Ajker Patrika

চীনের ওপর শুল্ক আরোপে অনীহা বাড়ছে ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বহুদিন ধরে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিরোধ রয়েছে। ছবি: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বহুদিন ধরে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিরোধ রয়েছে। ছবি: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

চীনের ওপর শুল্ক আরোপে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা বহুদিনের। নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে দায়িত্ব নেওয়ার পরও তিনি বলেছেন চীনের ওপর শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনের ওপর ১০ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক আরোপের কথা ভাবছে তাঁর প্রশাসন। কিন্তু এবার তিনি বললেন, চীনের ওপর শুল্ক আরোপ না করাই ভালো। বরং বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি করা যায় কি না ভাবছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথাই বললেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, ‘চীনের ওপর আমাদের একটি বড় শক্তি আছে, সেটি হলো শুল্ক। এটি তাঁরা চায় না। আর আমি চাই না যে আমাকে এগুলো ব্যবহার করতে হোক। তবে এটি চীনের ওপর ব্যবহারের মতো একটি বিশাল শক্তি।’

তবে, চীনের ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে অমূলক নয় বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘চীন আমেরিকা থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে সামরিক বাহিনী গড়তে ব্যয় করছে।’

ট্রাম্প জানান, ফোনালাপে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য, টিকটক ও তাইওয়ানসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়েছে। চীনের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য চুক্তি করা যায় কি না এ প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা করতে পারি।’

সাক্ষাৎকারে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের কথা তুলে ধরে তাঁর প্রশংসা করেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, ‘সি আমার বন্ধুর মতো। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে। এটি একটি ভালো ও বন্ধুত্বপূর্ণ আলাপ ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোভিডের আগেই তাঁর (চিন পিং) সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক ছিল। চীন একটি বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী দেশ এবং তিনি (চিন পিং) খুবই উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি।’

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বহুদিন ধরে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিরোধ রয়েছে। প্রযুক্তি, সামরিক, বাণিজ্য—একে একে সব খাতে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ বাড়ছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক অ্যাপের মালিকানা নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। টিকটকের চীনা মালিক বাইটড্যান্সকে সরিয়ে অন্য কোনো মালিকানার অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালনা করতে বলা হয়। সেটি সম্ভব না হওয়ায় টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাইডেন প্রশাসন। অবশ্য ট্রাম্প সেই নিষেধাজ্ঞা ৭৫ দিনের জন্য মুলতবি করতে বলেন।

ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় দিনে হুমকি দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবাধে ফেন্টানিলসহ মাদক পাচারের অভিযোগে চীনের ওপর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। নির্বাচনী প্রচারণার সময়, চীনের ওপর প্রায় ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এই রিপাবলিকান নেতা।

ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর চীনের মুদ্রা ইউয়ানের মূল্য অভ্যন্তর-আন্তর্জাতিক দুই বাজারে বৃদ্ধি পায়। অফশোর ইউয়ান ডলারের বিপরীতে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে যায়। অন্যদিকে অনশোর ইউয়ান শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

সরকারের দেওয়া গানম্যান প্রত্যাখ্যান করলেন নুরুল হক নুর

এবার দিল্লি ও আগরতলায় ভিসা কার্যক্রম ‘সাময়িক বন্ধ’ করল বাংলাদেশ

সখীপুরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, দুই স্কুলছাত্রসহ নিহত ৩

‘ছাত্রদল আপনার মতো আম্মারকে ৩০ মিনিটে বের করে দিতে সক্ষম’, ভিডিও ভাইরাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু

ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ ছিটমহল গাজায় ইসরায়েল গত ৭৩ দিনে অন্তত ৮৭৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটি অন্তত ৪১১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লেবানিজ সংবাদমাধ্যম আল–মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গাজা সরকারি জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গত ৭৩ দিন ধরে ক্রমাগত এবং পরিকল্পিতভাবে তা লঙ্ঘন করে চলেছে। তাদের এই কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং চুক্তির মানবিক প্রটোকলকে চরমভাবে অবজ্ঞা করছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে দপ্তর জানায়, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো ‘ইসরায়েল’-এর পক্ষ থেকে মোট ৮৭৫টি লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এর মধ্যে—সামরিক নাগরিকদের ওপর সরাসরি গুলিবর্ষণের ঘটনা ২৬৫টি, আবাসিক এলাকায় সামরিক যানের অনুপ্রবেশ ৪৯টি, ফিলিস্তিনি ও তাদের ঘরবাড়ি লক্ষ্য করে ৪২১টি গোলাবর্ষণ ও হামলার ঘটনা এবং বেসামরিক ভবন ও স্থাপনা ধ্বংস ও গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ১৫০টি।

বিবৃতি অনুযায়ী, এসব যুদ্ধপারাধ লঙ্ঘনের ঘটনায় ৪১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ হাজার ১১২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৪৫ জনকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে, মানবিক সহায়তার বিষয়ে জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে—সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্ধারিত ৪৩ হাজার ৮০০টি ট্রাকের বদলে ওই সময়ে গাজায় মাত্র ১৭ হাজার ৮১৯টি সহায়তার ট্রাক প্রবেশ করতে পেরেছে, যা মোট প্রতিশ্রুতির মাত্র ৪১ শতাংশ।

জ্বালানি সরবরাহেও মারাত্মক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তফশিল অনুযায়ী ৩ হাজার ৬৫০টি ট্রাক আসার কথা থাকলেও এসেছে মাত্র ৩৯৪ টি, যা মাত্র ১০ শতাংশ। এর ফলে হাসপাতাল, বেকারি, পানি শোধনাগার এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

জনসংযোগ বিভাগ আরও সতর্ক করেছে, তাঁবু ও ভ্রাম্যমাণ ঘর (মোবাইল হোম) প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় আশ্রয় সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। সাম্প্রতিক শীতকালীন ঝোড়ো হাওয়ায় এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ৪৬টি ঘর ধসে পড়েছে এবং ভেতরে আশ্রয় নেওয়া ১৫ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

এ ছাড়া, বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে প্রচণ্ড ঠান্ডায় দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি তাঁবু ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, যার ফলে প্রায় ১৫ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ কোনো প্রকার সুরক্ষা ছাড়াই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিশেষ করে সামনে যখন হাড়কাঁপানো ঠান্ডার সময় তথা ‘চল্লিশ দিনের’ সময় ঘনিয়ে আসছে, তখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, এই চলমান লঙ্ঘনগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে এক বিপজ্জনক প্রতারণা। তারা ইসরায়েলকে অবদমন, অনাহার এবং জবরদস্তির নীতি চাপিয়ে দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে। একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি বজায় রাখার কথা থাকলেও এই মানবিক বিপর্যয়ের সময় যে পরিমাণ প্রাণহানি এবং পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে, তার জন্য ইসরায়েলকেই সম্পূর্ণ দায়ী করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

সরকারের দেওয়া গানম্যান প্রত্যাখ্যান করলেন নুরুল হক নুর

এবার দিল্লি ও আগরতলায় ভিসা কার্যক্রম ‘সাময়িক বন্ধ’ করল বাংলাদেশ

সখীপুরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, দুই স্কুলছাত্রসহ নিহত ৩

‘ছাত্রদল আপনার মতো আম্মারকে ৩০ মিনিটে বের করে দিতে সক্ষম’, ভিডিও ভাইরাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিজ নামে ২ ‘সর্ববৃহৎ ব্যাটলশিপ’ নির্মাণ করছেন ট্রাম্প, সব মিলিয়ে ২৫টির পরিকল্পনা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ১১
মার–এ–লাগোর সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অন্যান্যরা। ছবি: এএফপি
মার–এ–লাগোর সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অন্যান্যরা। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য তিনি এক নতুন শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ বা ‘ব্যাটলশিপ’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। অতি শক্তিশালী অস্ত্রে সজ্জিত এই জাহাজগুলোর নাম রাখা হবে তাঁর নিজের নামেই। মূলত মার্কিন নৌবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর যে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন, তার নাম দিয়েছেন ‘গোল্ডেন ফ্লিট।’

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ক্লাস ইউএসএস ডিফায়েন্ট—নামের এই বিশেষ যুদ্ধজাহাজগুলোর নির্মাণকাজ খুব দ্রুতই শুরু হতে যাচ্ছে। ট্রাম্প বুক ফুলিয়ে দাবি করেছেন, আগামী আড়াই বছরের মধ্যে এই রণতরিগুলো সাগরে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীকে এক বিশাল আকৃতি দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা। সেখানে যেমন থাকবে মনুষ্যচালিত বিশাল সব যুদ্ধজাহাজ, তেমনি থাকবে চালকহীন ছোট ছোট নৌযানও। এই বহরে যুক্ত হবে বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী রণতরি এবং ছোট গতির নৌকা।

মার্কিন সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বেশ কিছুদিন ধরে একটা সতর্কবার্তা দিয়ে আসছেন। তাঁদের দুশ্চিন্তা চীন। জাহাজ নির্মাণের সক্ষমতা এবং মোট উৎপাদনের হিসাবে আমেরিকা এখন চীনের চেয়ে বেশখানিকটা পিছিয়ে পড়েছে। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো গলফ ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প যখন এই নতুন পরিকল্পনার কথা বলছিলেন, তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং নৌবাহিনী সচিব জন ফেলান। সোমবারের সেই সভায় ট্রাম্প জানান, প্রাথমিকভাবে তিনি দুটি ব্যাটলশিপ তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন। তবে তাঁর আসল লক্ষ্য হলো, এমন অন্তত ২৫টি জাহাজ নির্মাণ করা।

নিজের পরিকল্পনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এই জাহাজগুলো হবে ইতিহাসের দ্রুততম এবং দীর্ঘতম। এযাবৎকালের পৃথিবীতে যত ব্যাটলশিপ তৈরি হয়েছে, তার চেয়ে অন্তত ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী হবে এগুলো।’ তিনি আরও জানান, এই দানবীয় জলযানগুলোতে মোতায়েন করা হবে হাইপারসনিক মিসাইল এবং এমন সব মারণাস্ত্র, যা এর আগে কেউ দেখেনি। ট্রাম্পের ভাষায় এগুলো হবে মার্কিন নৌবাহিনীর ‘ফ্ল্যাগশিপ’ বা প্রধান গর্ব।

বক্তব্যের সময় ট্রাম্পের দুই পাশে ঝোলানো ছিল বড় বড় পোস্টার, যেখানে সেই ‘ট্রাম্প ক্লাস’ জাহাজের কাল্পনিক সব ছবি আঁকা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই জাহাজগুলো দেশের মাটিতেই তৈরি হবে। যার ফলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নৌবাহিনী সচিব জন ফেলান একটি মজার তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, ট্রাম্প নিজে থেকে তাঁর কাছে একটি ‘বিশাল ও সুন্দর’ ব্যাটলশিপ তৈরির আবদার করেছিলেন। সেই বহরে আরও থাকবে কয়েক ডজন সহায়ক ও পণ্যবাহী নৌযান।

১৯ ডিসেম্বর মার্কিন নৌবাহিনী আরও একগুচ্ছ নতুন নৌযানের ঘোষণা দিয়েছিল, যেগুলো তৈরি হবে কোস্ট গার্ডের লিজেন্ড-ক্লাস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাটারের আদলে। নৌ অপারেশনপ্রধান ড্যারিল কডল এক ভিডিও বার্তায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, লোহিত সাগর থেকে শুরু করে ক্যারিবীয় অঞ্চল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের যে অপারেশন চলছে, তাতে আমাদের হাতে থাকা ছোট যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ পানির নিচে বা ওপরে ছোট নৌযানের ঘাটতি এখন আর অস্বীকার করার উপায় নেই। ড্যারিল কডল মনে করেন, বড় যুদ্ধজাহাজগুলোকে বড় লড়াইয়ের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে হলে ছোটখাটো মোকাবিলায় এই ধরনের গতির জাহাজগুলোর খুব প্রয়োজন।

তবে মুদ্রার উল্টো পিঠও আছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ‘কনস্টেলেশন-ক্লাস ফ্রিগেট’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বারবার কাজ পিছিয়ে যাওয়া আর খরচ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ২০২৪ সালে সেটি বাতিল হয়ে যায়। দেখা গেছে, প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করার পরও মাত্র দুটি জাহাজ পাওয়ার আশা ছিল। এদিকে সমুদ্রের দখল নিয়ে আমেরিকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরে সারা বিশ্বের জাহাজ নির্মাণের যত অর্ডার এসেছে, তার ৬০ শতাংশের বেশি গেছে চীনের দখলে। চীনের নৌবাহিনী এখন সংখ্যার বিচারে বিশ্বের বৃহত্তম।

জানুয়ারিতে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প তাঁর দেশের জাহাজশিল্পকে টেনে তোলার কথা বলে আসছেন। গত মার্চে তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘একসময় আমরা কত জাহাজ বানাতাম! এখন প্রায় বানাই না বললে চলে। কিন্তু আমরা আবার খুব দ্রুত জাহাজ বানানো শুরু করব। দেখবেন, এর প্রভাব হবে বিশাল।’ সেই ধারাবাহিকতায় অক্টোবরে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গে ট্রাম্প একটি চুক্তি করেছেন। আমেরিকা ফিনল্যান্ডের নকশা করা ১১টি আইসব্রেকার বা বরফ কাটার জাহাজ কিনবে, যার সাতটিই তৈরি হবে আমেরিকার মাটিতে ফিনিশ কারিগরি জ্ঞান ব্যবহার করে।

ট্রাম্পের এই যুদ্ধজাহাজ তৈরির ঘোষণাটি এমন এক সময়ে এল, যখন ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনা তুঙ্গে থাকায় ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন নৌ ও বিমান শক্তি বাড়ানো হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে মাদক পাচারের সন্দেহে আমেরিকা বেশ কিছু নৌযানে আক্রমণ শুরু করেছে, যেখানে অন্তত ১০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প দাবি করেন, এই কড়া পদক্ষেপের ফলে মাদক চোরাচালান বন্ধ হয়েছে এবং হাজার হাজার আমেরিকান নাগরিকের প্রাণ বেঁচেছে। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ এই হামলার আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মতে, এই ধরনের সরাসরি আক্রমণ আন্তর্জাতিক যুদ্ধ আইনের পরিপন্থী হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

সরকারের দেওয়া গানম্যান প্রত্যাখ্যান করলেন নুরুল হক নুর

এবার দিল্লি ও আগরতলায় ভিসা কার্যক্রম ‘সাময়িক বন্ধ’ করল বাংলাদেশ

সখীপুরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, দুই স্কুলছাত্রসহ নিহত ৩

‘ছাত্রদল আপনার মতো আম্মারকে ৩০ মিনিটে বের করে দিতে সক্ষম’, ভিডিও ভাইরাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লিবিয়ার হাফতারকে যুদ্ধবিমানসহ ৪০০ কোটি ডলারের বেশি সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে পাকিস্তান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫২
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রধান ফিল্ড আসিম মুনিরের সঙ্গে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির প্রধান ফিল্ড মার্শাল খলিফা হাফতার। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রধান ফিল্ড আসিম মুনিরের সঙ্গে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির প্রধান ফিল্ড মার্শাল খলিফা হাফতার। ছবি: সংগৃহীত

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার একাংশের নিয়ন্ত্রক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির কাছে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করেছে পাকিস্তান। চুক্তির আওতায় চীন ও পাকিস্তানের যৌথভাবে তৈরি যুদ্ধবিমান সরবরাহের কথা রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।

এই চুক্তি তেলসমৃদ্ধ উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে সামরিক সক্ষমতার ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। বর্তমানে লিবিয়া দ্বিখণ্ডিত। খলিফা হাফতার দেশটির পূর্বাঞ্চল শাসন করছেন, আর পশ্চিমে ত্রিপোলিতে রয়েছে জাতিসংঘ স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দিবেইবাহর নেতৃত্বাধীন সরকার।

গত সপ্তাহে বেনগাজি সফরের সময় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির বলেন, ‘আপনাদের সশস্ত্র বাহিনীকে যতটা সম্ভব শক্তিশালী করে গড়ে তুলুন। কারণ, এই বাহিনীই দেশের অস্তিত্ব নিশ্চিত করে।’ সেখানে হাফতারের ছেলে সাদ্দামের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। রয়টার্স জানিয়েছে, ওই বৈঠকেই অস্ত্র চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।

লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে মুনির বলেন, ‘লিবিয়া সিংহদের দেশ।’ এ সময় তিনি লিবিয়ার প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত ওমর আল-মুখতারের প্রসঙ্গ টানেন। মুখতার ১৯২০-৩০-এর দশকে ইতালীয় দখলদারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করে কিংবদন্তি হয়ে আছেন।

চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগে রয়টার্সের দেখা নথিপত্র অনুযায়ী, হাফতারের বাহিনী ১৬টি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কিনবে, যা পাকিস্তান ও চীন যৌথভাবে তৈরি করেছে। এর সঙ্গে ১২টি সুপার মাশাক প্রশিক্ষণ বিমানও থাকছে। এক পাকিস্তানি কর্মকর্তা জানান, এই চুক্তি আড়াই বছর মেয়াদি এবং এতে স্থল, জল ও আকাশপথের নানা সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত। দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তির অঙ্ক ৪৬০ কোটি ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি।

বর্তমানে ত্রিপোলি বা হাফতার, কারও হাতেই শক্তিশালী কোনো বিমানবাহিনী নেই। এর আগে ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিসর ও রাশিয়ার সমর্থনে ত্রিপোলি দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন হাফতার। সে সময় তুরস্ক ড্রোন ও ভাড়াটে সৈন্য পাঠিয়ে ত্রিপোলি সরকারকে রক্ষা করে। সেই থেকে পশ্চিম লিবিয়ায় তুরস্কের হাজারো সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।

২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত অভিযানে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়া মূলত তুরস্ক ও উপসাগরীয় দেশগুলোর ছায়াযুদ্ধের ময়দানে পরিণত হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই শত্রুতার রেখা কিছুটা ঝাপসা হয়ে এসেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব এখন ত্রিপোলির সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে তুরস্কও হাফতারের ছেলে সাদ্দামের মাধ্যমে হাফতারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদি ও আমিরাতের ঘনিষ্ঠতা পুরোনো। হাফতারের সঙ্গে আমিরাতের সম্পর্ক সবচেয়ে গভীর হলেও সৌদি আরবও তাঁর পক্ষে লবিং করে থাকে।

তবে সুদানের আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফকে সমর্থনের ইস্যুতে হাফতার পরিবারের সঙ্গে মিসরের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, হাফতার আরএসএফকে অস্ত্র সরবরাহে সহায়তা করছেন। পাকিস্তানের এই অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত তাদের এক গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। উপসাগরীয় দেশগুলো এতে উদ্বিগ্ন না হলেও তুরস্ক বিষয়টি সহজভাবে না-ও নিতে পারে। কারণ, তুরস্ক ও পাকিস্তানের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সম্পর্ক রয়েছে এবং কাশ্মীর ইস্যুতে আঙ্কারা সব সময় ইসলামাবাদকে সমর্থন দেয়।

অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তান এখন তাদের সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি বাড়িয়ে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তাদের অস্ত্রের সক্ষমতা প্রদর্শিত হওয়ার পর এই প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে লিবিয়ায় জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বছরের পর বছর ধরে দেশটিতে অস্ত্রের প্রবাহ থেমে নেই। যদিও পাকিস্তান এখানে চীনা প্রযুক্তির অস্ত্র বিক্রি করছে, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।

গত অক্টোবর মাসে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মিসর থেকে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাপ্রধান আসিম মুনির এ বছর ইতিমধ্যে দুবার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং গাজা ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য তৃতীয়বার হোয়াইট হাউস সফরের কথা রয়েছে তাঁর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

সরকারের দেওয়া গানম্যান প্রত্যাখ্যান করলেন নুরুল হক নুর

এবার দিল্লি ও আগরতলায় ভিসা কার্যক্রম ‘সাময়িক বন্ধ’ করল বাংলাদেশ

সখীপুরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, দুই স্কুলছাত্রসহ নিহত ৩

‘ছাত্রদল আপনার মতো আম্মারকে ৩০ মিনিটে বের করে দিতে সক্ষম’, ভিডিও ভাইরাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাম্পকে তরুণদের ‘রোল মডেল’ বললেন এক সময়ের ঘোর বিরোধী নিকি মিনাজ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনের মঞ্চে নিকি মিনাজ। ছবি: সংগৃহীত
‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনের মঞ্চে নিকি মিনাজ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত ‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন মার্কিন র‍্যাপ তারকা নিকি মিনাজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে তিনি তরুণ পুরুষদের জন্য ট্রাম্প ও ভ্যান্সকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে উল্লেখ করেন। মিনাজের এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ চমক সৃষ্টি করেছে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ‘ফরচুন’ জানিয়েছে, এই সম্মেলনটি প্রয়াত রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্কের স্মরণে আয়োজন করা হয়। মঞ্চে নিকি মিনাজের সাক্ষাৎকার নেন চার্লি কার্কের স্ত্রী ও বর্তমানে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর নেতৃত্বে থাকা অ্যারিকা কার্ক। আলোচনায় ট্রাম্পের প্রতি নতুন সমর্থনের কথা জানান মিনাজ—যদিও অতীতে তিনি ট্রাম্পের কঠোর সমালোচক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টানদের ওপর সহিংসতারও নিন্দা জানান।

মিনাজ ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউসমকে কটাক্ষ করে ট্রাম্পের দেওয়া ‘নিউ-স্কাম’ নামটি ব্যবহার করেন। বর্তমান প্রশাসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন—বর্তমান প্রশাসনে হৃদয় ও আত্মা আছে এবং ট্রাম্প ও ভ্যান্স দুজনই এমন নেতা, যাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ সহজে নিজেদের মিল খুঁজে পায়।

এদিকে মঞ্চে এক অস্বস্তিকর মুহূর্ত তৈরি হয়, যখন ভ্যান্সের রাজনৈতিক দক্ষতার প্রশংসা করতে গিয়ে মিনাজ তাঁকে ‘অ্যাসাসিন’ বলে ফেলেন। কথাটি বলার পরই তিনি থেমে যান এবং পরিস্থিতি কিছুটা বিব্রতকর হয়ে ওঠে। চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় শব্দটি উপস্থিত অনেকের মনে আঘাত দেয়।

সম্প্রতি মিনাজ ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান নির্যাতন সংক্রান্ত একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন, যেখানে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়। এ নিয়ে তিনি জাতিসংঘে মার্কিন মিশনে আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনাতেও অংশ নেন।

নিজের পরিবর্তিত অবস্থান নিয়ে মিনাজ বলেন, ‘মত বদলানো দোষের নয়—মনের কথা বলাই এখন সবচেয়ে বড় অপরাধ হয়ে গেছে।’ বিনোদন জগৎ থেকে সমালোচনার প্রসঙ্গে জানান, তিনি এসব নিয়ে ভাবেন না। একসময় ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির তীব্র বিরোধিতা করা এই শিল্পী এখন প্রকাশ্যেই বলছেন, তাঁর মত বদলানো ঠিকই আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

সরকারের দেওয়া গানম্যান প্রত্যাখ্যান করলেন নুরুল হক নুর

এবার দিল্লি ও আগরতলায় ভিসা কার্যক্রম ‘সাময়িক বন্ধ’ করল বাংলাদেশ

সখীপুরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, দুই স্কুলছাত্রসহ নিহত ৩

‘ছাত্রদল আপনার মতো আম্মারকে ৩০ মিনিটে বের করে দিতে সক্ষম’, ভিডিও ভাইরাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত