেশে ও কেন্দ্র সরকার গঠনের জন্য জোট বেঁধে পর্যাপ্তসংখ্যক আসন নিশ্চিত করতে বৈঠক করেন ইমরানবিরোধী নেতারা।
পাকিস্তানের বার্তা সংস্থা ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল সন্ধ্যায় পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফ, তাঁর ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে পিপিপি, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ও অন্য দলকে জোট সরকার গঠনে তাঁর দলের সঙ্গে আহ্বান জানাতে বলেছেন।
এরই মধ্যে, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভির বাসভবনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আসিফ আলী জারদারি ও তাঁর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শাহবাজ। পিপিপির একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বৈঠক বড় কোনো ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা নির্বাচনের ফলাফল ও নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
অপর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এ বৈঠক অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ছিল। জারদারি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় লাহোরে অবতরণ করেন আর বিলাওয়াল সেখানে আগে থেকেই ছিলেন। তাঁরা দুজনে গাড়ি চালিয়ে নাকভির বাড়িতে যান। সেখানে শাহবাজ আগে থেকেই তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হলেও দৃশ্যত এটি ইতিবাচকভাবে শেষ হয়েছে।’
পরে শাহবাজ এমকিউএম-পির আহ্বায়ক ড. খালিদ মকবুল সিদ্দিকীর সঙ্গেও কথা বলেন বলে জানান দলটির সিনিয়র নেতা আমিনুল হক। তিনি বলেন, শরিফ সন্ধ্যায় তাঁদের ফোন করেন এবং উভয়পক্ষই ‘শিগগিরই’ একটি বৈঠকে বসবে। তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার (আজ) আজিজাবাদের জিন্নাহ ময়দানে আমরা আমাদের জয় উদ্যাপন করতে যাচ্ছি। এরপরেই বৈঠক হবে।’
সাধারণ নির্বাচনের আগে এমকিউএম-পি ঘোষণা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতার জন্য তারা নওয়াজ শরিফকে সমর্থন দেবে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ২৫০টি আসনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৯৯ আসন নিয়ে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এখনো ১৫ আসনের ফল প্রকাশ বাকি। পিটিআইয়ের অপর দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে যথাক্রমে ৭১ ও ৫১টি করে আসন। অন্য প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৭টি।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১৩৪টি আসন। কিন্তু কোনো দলেরই এককভাবে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় দেশটিতে হয়তো আবারও একটি ঝুলন্ত জাতীয় পরিষদ দেখা যাবে। অর্থাৎ জোট গঠন করেই সরকার গঠন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে নওয়াজের দল পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট করে সরকার গঠন করতে পারে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাব অনুসারে, পিপিপি ও পিএমএল-এনের মোট আসন হয় ১২২টি। অর্থাৎ, সরকার গঠনে এই সম্ভাব্য জোটের প্রয়োজন আরও অন্তত ১২টি আসন। এরই মধ্যে নওয়াজ শরিফ জানিয়েছেন, তাঁর দল বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপির সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনার সুযোগ খুঁজছে।
গতকাল রাতে লাহোরে নিজ বাসভবনের সামনে উল্লসিত সমর্থকদের সামনে দেওয়া এক ভাষণে নওয়াজ শরিফ বলেছেন, ‘আমাদের একসঙ্গে বসতে হবে।’ দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও অন্য দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে নওয়াজ বলেন, ‘এই দেশকে অচলাবস্থা থেকে বের করে নেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পিপিপি ও পিএমএল-এন যদি জোট সরকার গঠন করে, সে ক্ষেত্রে কারাবন্দী ইমরান খানের দলের জন্য তা হবে খুবই হতাশার বিষয়। কারণ, পিএমএল-এনের বা পিপিপির সঙ্গে ইমরান খানের দলের স্বতন্ত্র এমএনএদের জোট বাঁধার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পিপিপির সঙ্গে সামান্য সম্ভাবনা থাকলেও নওয়াজের দলের সঙ্গে একেবারেই নেই।
তবে নওয়াজ ও বিলাওয়ালের জোট বাঁধার সম্ভাবনাই বেশি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল রাতেই বিলাওয়ালের বাবা ও পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করতে লাহোরে গেছেন। ফলে এটা অনুমান করা যেতেই পারে যে নওয়াজের সঙ্গে জোট গঠন করে ছেলেকে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসীন করার চেষ্টা চালাবেন আসিফ।
ইমরান খানের সরকারকে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই পাকিস্তানে জোট সরকার ছিল। সেই জোট সরকারে পরস্পরের সঙ্গী ছিল পিপিপি ও পিএমএল-এন। এবারও যদি এ দুটি দল জোট গঠন করে, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য স্বস্তির হবে।
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা। গতকাল শুক্রবার রাতে দেশটির চার প্রদেশে ও কেন্দ্র সরকার গঠনের জন্য জোট বেঁধে পর্যাপ্তসংখ্যক আসন নিশ্চিত করতে বৈঠক করেন ইমরানবিরোধী নেতারা।
পাকিস্তানের বার্তা সংস্থা ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল সন্ধ্যায় পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফ, তাঁর ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে পিপিপি, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ও অন্য দলকে জোট সরকার গঠনে তাঁর দলের সঙ্গে আহ্বান জানাতে বলেছেন।
এরই মধ্যে, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভির বাসভবনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আসিফ আলী জারদারি ও তাঁর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শাহবাজ। পিপিপির একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বৈঠক বড় কোনো ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা নির্বাচনের ফলাফল ও নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
অপর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এ বৈঠক অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ছিল। জারদারি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় লাহোরে অবতরণ করেন আর বিলাওয়াল সেখানে আগে থেকেই ছিলেন। তাঁরা দুজনে গাড়ি চালিয়ে নাকভির বাড়িতে যান। সেখানে শাহবাজ আগে থেকেই তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হলেও দৃশ্যত এটি ইতিবাচকভাবে শেষ হয়েছে।’
পরে শাহবাজ এমকিউএম-পির আহ্বায়ক ড. খালিদ মকবুল সিদ্দিকীর সঙ্গেও কথা বলেন বলে জানান দলটির সিনিয়র নেতা আমিনুল হক। তিনি বলেন, শরিফ সন্ধ্যায় তাঁদের ফোন করেন এবং উভয়পক্ষই ‘শিগগিরই’ একটি বৈঠকে বসবে। তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার (আজ) আজিজাবাদের জিন্নাহ ময়দানে আমরা আমাদের জয় উদ্যাপন করতে যাচ্ছি। এরপরেই বৈঠক হবে।’
সাধারণ নির্বাচনের আগে এমকিউএম-পি ঘোষণা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতার জন্য তারা নওয়াজ শরিফকে সমর্থন দেবে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ২৫০টি আসনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৯৯ আসন নিয়ে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এখনো ১৫ আসনের ফল প্রকাশ বাকি। পিটিআইয়ের অপর দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে যথাক্রমে ৭১ ও ৫১টি করে আসন। অন্য প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৭টি।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১৩৪টি আসন। কিন্তু কোনো দলেরই এককভাবে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় দেশটিতে হয়তো আবারও একটি ঝুলন্ত জাতীয় পরিষদ দেখা যাবে। অর্থাৎ জোট গঠন করেই সরকার গঠন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে নওয়াজের দল পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট করে সরকার গঠন করতে পারে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাব অনুসারে, পিপিপি ও পিএমএল-এনের মোট আসন হয় ১২২টি। অর্থাৎ, সরকার গঠনে এই সম্ভাব্য জোটের প্রয়োজন আরও অন্তত ১২টি আসন। এরই মধ্যে নওয়াজ শরিফ জানিয়েছেন, তাঁর দল বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপির সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনার সুযোগ খুঁজছে।
গতকাল রাতে লাহোরে নিজ বাসভবনের সামনে উল্লসিত সমর্থকদের সামনে দেওয়া এক ভাষণে নওয়াজ শরিফ বলেছেন, ‘আমাদের একসঙ্গে বসতে হবে।’ দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও অন্য দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে নওয়াজ বলেন, ‘এই দেশকে অচলাবস্থা থেকে বের করে নেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পিপিপি ও পিএমএল-এন যদি জোট সরকার গঠন করে, সে ক্ষেত্রে কারাবন্দী ইমরান খানের দলের জন্য তা হবে খুবই হতাশার বিষয়। কারণ, পিএমএল-এনের বা পিপিপির সঙ্গে ইমরান খানের দলের স্বতন্ত্র এমএনএদের জোট বাঁধার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পিপিপির সঙ্গে সামান্য সম্ভাবনা থাকলেও নওয়াজের দলের সঙ্গে একেবারেই নেই।
তবে নওয়াজ ও বিলাওয়ালের জোট বাঁধার সম্ভাবনাই বেশি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল রাতেই বিলাওয়ালের বাবা ও পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করতে লাহোরে গেছেন। ফলে এটা অনুমান করা যেতেই পারে যে নওয়াজের সঙ্গে জোট গঠন করে ছেলেকে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসীন করার চেষ্টা চালাবেন আসিফ।
ইমরান খানের সরকারকে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই পাকিস্তানে জোট সরকার ছিল। সেই জোট সরকারে পরস্পরের সঙ্গী ছিল পিপিপি ও পিএমএল-এন। এবারও যদি এ দুটি দল জোট গঠন করে, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য স্বস্তির হবে।
ভারতের মণিপুর রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ওই রাজ্যটিতে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট ২৮৮টি কোম্পানি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
১৯ মিনিট আগেমানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। গতকাল নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
২৫ মিনিট আগেআয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পরোয়ানা জারি করায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আয়ারল্যান্ডে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি প
২ ঘণ্টা আগেনিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) ‘মানবতার শত্রু’ বলে অবহিত করেছেন নেতানিয়াহু। হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, মানবতাকে রক্ষা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু আজ সেটি মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে