যৌন ব্যবসায়ী এপস্টেইনের সঙ্গে ক্লিনটন, ট্রাম্পসহ যাঁদের নাম জড়িয়ে গেল

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪: ৫৪
Thumbnail image

যৌন অপরাধী ও প্রয়াত মার্কিন ধনকুবের জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন এমন বেশ কয়েকজন হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্বের নাম সামনে এসেছে। এপস্টেইন-সংক্রান্ত একটি মামলার নথি থেকে জানা গেছে, সাবেক দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ আরও অনেকেই এই তালিকায় আছেন। 

বিখ্যাত সাময়িকী ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত জেফরি এপস্টেইনের যৌন নির্যাতনের শিকার ভার্জিনিয়া জিওফ্রে এবং এপস্টেইনের সহযোগী ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েলের মধ্যে একটি মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার সমঝোতার অংশ হিসেবে এই মামলার নথি থেকে এই নামগুলো প্রকাশ করা হচ্ছে। 

ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নথিতে অন্তত ১৫০ জনের নাম রয়েছে, যাঁরা বিভিন্নভাবে জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে জড়িত। এই জড়িতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া, ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে বিতাড়িত প্রিন্স অ্যান্ড্রুও আছেন এই তালিকায়। মূলত জেফরির সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগেই তাঁকে রাজপরিবার থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। 

তালিকায় বিল ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম থাকলেও তাঁরা কোনো ধরনের অপরাধ বা ভুল করেছেন এমন কিছু উল্লেখ করা হয়নি নথিতে। বিল ক্লিনটনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিল একবার জেফরির সঙ্গে বিমানভ্রমণে গেলেও সেখানে কোনো কিছু ঘটেনি। 
 
যাই হোক, বিল ক্লিনটন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রিন্স অ্যান্ড্রু ছাড়াও এই তালিকায় যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হলেন পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসন। এ ছাড়া বিখ্যাত মার্কিন জাদুগর ডেভিড কপারফিল্ড, মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান হাইব্রিজ ক্যাপিটালের সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্লেন ডুবিন, নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর বিল রিচার্ডসন, আইনজীবী অ্যালান ডারশোভিৎজ এবং চেইন হোটেল হায়াতের চেয়ারম্যান ও ধনকুবের থমাস প্রিজকার উল্লেখযোগ্য। 

ধনকুবের জেফরি এপস্টেইন ব্যক্তিজীবনে ছিলেন চতুর ও কৌশলী বিনিয়োগকারী। সমাজের উচ্চস্তরের লোকজন বিশেষ করে তারকা, বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ এবং অন্যান্য ধনকুবেরের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা ছিল ব্যাপক। ২০০৫ সালে তাঁকে প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার করা হয় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে যৌনতার জন্য অর্থ দেওয়ার অভিযোগে।

এরপর আরও একাধিক কিশোরী একই অভিযোগ তুললেও জেফরিকে ২০০৮ সালে একটি মাত্র কিশোরীর অভিযোগের বিপরীতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। কিন্তু পরিহাসের বিষয় হলো, তাঁকে ১৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হলেও দণ্ড ভোগকালে জেফরি এপস্টেইন নিয়মিত অফিস করতেন এবং কেবল রাতের বেলায় কারাগারে গিয়ে ঘুমাতেন। 

পরে ২০১৯ সালে ম্যানহাটানের ফেডারেল কৌঁসুলিরা জেফরি এপস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন ব্যবসায় বিশেষ করে যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে ফেলার জন্য নারী পাচারের অভিযোগ আনেন। সেই মামলার শুনানির সময় তিনি কারাগারেই আত্মহত্যা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত