খামারের শূকরকে লাশ খাওয়াতেন এই সিরিয়াল কিলার, কারাগারে খুন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৪, ০০: ১০

কুখ্যাত কানাডীয় সিরিয়াল কিলার রবার্ট ‘উইলি’ পিকটন কারাগারে হামলার শিকার হয়ে মারা গেছেন। গত ১৯ মে কুইবেকের পোর্ট-কার্টিয়ার ইনস্টিটিউশনে হামলার শিকার হন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

কানাডার কারেকশনাল সার্ভিসের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবার্ট পিকটনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। তাঁকে ২৬ জন নারী হত্যায় অভিযুক্ত এবং ২০০৭ সালে ছয়টি সেকেন্ড-ডিগ্রির হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

ভ্যাঙ্কুভারের পোর্ট কোকুইটলাম এলাকার একজন শূকর চাষী ছিলেন রবার্ট পিকটন। তার শিকার বেশিরভাগই পতিতা এবং মাদকাসক্ত ছিল। এসব ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর পোর্ট কোকুইটলাম এলাকায় দুই দশক ধরে তদন্ত চলে।

মোনা উইলসন, সেরিনা অ্যাবটওয়ে, মার্নি ফ্রে, ব্রেন্ডা উলফ, আন্দ্রেয়া জোসবারি এবং জর্জিনা পাপিনসহ প্রায় ৭০ জন নারী ১৯৮০ সাল থেকে ২০০১ সালের মধ্যে ভ্যাঙ্কুভারের ডাউনটাউন ইস্টসাইড এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন।

কথিত আছে, তাঁরা সবাই রবার্ট পিকটনের ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন। তাঁদের টাকা ও মাদকের লোভ দেখিয়ে নিজের খামারে নিয়ে আসতেন পিকটন।

 ২০০৮ সালের গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, তাঁর খামারে অভিযান চালিয়ে ৪৯ জনের মধ্যে ৩৩ জন নারীর দেহাবশেষ বা ডিএনএ পাওয়া যায়। যার মধ্যে তিনি ৪৯ জনকে হত্যা করেছেন বলে দাবি করা হয়। তদন্তকারীরা তার খামারে মাথার খুলি ও পাসহ মানুষের দেহাবশেষও খুঁজে পান। কিছু প্রত্যক্ষদর্শী রাতের বেলা পিকটনের লাশ কাটার মতো ভয়ঙ্কর দৃশ্যের বর্ণনাও দিয়েছেন পরবর্তীতে।

তাঁর বিচারের সময় ভয়ঙ্কর সব বিবরণ উঠে আসে। রবার্ট পিকটন তাঁর শিকারদের শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং দেহের অবশিষ্টাংশ নিজ খামারের শূকরকে খাওয়াতেন। এ নিয়ে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার কাছে বড়াইও করেছিলেন।

তাঁর খামার থেকে শুকরের মাংস ক্রয়কারীদের সতর্ক করেছিলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। কারণ শূকরের মাংসের মধ্যে পিকটন মানুষের মাংস মিশিয়ে থাকতে পারেন।

শক্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও রবার্ট পিকটন তাঁর অপরাধ অস্বীকার করেন। বিচারের সময় তিনি খুব কমই আবেগ দেখিয়েছিলেন এবং সাক্ষ্য দেননি। একজন আন্ডারকভার অফিসারের সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ডের ভিত্তিতে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়। ওই টেপ রেকর্ডে তিনি স্বীকার করে বলেন, তিনি ইতিমধ্যে ৪৯ জন নারীকে হত্যা করেছেন এবং ৫০ জনকে হত্যার টার্গেট পূরণের অপেক্ষায় আছেন।

যাইহোক, এখন কানাডার সংশোধনমূলক কারাগারে রবার্ট পিকটনের ওপর হামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই হামলাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত