অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর একের পর এক বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ জারি করে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারির মতো পদক্ষেপের পাশাপাশি তিনি দেশটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও সরিয়ে নিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ওওও, এটি একটি বড় খবর।’ এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদেও যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছিলেন।
ট্রাম্প কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাটির আচরণের সমালোচনা করেছিলেন এবং মহামারির সময়েই তিনি জেনেভাভিত্তিক এই সংস্থাটি থেকে বের হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। তাঁর পরে প্রেসিডেন্ট হয়ে আসা জো বাইডেন সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। তবে এবারে এই নির্বাহী আদেশটি ট্রাম্পের মেয়াদের প্রথম দিনেই জারি করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউএইচও থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ডব্লিউএইচও) আমাদের ফিরে পেতে চেয়েছিল, তাই দেখব কী হয়।’ ট্রাম্পের সই করা নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘সংস্থাটি কোভিড-১৯ মহামারি ও অন্যান্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকটে ভুল পরিচালনার কারণে এবং তাৎক্ষণিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করার কারণে এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অযৌক্তিক রাজনৈতিক প্রভাব থেকে স্বাধীনতা প্রদর্শন করতে না পারার কারণে’ সংস্থাটি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়া নির্বাহী আদেশে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ‘অন্যায্যভাবে ব্যাপক অর্থ প্রদান’। প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়ে আসার পর সংস্থাটিকে ‘চীনকেন্দ্রিক’ বলে সমালোচনা করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করে, কোভিড-১৯ মহামারি সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংস্থাটি চীনের প্রতি পক্ষপাত দেখিয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএইচও-এর সবচেয়ে বড় অনুদান দাতা ছিল এবং ২০২৩ সালে তারা সংস্থার বাজেটের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অবদান রেখেছিল। সংস্থাটির বার্ষিক বাজেট ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এর ফলে আমেরিকানদের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই পদক্ষেপ ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা এবং এইচআইভি/এইডসের মতো সংক্রামক রোগের রুদ্ধে লড়াইয়ে অর্জিত অগ্রগতিকে বিপর্যস্ত করতে পারে।
বাইডেনের অধীনে কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আশিষ ঝা বলেন, ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে যাওয়া ‘বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য নয়, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব এবং বৈজ্ঞানিক দক্ষতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’ এই বিষয়ে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লরেন্স গোস্টিন বলেন, ‘এটি একটি বিধ্বংসী প্রেসিডেনশিয়াল সিদ্ধান্ত। প্রত্যাহার বিশ্ব স্বাস্থ্যকে গভীর ক্ষতগ্রস্ত করবে, তবে আরও গভীর ক্ষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য।’
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর একের পর এক বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ জারি করে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারির মতো পদক্ষেপের পাশাপাশি তিনি দেশটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও সরিয়ে নিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ওওও, এটি একটি বড় খবর।’ এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদেও যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছিলেন।
ট্রাম্প কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাটির আচরণের সমালোচনা করেছিলেন এবং মহামারির সময়েই তিনি জেনেভাভিত্তিক এই সংস্থাটি থেকে বের হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। তাঁর পরে প্রেসিডেন্ট হয়ে আসা জো বাইডেন সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। তবে এবারে এই নির্বাহী আদেশটি ট্রাম্পের মেয়াদের প্রথম দিনেই জারি করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউএইচও থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ডব্লিউএইচও) আমাদের ফিরে পেতে চেয়েছিল, তাই দেখব কী হয়।’ ট্রাম্পের সই করা নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘সংস্থাটি কোভিড-১৯ মহামারি ও অন্যান্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকটে ভুল পরিচালনার কারণে এবং তাৎক্ষণিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করার কারণে এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অযৌক্তিক রাজনৈতিক প্রভাব থেকে স্বাধীনতা প্রদর্শন করতে না পারার কারণে’ সংস্থাটি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়া নির্বাহী আদেশে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ‘অন্যায্যভাবে ব্যাপক অর্থ প্রদান’। প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়ে আসার পর সংস্থাটিকে ‘চীনকেন্দ্রিক’ বলে সমালোচনা করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করে, কোভিড-১৯ মহামারি সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংস্থাটি চীনের প্রতি পক্ষপাত দেখিয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএইচও-এর সবচেয়ে বড় অনুদান দাতা ছিল এবং ২০২৩ সালে তারা সংস্থার বাজেটের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অবদান রেখেছিল। সংস্থাটির বার্ষিক বাজেট ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এর ফলে আমেরিকানদের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই পদক্ষেপ ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা এবং এইচআইভি/এইডসের মতো সংক্রামক রোগের রুদ্ধে লড়াইয়ে অর্জিত অগ্রগতিকে বিপর্যস্ত করতে পারে।
বাইডেনের অধীনে কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আশিষ ঝা বলেন, ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে যাওয়া ‘বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য নয়, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব এবং বৈজ্ঞানিক দক্ষতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’ এই বিষয়ে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লরেন্স গোস্টিন বলেন, ‘এটি একটি বিধ্বংসী প্রেসিডেনশিয়াল সিদ্ধান্ত। প্রত্যাহার বিশ্ব স্বাস্থ্যকে গভীর ক্ষতগ্রস্ত করবে, তবে আরও গভীর ক্ষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সৌদি আরবকে কোনো চাপ প্রয়োগ করতে হবে না। দেশটি এমনিতেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে।
৩৮ মিনিট আগেভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক যৌথ অভিযানে ১৪ মাওবাদী নিহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে ছত্তিশগড়-উড়িষ্যা সীমান্তের একটি জঙ্গলে এই যৌথ অভিযান চালায়। এ অভিযানে নিহত হয়েছেন শীর্ষ মাওবাদী নেতা জয় রাম ওরফে চলপতি, যাঁর মাথার বিনিময়ে ১ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রের
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই গতকাল সোমবার এক নির্বাহী আদেশে দেশটির জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর এটি তাঁর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এই আদেশের ফলে, যেসব দম্পতির বৈধ অভিবাসীর মর্যাদা নেই যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী প্রবেশ ঠেকাতে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল সোমবার তিনি এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে অভিবাসন ইস্যুতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং সেনাবাহিনীকে সীমান্ত সুরক্ষায় সহায়তা করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া, শরণার্থী গ্রহণে ব্যাপক
২ ঘণ্টা আগে