অনলাইন ডেস্ক
অভিবাসী গ্রহণ আরও কমিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডার সরকার। দেশটির জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এই সিদ্ধান্তের ফলে, দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় অভিবাসী হওয়ার যে স্রোত ছিল তা অনেকটাই কমিয়ে ফেলা হবে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কানাডা সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। কানাডার জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা জানিয়েছে, কানাডার জনসংখ্যা ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৩ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ১৯৫৭ সালের পর থেকে সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি। বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ। সংস্থাটি বলেছে, জনসংখ্যার এই ব্যাপক বৃদ্ধির পেছনে নতুন অভিবাসন দায়ী।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিবাসী গ্রহণ সীমিত করার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘অভিবাসীদের আগমন কানাডার অর্থনীতি কোভিড মহামারির কারণে যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তা উদ্ধারে সহায়ক হয়েছে। তবে এখন ভারসাম্য আনার সময় এসেছে। আজ আমরা ঘোষণা করছি যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে আমরা অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনব। যার ফলে আগামী দুই বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ধীর হয়ে আসবে।’
ট্রুডো বলেন, ‘কানাডাকে অবশ্যই জনসংখ্যা স্থিতিশীল করতে হবে যাতে সরকারের সকল স্তরকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে সময় দেওয়া যায়। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন এবং সামাজিক পরিষেবায় আরও বেশি মানুষকে ভবিষ্যতে গ্রহণ করা সম্ভব হয় তা নিশ্চিত করতেই এটি করা প্রয়োজন।’
কানাডার অভিবাসন মন্ত্রণালয় আগে জানিয়েছিল, ২০২৫ ও ২০২৬ সালে দেশটি ৫ লাখ নতুন স্থায়ী বাসিন্দাকে দেশে বসবাসের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে, আগামী বছর দেশটি ৩ লাখ ৯৫ হাজার জন এবং ২০২৬ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার জনকে স্থায়ী বাসিন্দা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বাইরে ২০২৭ সালে আরও ৩ লাখ ৬৫ হাজারকে আশ্রয় দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার বলেছেন, এটি সম্ভবত এ ধরনের প্রথম কোনো পরিকল্পনা, যা কানাডায় জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণের এক বিস্তৃত প্রচেষ্টা।
২০২১ সালে হওয়া সর্বশেষ আদমশুমারি বলছে, কানাডার বর্তমান জনসংখ্যার ২৩ শতাংশই বিদেশে জন্মগ্রহণকারী। স্ট্যাটিসটিকস কানাডা বলেছে, ২০২১ সালের হিসাবে বেশির ভাগ অভিবাসী এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছেন। তবে একটি বড় অংশও আফ্রিকা থেকে আসছে। এ ছাড়া, সর্বশেষ যারা কানাডায় গিয়েছেন, তাদের মধ্যে এক-পঞ্চমাংশই ভারতীয়।
গত মাসে এনভায়রনিক্স ইনস্টিটিউটের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিগত ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার সংখ্যাগরিষ্ঠ কানাডিয়ান মনে করছেন যে, দেশটিতে অভিবাসন বেশি হচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৮ শতাংশ কানাডিয়ান বিশ্বাস করেন যে, দেশটি খুব বেশিসংখ্যক অভিবাসী গ্রহণ করছে। যা ২০২৩ থেকে ১৪ শতাংশ পয়েন্ট বেশি।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত তথ্যে অ্যাবাকাস ডেটা জানিয়েছে, প্রতি দুজন কানাডিয়ানের মধ্যে একজন মনে করেন যে, অভিবাসন দেশের জন্য ক্ষতিকারক। অ্যাবাকাসের তথ্য অনুযায়ী, কানাডিয়ানদের মধ্যে অভিবাসনের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগের প্রধান কারণ হলো, অপর্যাপ্ত জরুরি সম্পদের অভাব, বিশেষত সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের অভাব।
অভিবাসী, কানাডা, এশীয়, আফ্রিকা, নাগরিকত্ব, অর্থনীতি, ট্রুডো, সরকার
অভিবাসী গ্রহণ আরও কমিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডার সরকার। দেশটির জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এই সিদ্ধান্তের ফলে, দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় অভিবাসী হওয়ার যে স্রোত ছিল তা অনেকটাই কমিয়ে ফেলা হবে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কানাডা সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। কানাডার জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা জানিয়েছে, কানাডার জনসংখ্যা ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৩ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ১৯৫৭ সালের পর থেকে সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি। বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ। সংস্থাটি বলেছে, জনসংখ্যার এই ব্যাপক বৃদ্ধির পেছনে নতুন অভিবাসন দায়ী।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিবাসী গ্রহণ সীমিত করার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘অভিবাসীদের আগমন কানাডার অর্থনীতি কোভিড মহামারির কারণে যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তা উদ্ধারে সহায়ক হয়েছে। তবে এখন ভারসাম্য আনার সময় এসেছে। আজ আমরা ঘোষণা করছি যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে আমরা অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনব। যার ফলে আগামী দুই বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ধীর হয়ে আসবে।’
ট্রুডো বলেন, ‘কানাডাকে অবশ্যই জনসংখ্যা স্থিতিশীল করতে হবে যাতে সরকারের সকল স্তরকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে সময় দেওয়া যায়। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন এবং সামাজিক পরিষেবায় আরও বেশি মানুষকে ভবিষ্যতে গ্রহণ করা সম্ভব হয় তা নিশ্চিত করতেই এটি করা প্রয়োজন।’
কানাডার অভিবাসন মন্ত্রণালয় আগে জানিয়েছিল, ২০২৫ ও ২০২৬ সালে দেশটি ৫ লাখ নতুন স্থায়ী বাসিন্দাকে দেশে বসবাসের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে, আগামী বছর দেশটি ৩ লাখ ৯৫ হাজার জন এবং ২০২৬ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার জনকে স্থায়ী বাসিন্দা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বাইরে ২০২৭ সালে আরও ৩ লাখ ৬৫ হাজারকে আশ্রয় দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার বলেছেন, এটি সম্ভবত এ ধরনের প্রথম কোনো পরিকল্পনা, যা কানাডায় জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণের এক বিস্তৃত প্রচেষ্টা।
২০২১ সালে হওয়া সর্বশেষ আদমশুমারি বলছে, কানাডার বর্তমান জনসংখ্যার ২৩ শতাংশই বিদেশে জন্মগ্রহণকারী। স্ট্যাটিসটিকস কানাডা বলেছে, ২০২১ সালের হিসাবে বেশির ভাগ অভিবাসী এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছেন। তবে একটি বড় অংশও আফ্রিকা থেকে আসছে। এ ছাড়া, সর্বশেষ যারা কানাডায় গিয়েছেন, তাদের মধ্যে এক-পঞ্চমাংশই ভারতীয়।
গত মাসে এনভায়রনিক্স ইনস্টিটিউটের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিগত ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার সংখ্যাগরিষ্ঠ কানাডিয়ান মনে করছেন যে, দেশটিতে অভিবাসন বেশি হচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৮ শতাংশ কানাডিয়ান বিশ্বাস করেন যে, দেশটি খুব বেশিসংখ্যক অভিবাসী গ্রহণ করছে। যা ২০২৩ থেকে ১৪ শতাংশ পয়েন্ট বেশি।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত তথ্যে অ্যাবাকাস ডেটা জানিয়েছে, প্রতি দুজন কানাডিয়ানের মধ্যে একজন মনে করেন যে, অভিবাসন দেশের জন্য ক্ষতিকারক। অ্যাবাকাসের তথ্য অনুযায়ী, কানাডিয়ানদের মধ্যে অভিবাসনের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগের প্রধান কারণ হলো, অপর্যাপ্ত জরুরি সম্পদের অভাব, বিশেষত সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের অভাব।
অভিবাসী, কানাডা, এশীয়, আফ্রিকা, নাগরিকত্ব, অর্থনীতি, ট্রুডো, সরকার
কানাডা সরকারের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, অমিত শাহ কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লক্ষ্য করে সহিংসতা ও ভয় দেখানোর ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছেন। এ সংক্রান্ত প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
১ ঘণ্টা আগেসর্বনিম্ন মজুরির পরিমাণ বাড়িয়েছে ব্রিটিশ সরকার। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে এই নতুন সর্বনিম্ন মজুরি কার্যকর হবে। ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী বা চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার র্যাচেল রিভস আজ বুধবার এই ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইট থেকে এই তথ্য জানা
১ ঘণ্টা আগেএকটি মানব পাচার চক্র ভেঙে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ। দেশটির দক্ষিণ আচেহকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হতো এই মানবপাচার চক্রটি। এরা অবৈধভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আচেহের বাসিন্দাদের প্রতিবেশী দেশগুলো, বিশেষ করে মালয়েশিয়ায় পাচার করছিল। এই চক্রটির বিস্তৃতি আছে বাংলাদেশেও
২ ঘণ্টা আগেগত সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের ১৪৫ জন নাগরিককে দীর্ঘ মেয়াদে বসবাসের জন্য ভিসা দিয়েছে ভারত। সাধারণত এসব দীর্ঘমেয়াদি ভিসার মেয়াদ হয় পাঁচ বছর। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য হিন্দুকে এই তথ্য জানিয়েছেন
২ ঘণ্টা আগে