আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রতিশোধপরায়ণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির কমলা হ্যারিস। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনের পার্লামেন্ট ভবন এলাকা ক্যাপিটল হিলে নির্বাচনী সমাবেশে এমন অভিযোগ তোলেন তিনি।
সিএনএন জানিয়েছে, ২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন এলাকা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালান ট্রাম্প-সমর্থকেরা। মঙ্গলবার সেই একই স্থানে সমাবেশ করেন কমলা হ্যারিস। ৪০ মিনিটের বক্তব্যে তিনি সবাইকে মনে করিয়ে দেন, কীভাবে চার বছর আগে ওই আক্রমণে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন ট্রাম্প। সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা জানি, ডোনাল্ড ট্রাম্প কে। তিনি অস্থির, প্রতিশোধপরায়ণ, অপরাধপ্রবণ। তিনি অবাধ ক্ষমতার পেছনে ছুটছেন।’
কমলা হ্যারিস বলেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আপনাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। স্বাধীনতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্য থেকে যেকোনো একটি বেছে নেওয়ার এখনই সময়। এর মাধ্যমে আপনারা জীবনের সবচেয়ে অসাধারণ কাহিনির পরবর্তী অধ্যায়টি লিখতে পারবেন।’
এদিনের সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনেক নারী দল বেঁধে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানাতে এসেছিলেন। সভায় অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান। সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান কমলা হ্যারিস। তিনি বলেন, ‘পরস্পরকে দোষারোপ করা বন্ধ করে আমাদের উচিত হাতে হাত রেখে দাঁড়ানো।’
মুদ্রাস্ফীতি ও নারীদের গর্ভপাতের অধিকার নিয়েও কথা বলেন কমলা। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ব্যয় কমানো, যা মহামারির আগেও বেড়েছিল এবং এখনো অনেক বেশি।’ গর্ভপাতের অধিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিজের শরীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মৌলিক স্বাধীনতা প্রত্যেক মানুষের থাকা প্রয়োজন। অথচ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে নারীদের গর্ভধারণে বাধ্য করবেন। বিশ্বাস না হলে আপনারা প্রজেক্ট ২০২৫ লিখে গুগলে সার্চ দিন।’
এদিকে রয়টার্স-ইপসোস প্রকাশিত সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে কিছুটা এগিয়ে গেছেন কমলা হ্যারিস। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৪ শতাংশ কমলা হ্যারিস এবং ৪৩ শতাংশ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তাঁদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। বাকি ১৩ শতাংশ লিবার্টেরিয়ান পার্টি, গ্রিন পার্টিসহ অন্যদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। গত ২১ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ১৫০ জন ভোটারের ওপর এই জরিপ চালায় রয়টার্স-ইপসোস। এতে দেখা যায়, অর্থনীতি, বেকারত্ব ও কর্মসংস্থান ইস্যুতে ভোটারদের পছন্দ ট্রাম্প। অভিবাসন সমস্যা মোকাবিলায়ও তাঁর ওপর আস্থাশীল ভোটারদের একটি বড় অংশ। অন্যদিকে, চরমপন্থী রাজনীতির প্রসার রুখতে কমলার ওপর ভরসা রয়েছে ভোটারদের।
প্রায় সব কটি জরিপে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। যদিও এই ধরনের জরিপ কোনো ভবিষ্যদ্বাণী দেওয়া বা কারও জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সঠিক মাপকাঠি নয়। তারপরও এ মুহূর্তে বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে আসছে, এবার কি যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট পাবে? নাকি দ্বিতীয় মেয়াদে জয় পেয়ে আবার ক্ষমতায় বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয় মার্কিন নির্বাচন। যেখানে প্রতিটি রাজ্যে তার জনসংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজের মধ্যে যে প্রার্থী ন্যূনতম ২৭০টিতে জিতবেন, তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি রাজ্য রয়েছে। কিন্তু প্রায় সব সময় একই দলকে ভোট দেন কিছু কিছু রাজ্যের ভোটাররা। আবার এমন কিছু রাজ্য আছে, যেগুলোতে দুই দলের প্রার্থীদেরই জয় পাওয়ার সুযোগ আছে। এগুলো এমন জায়গা, যেখানে কেউ এগিয়ে থাকলে নির্বাচনে জয়ী হবেন, পিছিয়ে পড়লে হেরে যাবেন। এই রাজ্যগুলো সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্য হিসেবে পরিচিত।
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রতিশোধপরায়ণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির কমলা হ্যারিস। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনের পার্লামেন্ট ভবন এলাকা ক্যাপিটল হিলে নির্বাচনী সমাবেশে এমন অভিযোগ তোলেন তিনি।
সিএনএন জানিয়েছে, ২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন এলাকা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালান ট্রাম্প-সমর্থকেরা। মঙ্গলবার সেই একই স্থানে সমাবেশ করেন কমলা হ্যারিস। ৪০ মিনিটের বক্তব্যে তিনি সবাইকে মনে করিয়ে দেন, কীভাবে চার বছর আগে ওই আক্রমণে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন ট্রাম্প। সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা জানি, ডোনাল্ড ট্রাম্প কে। তিনি অস্থির, প্রতিশোধপরায়ণ, অপরাধপ্রবণ। তিনি অবাধ ক্ষমতার পেছনে ছুটছেন।’
কমলা হ্যারিস বলেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আপনাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। স্বাধীনতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্য থেকে যেকোনো একটি বেছে নেওয়ার এখনই সময়। এর মাধ্যমে আপনারা জীবনের সবচেয়ে অসাধারণ কাহিনির পরবর্তী অধ্যায়টি লিখতে পারবেন।’
এদিনের সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনেক নারী দল বেঁধে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানাতে এসেছিলেন। সভায় অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান। সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান কমলা হ্যারিস। তিনি বলেন, ‘পরস্পরকে দোষারোপ করা বন্ধ করে আমাদের উচিত হাতে হাত রেখে দাঁড়ানো।’
মুদ্রাস্ফীতি ও নারীদের গর্ভপাতের অধিকার নিয়েও কথা বলেন কমলা। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ব্যয় কমানো, যা মহামারির আগেও বেড়েছিল এবং এখনো অনেক বেশি।’ গর্ভপাতের অধিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিজের শরীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মৌলিক স্বাধীনতা প্রত্যেক মানুষের থাকা প্রয়োজন। অথচ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে নারীদের গর্ভধারণে বাধ্য করবেন। বিশ্বাস না হলে আপনারা প্রজেক্ট ২০২৫ লিখে গুগলে সার্চ দিন।’
এদিকে রয়টার্স-ইপসোস প্রকাশিত সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে কিছুটা এগিয়ে গেছেন কমলা হ্যারিস। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৪ শতাংশ কমলা হ্যারিস এবং ৪৩ শতাংশ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তাঁদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। বাকি ১৩ শতাংশ লিবার্টেরিয়ান পার্টি, গ্রিন পার্টিসহ অন্যদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। গত ২১ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ১৫০ জন ভোটারের ওপর এই জরিপ চালায় রয়টার্স-ইপসোস। এতে দেখা যায়, অর্থনীতি, বেকারত্ব ও কর্মসংস্থান ইস্যুতে ভোটারদের পছন্দ ট্রাম্প। অভিবাসন সমস্যা মোকাবিলায়ও তাঁর ওপর আস্থাশীল ভোটারদের একটি বড় অংশ। অন্যদিকে, চরমপন্থী রাজনীতির প্রসার রুখতে কমলার ওপর ভরসা রয়েছে ভোটারদের।
প্রায় সব কটি জরিপে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। যদিও এই ধরনের জরিপ কোনো ভবিষ্যদ্বাণী দেওয়া বা কারও জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সঠিক মাপকাঠি নয়। তারপরও এ মুহূর্তে বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে আসছে, এবার কি যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট পাবে? নাকি দ্বিতীয় মেয়াদে জয় পেয়ে আবার ক্ষমতায় বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয় মার্কিন নির্বাচন। যেখানে প্রতিটি রাজ্যে তার জনসংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজের মধ্যে যে প্রার্থী ন্যূনতম ২৭০টিতে জিতবেন, তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি রাজ্য রয়েছে। কিন্তু প্রায় সব সময় একই দলকে ভোট দেন কিছু কিছু রাজ্যের ভোটাররা। আবার এমন কিছু রাজ্য আছে, যেগুলোতে দুই দলের প্রার্থীদেরই জয় পাওয়ার সুযোগ আছে। এগুলো এমন জায়গা, যেখানে কেউ এগিয়ে থাকলে নির্বাচনে জয়ী হবেন, পিছিয়ে পড়লে হেরে যাবেন। এই রাজ্যগুলো সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্য হিসেবে পরিচিত।
আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন নির্বাচন। পঞ্জিকা অনুযায়ী, সেই দিনটি হচ্ছে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটাই নিয়ম যে চার বছর পরপর যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা অবশ্যই নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগেস্পেনের ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
২ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি সংস্থা গুগলকে বিস্ময়করভাবে ২০ ডেসিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে রাশিয়ার একটি আদালত। বুধবার ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে যত টাকা আছে সব একসঙ্গে করা হলেও এই পরিমাণ অর্থ হবে না।
৩ ঘণ্টা আগে