অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশটিতে নাটকীয় ঘটনা ঘটছে প্রায় দুই বছর ধরে। ২০২২ সালে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। সেই সংকট এখনো চলমান। এরই মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই নির্বাচনে জনগণ নয়, সামরিক বাহিনী ঠিক করে দেবে—পাকিস্তান কে চালাবে।
পিটিআই ক্ষমতা হারালে অন্য দলগুলোর সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লে গত আগস্টে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন সিনেটর আনোয়ারুল হক কাকার। তিনিই নির্বাচনী সরকারের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। সঙ্গে রয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
আস্থা ভোটে হারার পর থেকে পিটিআইয়ের ওপর নেমে আসে দমন-পীড়ন। এই দলের শত শত নেতা গ্রেপ্তার হন। ইমরান খান সমাবেশে গুলিবিদ্ধ। একবার গ্রেপ্তার হয়ে ছাড়া পাওয়ার পর তোশাখানা দুর্নীতি মামলার দণ্ড নিয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন তিনি। সম্প্রতি পরপর দুই দিনে তাঁকে দুটি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁর রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকা হয়েছে কয়েক দিন আগে। আদালত জানিয়েছেন, ইমরানের দল আর ব্যাট প্রতীক পাচ্ছে না।
গত ২২ ডিসেম্বর দলটির ‘ব্যাট’ প্রতীক বাতিল করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। ইসিপির এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিআই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তবে ইসিপির সিদ্ধান্তকেই বহাল রেখেছেন আদালত।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের প্রচার চলছে দেশজুড়ে। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে দেয়াল। আর সেগুলোতে রয়েছে প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীক। কিন্তু সেখানে নেই ব্যাট প্রতীকের কোনো পোস্টার। পিটিআইয়ের সদস্যরা ও সমর্থকেরা মনে করছেন, তাঁদের দলের পরাজয় নিশ্চিত করতে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ষড়যন্ত্র করে তাঁদের ব্যাট প্রতীক বাদ দিয়েছে।
এ নিয়ে আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভিজিয়ার কনসালটিংয়ের সভাপতি আরিফ রফিক। তাঁর মতে, পিটিআইয়ের প্রতীক ব্যবহার করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ইমরান নির্বাচন করতে পারছেন না। দল প্রতীক পায়নি। এই পরিস্থিতিতে দলের নেতারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। কিন্তু তাঁদের ওপরও খড়্গ নেমে এসেছে। দলের একটি বড় অংশের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূলত পিটিআইকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে এই নির্বাচন।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে রাজনীতির মাঠে ফিরে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নিজেকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিচ্ছেন নওয়াজ শরিফ। পিএমএল-এনের নেতা শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ধারণা করা হচ্ছিল নওয়াজ শরিফ দেশে ফিরবেন। সেটাই হয়েছে। একের পর এক মামলা থেকে খালাস পাচ্ছেন নওয়াজ। সম্প্রতি দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, ইমরান খানের সঙ্গে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এরই মধ্যে নওয়াজ শরিফের প্রতি তাদের সমর্থন দিয়ে রেখেছে। এর মধ্য দিয়ে নওয়াজ এমনিতেই প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে আছেন। কারণ, পাকিস্তানে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দেশটির সেনা জেনারেলদের ব্যাপক প্রভাব থাকে বলে মনে করা হয়।
কেবল নওয়াজ নন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। ৩৫ বছর বয়সী এই পিপিপি নেতা একসময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন বিলাওয়াল। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতি তিনি।
বিলাওয়ালের মা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ২০০৭ সালে এক নির্বাচনী সমাবেশে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন। জুলফিকার ও বেনজির—দুজনকেই এখনো পাকিস্তানিরা সম্মানের চোখে দেখে। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা সহজ হবে না। কারণ, তাঁর দলের রাজনৈতিক অবস্থান এখনো মজবুত হয়নি।
বিলাওয়ালও মনে করেন, এই নির্বাচনে নওয়াজকেই সমর্থন করছে সেনাবাহিনী। এক প্রশ্নের জবাবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই তাঁর আচরণ বলে দিচ্ছে, তিনি চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের জনগণের ওপর নির্ভর না করে অন্য কিছুর ওপর ভরসা করছেন।’
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশটিতে নাটকীয় ঘটনা ঘটছে প্রায় দুই বছর ধরে। ২০২২ সালে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। সেই সংকট এখনো চলমান। এরই মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই নির্বাচনে জনগণ নয়, সামরিক বাহিনী ঠিক করে দেবে—পাকিস্তান কে চালাবে।
পিটিআই ক্ষমতা হারালে অন্য দলগুলোর সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লে গত আগস্টে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন সিনেটর আনোয়ারুল হক কাকার। তিনিই নির্বাচনী সরকারের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। সঙ্গে রয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
আস্থা ভোটে হারার পর থেকে পিটিআইয়ের ওপর নেমে আসে দমন-পীড়ন। এই দলের শত শত নেতা গ্রেপ্তার হন। ইমরান খান সমাবেশে গুলিবিদ্ধ। একবার গ্রেপ্তার হয়ে ছাড়া পাওয়ার পর তোশাখানা দুর্নীতি মামলার দণ্ড নিয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন তিনি। সম্প্রতি পরপর দুই দিনে তাঁকে দুটি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁর রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকা হয়েছে কয়েক দিন আগে। আদালত জানিয়েছেন, ইমরানের দল আর ব্যাট প্রতীক পাচ্ছে না।
গত ২২ ডিসেম্বর দলটির ‘ব্যাট’ প্রতীক বাতিল করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। ইসিপির এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিআই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তবে ইসিপির সিদ্ধান্তকেই বহাল রেখেছেন আদালত।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের প্রচার চলছে দেশজুড়ে। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে দেয়াল। আর সেগুলোতে রয়েছে প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীক। কিন্তু সেখানে নেই ব্যাট প্রতীকের কোনো পোস্টার। পিটিআইয়ের সদস্যরা ও সমর্থকেরা মনে করছেন, তাঁদের দলের পরাজয় নিশ্চিত করতে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ষড়যন্ত্র করে তাঁদের ব্যাট প্রতীক বাদ দিয়েছে।
এ নিয়ে আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভিজিয়ার কনসালটিংয়ের সভাপতি আরিফ রফিক। তাঁর মতে, পিটিআইয়ের প্রতীক ব্যবহার করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ইমরান নির্বাচন করতে পারছেন না। দল প্রতীক পায়নি। এই পরিস্থিতিতে দলের নেতারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। কিন্তু তাঁদের ওপরও খড়্গ নেমে এসেছে। দলের একটি বড় অংশের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূলত পিটিআইকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে এই নির্বাচন।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে রাজনীতির মাঠে ফিরে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নিজেকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিচ্ছেন নওয়াজ শরিফ। পিএমএল-এনের নেতা শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ধারণা করা হচ্ছিল নওয়াজ শরিফ দেশে ফিরবেন। সেটাই হয়েছে। একের পর এক মামলা থেকে খালাস পাচ্ছেন নওয়াজ। সম্প্রতি দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, ইমরান খানের সঙ্গে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এরই মধ্যে নওয়াজ শরিফের প্রতি তাদের সমর্থন দিয়ে রেখেছে। এর মধ্য দিয়ে নওয়াজ এমনিতেই প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে আছেন। কারণ, পাকিস্তানে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দেশটির সেনা জেনারেলদের ব্যাপক প্রভাব থাকে বলে মনে করা হয়।
কেবল নওয়াজ নন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। ৩৫ বছর বয়সী এই পিপিপি নেতা একসময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন বিলাওয়াল। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতি তিনি।
বিলাওয়ালের মা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ২০০৭ সালে এক নির্বাচনী সমাবেশে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন। জুলফিকার ও বেনজির—দুজনকেই এখনো পাকিস্তানিরা সম্মানের চোখে দেখে। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা সহজ হবে না। কারণ, তাঁর দলের রাজনৈতিক অবস্থান এখনো মজবুত হয়নি।
বিলাওয়ালও মনে করেন, এই নির্বাচনে নওয়াজকেই সমর্থন করছে সেনাবাহিনী। এক প্রশ্নের জবাবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই তাঁর আচরণ বলে দিচ্ছে, তিনি চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের জনগণের ওপর নির্ভর না করে অন্য কিছুর ওপর ভরসা করছেন।’
একজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
৩ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ইসরায়েলের ‘‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসাবে অভিহিত করেছে ইরান।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের মণিপুর রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ওই রাজ্যটিতে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট ২৮৮টি কোম্পানি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
৫ ঘণ্টা আগে