অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হয়েই মিত্র ইলন মাস্ককে দেশটির সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দেন। ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর মাস্কও তাঁর কাজ শুরু করে দেন। এবারে তিনি মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ তথা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ লেনদেনের পুরো ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ পেয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের নিয়ন্ত্রণে থাকা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগে তাঁর নিয়োগ করা মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের অর্থ প্রদান ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার পেয়েছেন। এর ফলে কয়েক দিন ধরে চলা অচলাবস্থার অবসান হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস গতকাল শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইলন মাস্ক বর্তমানে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে এই বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছেন। মাস্ককে সরকারি ব্যয়ের অপ্রয়োজনীয় অংশ চিহ্নিত করা এবং সম্ভাব্য জালিয়াতি খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি ট্রেজারি বিভাগের সেই সিস্টেমের অ্যাকসেস চেয়েছিলেন।
এই সিস্টেমের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ফেডারেল তহবিল বিতরণ করা হয়। কিন্তু তার এই প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেন ট্রেজারি বিভাগের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা ডেভিড লেব্রিক। তিনি মাস্কের এই অ্যাকসেস পাওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। এর ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। তবে চলতি সপ্তাহে লেব্রিককে ছুটিতে পাঠানো হয় এবং পরে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। এরপর গত শুক্রবার মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট ব্যাসেন্ট মাস্কের দলকে সরকারি অর্থ প্রদানের এই গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমের অ্যাকসেস প্রদান করেন।
এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার একটি। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ৬ লাখ কোটি ডলারের বেশি অর্থ লেনদেন করা হয়। এটি বিভিন্ন ফেডারেল সংস্থার পক্ষ থেকে অর্থ প্রদান করে থাকে। যেমন, সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধাভোগী, কর ফেরতের অর্থ প্রদান, সরকারি অনুদান ও সহায়তা এবং সরকারি ঠিকাদারদের অর্থও এই সিস্টেমের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এই সিস্টেমে কোটি কোটি আমেরিকানের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত, যা অত্যন্ত সংবেদনশীল।
মাস্কের দল এই সিস্টেমে প্রবেশাধিকার পাওয়ার পর, মার্কিন সিনেটের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা রন ওয়াইডেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্লুস্কাইয়ে শেয়ার করা এক পোস্টে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তাঁর দপ্তরকে একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রেজারি সেক্রেটারি ব্যাসেন্ট ডিওজিইকে সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকার দিয়েছেন। এর মধ্যে সোশ্যাল সিকিউরিটি ও মেডিকেয়ার সুবিধাভোগীদের অর্থ প্রদান, সরকারি অনুদান ও সহায়তা প্রদান, এবং সরকারি ঠিকাদারদের পেমেন্ট অন্তর্ভুক্ত। এমনকি এই ঠিকাদারদের মধ্যে মাস্কের কোম্পানির প্রতিদ্বন্দ্বীরাও রয়েছেন।
সিনেট ফাইন্যান্স কমিটির প্রধান ওয়াইডেন আরও বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুতর এবং এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ হতে পারে।’ গত শুক্রবার ওয়াইডেন ট্রেজারি সেক্রেটারি ব্যাসেন্টকে একটি চিঠি পাঠান। সেখানে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেউ অর্থ প্রদানের সিস্টেমের অপব্যবহার করে, তবে এটি আমাদের দেশের অর্থনীতি এবং নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করবে।’
ডেমোক্র্যাটদের শঙ্কা হলো, মাস্ক এই সিস্টেমের ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, অথবা এমন কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন যা তার নিজস্ব ব্যবসার স্বার্থ রক্ষা করবে। তবে বাস্তবতা হলো এটি কেবল নামেই ডিপার্টমেন্ট। আসলে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি কোনো ফেডারেল সংস্থা নয়। এটি ট্রাম্পের নির্দেশে গঠিত একটি বিশেষ ইউনিট, যা হোয়াইট হাউসের নির্দেশে কাজ করছে।
গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের শেয়ার করা এক পোস্টে মাস্ক দাবি করেন, ‘ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরিচিত জালিয়াত বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অর্থ প্রদান অনুমোদন করতে বলা হয়েছিল। তবে, মাস্ক এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হয়েই মিত্র ইলন মাস্ককে দেশটির সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দেন। ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর মাস্কও তাঁর কাজ শুরু করে দেন। এবারে তিনি মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ তথা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ লেনদেনের পুরো ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ পেয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের নিয়ন্ত্রণে থাকা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগে তাঁর নিয়োগ করা মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের অর্থ প্রদান ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার পেয়েছেন। এর ফলে কয়েক দিন ধরে চলা অচলাবস্থার অবসান হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস গতকাল শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইলন মাস্ক বর্তমানে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে এই বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছেন। মাস্ককে সরকারি ব্যয়ের অপ্রয়োজনীয় অংশ চিহ্নিত করা এবং সম্ভাব্য জালিয়াতি খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি ট্রেজারি বিভাগের সেই সিস্টেমের অ্যাকসেস চেয়েছিলেন।
এই সিস্টেমের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ফেডারেল তহবিল বিতরণ করা হয়। কিন্তু তার এই প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেন ট্রেজারি বিভাগের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা ডেভিড লেব্রিক। তিনি মাস্কের এই অ্যাকসেস পাওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। এর ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। তবে চলতি সপ্তাহে লেব্রিককে ছুটিতে পাঠানো হয় এবং পরে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। এরপর গত শুক্রবার মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট ব্যাসেন্ট মাস্কের দলকে সরকারি অর্থ প্রদানের এই গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমের অ্যাকসেস প্রদান করেন।
এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার একটি। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ৬ লাখ কোটি ডলারের বেশি অর্থ লেনদেন করা হয়। এটি বিভিন্ন ফেডারেল সংস্থার পক্ষ থেকে অর্থ প্রদান করে থাকে। যেমন, সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধাভোগী, কর ফেরতের অর্থ প্রদান, সরকারি অনুদান ও সহায়তা এবং সরকারি ঠিকাদারদের অর্থও এই সিস্টেমের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এই সিস্টেমে কোটি কোটি আমেরিকানের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত, যা অত্যন্ত সংবেদনশীল।
মাস্কের দল এই সিস্টেমে প্রবেশাধিকার পাওয়ার পর, মার্কিন সিনেটের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা রন ওয়াইডেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্লুস্কাইয়ে শেয়ার করা এক পোস্টে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তাঁর দপ্তরকে একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রেজারি সেক্রেটারি ব্যাসেন্ট ডিওজিইকে সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকার দিয়েছেন। এর মধ্যে সোশ্যাল সিকিউরিটি ও মেডিকেয়ার সুবিধাভোগীদের অর্থ প্রদান, সরকারি অনুদান ও সহায়তা প্রদান, এবং সরকারি ঠিকাদারদের পেমেন্ট অন্তর্ভুক্ত। এমনকি এই ঠিকাদারদের মধ্যে মাস্কের কোম্পানির প্রতিদ্বন্দ্বীরাও রয়েছেন।
সিনেট ফাইন্যান্স কমিটির প্রধান ওয়াইডেন আরও বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুতর এবং এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ হতে পারে।’ গত শুক্রবার ওয়াইডেন ট্রেজারি সেক্রেটারি ব্যাসেন্টকে একটি চিঠি পাঠান। সেখানে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেউ অর্থ প্রদানের সিস্টেমের অপব্যবহার করে, তবে এটি আমাদের দেশের অর্থনীতি এবং নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করবে।’
ডেমোক্র্যাটদের শঙ্কা হলো, মাস্ক এই সিস্টেমের ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, অথবা এমন কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন যা তার নিজস্ব ব্যবসার স্বার্থ রক্ষা করবে। তবে বাস্তবতা হলো এটি কেবল নামেই ডিপার্টমেন্ট। আসলে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি কোনো ফেডারেল সংস্থা নয়। এটি ট্রাম্পের নির্দেশে গঠিত একটি বিশেষ ইউনিট, যা হোয়াইট হাউসের নির্দেশে কাজ করছে।
গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের শেয়ার করা এক পোস্টে মাস্ক দাবি করেন, ‘ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরিচিত জালিয়াত বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অর্থ প্রদান অনুমোদন করতে বলা হয়েছিল। তবে, মাস্ক এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।
ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইযেহ-তে গত শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মুখে আত্মহত্যা করেছেন এক প্রতিবাদকারী। ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, অভিযানের মুহূর্তে ইনস্টাগ্রাম লাইভে সঙ্গে থাকা একটি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নিজের শরীরে গুলি করেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র রপ্তানির ৪৩ শতাংশ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের; যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ ফ্রান্সের তুলনায় চার গুণ বেশি। আগের পাঁচ বছরে (২০১৫-১৯) এই হার ছিল ৩
৮ ঘণ্টা আগেপ্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় কানাডার অন্টারিও রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড ঘোষণা করেছেন—আজ সোমবার থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা বিদ্যুতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি কার্যকর হবে।
৮ ঘণ্টা আগেপ্রিন্স রবার্ট গত ৭ মার্চ এক বিবৃতিতে ছেলের মৃত্যুর খবরটি জানান। বিবৃতিটি ‘পোলগ ফাউন্ডেশন’-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। সদ্য প্রয়াত রাজপুত্র ফ্রেডেরিকই ২০২২ সালে এই ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে একজন সৃজনশীল পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে