অভিবাসী বহনকারী মার্কিন উড়োজাহাজ নামতে দিল না মেক্সিকো

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২: ১৭
Thumbnail image
অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য উড়োজাহাজে তোলা হচ্ছে। ছবি: হোয়াইট হাউস

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই। তবে শুরুতেই এই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অভিবাসী বহনকারী একটি মার্কিন সামরিক বিমানকে নামার অনুমতি দেয়নি মেক্সিকো। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি।

দুই মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবং আরও একটি সংশ্লিষ্ট সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, মেক্সিকো গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক উড়োজাহাজকে অবতরণের অনুমতি দেয়নি। সূত্র জানিয়েছে, গুয়াতেমালাগামী মার্কিন বিমানবাহিনীর দুটি সি-১৭ বিমান প্রায় ৮০ জন করে যাত্রী নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড্ডয়ন করে। তবে মেক্সিকোর উদ্দেশে যাত্রার জন্য নির্ধারিত তৃতীয় বিমানটি উড্ডয়নই করেনি।

মেক্সিকো কেন ওই ফ্লাইট অবতরণে বাধা দিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, সীমান্ত পেরিয়ে অভিবাসীদের প্রবেশ বন্ধ করতে মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। তবে, এই শুল্ক এখনো কার্যকর করা হয়নি।

হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই ফ্লাইটের বিষয়টি একটি প্রশাসনিক জটিলতার কারণে হয়েছিল এবং তা দ্রুত সমাধান করা হয়েছে।’

এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট টুইট করে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার মেক্সিকো এক দিনে রেকর্ড চারটি অভিবাসী বহনকারী ফ্লাইট নামতে দিয়েছে।’ তবে, এগুলো সামরিক, বাণিজ্যিক নাকি ব্যক্তিগত ফ্লাইট ছিল তা পরিষ্কার করেননি তিনি। মেক্সিকোর দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য জানায়নি।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউমের সরকার আগেই জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের একতরফা অভিবাসননীতি যেমন—‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ তারা সমর্থন করে না। এই নীতির কারণে, অন্যান্য দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত মেক্সিকোতেই থাকতে হয়।

এদিকে, শুক্রবার গুয়াতেমালা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনটি ফ্লাইটে ফেরত পাঠানো ২৬৫ জন নাগরিককে গ্রহণ করেছে। গুয়াতেমালার মাইগ্রেশন ইনস্টিটিউটের এক মুখপাত্র জানান, শুক্রবারের ফ্লাইটগুলোর মধ্যে দুটি সামরিক, অপরটি বেসামরিক উড়োজাহাজ দিয়ে পরিচালিত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত