মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বহুল প্রতীক্ষিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ। এই ভোটেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন, আগামী চার বছরের জন্য দেশটির নেতৃত্ব কে দেবেন। জনমত জরিপগুলোতে ভোটে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। ফলে ভোটারদের নিজের পক্ষে টানতে শেষ মুহূর্তে জোর প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা; বিশেষ করে দোদুল্যমান রাজ্যগুলো চষে বেড়াচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস।
জর্জিয়া থেকে বিবিসির নর্থ আমেরিকা করেসপনডেন্ট জন সুদওয়ার্থ লিখেছেন, শেষ দিকের প্রচারেও ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী বার্তা সামনে নিয়ে আসছেন। অন্যদিকে ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির কোর্টনি সুব্রামানিয়ান লিখেছেন, কমলা হ্যারিসের প্রচারশিবির তাঁর জয়ের বিষয়ে সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। তারা এখন দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছে। আজ আনুষ্ঠানিক ভোট গ্রহণের আগেই গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৭ কোটি ৮০ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। এখন আলাদা করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভোটারদের মন জয় করতে মরিয়া ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবির।
দোদুল্যমান সাত রাজ্য হচ্ছে অ্যারিজোনা, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলাইনা ও নেভাদা। এগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় আরব আমেরিকান জনগোষ্ঠীর বাস মিশিগানে। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এক সমাবেশে কমলা হ্যারিস বলেছেন, গাজা যুদ্ধ অবসানে তিনি তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী সবকিছুই করবেন। একই অঙ্গরাজ্যের ডিয়ারবর্ন শহরে আয়োজিত সমাবেশে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও ইসরায়েলকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ পুঁজি করে বক্তব্য দিয়েছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া কয়েক মাস ধরে অর্থনীতি নিয়ে যেসব নীতির কথা বলেছেন, মিশিগানেও তারই পুনরাবৃত্তি করেছেন তিনি।
দৃশ্যত দোদুল্যমান সাত রাজ্যের ছয়টিতে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্প-সমর্থকেরা। গত শুক্রবার ভার্জিনিয়ায় সমাবেশ করেছেন ট্রাম্প। আগের দুটি নির্বাচনে তিনি সেখানে বড় ব্যবধানে হেরেছেন। রোববার তাঁর রানিংমেট জেডি ভান্স নিউ হ্যাম্পশায়ারে গেছেন। জরিপের তথ্য বলছে, সেখানে কমলা হ্যারিস সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
ভোটারদের কাছে এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মূল্যস্ফীতি, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নারীদের গর্ভপাতের অধিকারের মতো বিষয়গুলো। কমলা হ্যারিস বলেছেন, ক্ষমতায় এলে প্রথম দিন থেকেই তাঁর অগ্রাধিকার হবে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো। খুচরা দোকানে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো, ক্রেতাদের সহায়তা এবং ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
আরও অনেক পশ্চিমা দেশের মতো মূল্যস্ফীতি বাইডেন প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রেও বেড়েছে। অন্যদিকে ট্রাম্প ‘মূল্যস্ফীতির অবসান ঘটিয়ে আমেরিকাকে আবারও সাশ্রয়ী’ করার অঙ্গীকার করছেন। জ্বালানি খরচ কমিয়ে আনতে তিনি আরও তেল উৎপাদনের কথা বলছেন। সুদের হার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলছেন, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে পারলে আবাসনের চাপ কমবে।
কমলা হ্যারিস প্রসিকিউটর হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি সামনে আনছেন। অন্যদিকে মাদক চক্র ও দলগত সহিংসতার বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তুলছেন ট্রাম্প। তিনি বলছেন, ডেমোক্র্যাটরা যেসব শহর পরিচালনা করছে, সেগুলো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ভরে গেছে। একই সঙ্গে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করলে তিনি ‘উগ্র বাম ও শত্রুদের’ বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী বা ন্যাশনাল গার্ড ব্যবহারের কথা বলেছেন।
কমলা হ্যারিস গর্ভপাতের অধিকারকে তাঁর প্রচারের কেন্দ্রে রেখেছেন। প্রজনন অধিকারসংক্রান্ত আইনের পক্ষে নিজের শক্ত অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দৃশ্যত গর্ভপাতের বিষয়ে জোরালো কোনো অবস্থান নিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বহুল প্রতীক্ষিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ। এই ভোটেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন, আগামী চার বছরের জন্য দেশটির নেতৃত্ব কে দেবেন। জনমত জরিপগুলোতে ভোটে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। ফলে ভোটারদের নিজের পক্ষে টানতে শেষ মুহূর্তে জোর প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা; বিশেষ করে দোদুল্যমান রাজ্যগুলো চষে বেড়াচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস।
জর্জিয়া থেকে বিবিসির নর্থ আমেরিকা করেসপনডেন্ট জন সুদওয়ার্থ লিখেছেন, শেষ দিকের প্রচারেও ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী বার্তা সামনে নিয়ে আসছেন। অন্যদিকে ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির কোর্টনি সুব্রামানিয়ান লিখেছেন, কমলা হ্যারিসের প্রচারশিবির তাঁর জয়ের বিষয়ে সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। তারা এখন দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছে। আজ আনুষ্ঠানিক ভোট গ্রহণের আগেই গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৭ কোটি ৮০ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। এখন আলাদা করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভোটারদের মন জয় করতে মরিয়া ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবির।
দোদুল্যমান সাত রাজ্য হচ্ছে অ্যারিজোনা, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলাইনা ও নেভাদা। এগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় আরব আমেরিকান জনগোষ্ঠীর বাস মিশিগানে। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এক সমাবেশে কমলা হ্যারিস বলেছেন, গাজা যুদ্ধ অবসানে তিনি তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী সবকিছুই করবেন। একই অঙ্গরাজ্যের ডিয়ারবর্ন শহরে আয়োজিত সমাবেশে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও ইসরায়েলকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ পুঁজি করে বক্তব্য দিয়েছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া কয়েক মাস ধরে অর্থনীতি নিয়ে যেসব নীতির কথা বলেছেন, মিশিগানেও তারই পুনরাবৃত্তি করেছেন তিনি।
দৃশ্যত দোদুল্যমান সাত রাজ্যের ছয়টিতে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্প-সমর্থকেরা। গত শুক্রবার ভার্জিনিয়ায় সমাবেশ করেছেন ট্রাম্প। আগের দুটি নির্বাচনে তিনি সেখানে বড় ব্যবধানে হেরেছেন। রোববার তাঁর রানিংমেট জেডি ভান্স নিউ হ্যাম্পশায়ারে গেছেন। জরিপের তথ্য বলছে, সেখানে কমলা হ্যারিস সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
ভোটারদের কাছে এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মূল্যস্ফীতি, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নারীদের গর্ভপাতের অধিকারের মতো বিষয়গুলো। কমলা হ্যারিস বলেছেন, ক্ষমতায় এলে প্রথম দিন থেকেই তাঁর অগ্রাধিকার হবে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো। খুচরা দোকানে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো, ক্রেতাদের সহায়তা এবং ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
আরও অনেক পশ্চিমা দেশের মতো মূল্যস্ফীতি বাইডেন প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রেও বেড়েছে। অন্যদিকে ট্রাম্প ‘মূল্যস্ফীতির অবসান ঘটিয়ে আমেরিকাকে আবারও সাশ্রয়ী’ করার অঙ্গীকার করছেন। জ্বালানি খরচ কমিয়ে আনতে তিনি আরও তেল উৎপাদনের কথা বলছেন। সুদের হার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলছেন, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে পারলে আবাসনের চাপ কমবে।
কমলা হ্যারিস প্রসিকিউটর হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি সামনে আনছেন। অন্যদিকে মাদক চক্র ও দলগত সহিংসতার বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তুলছেন ট্রাম্প। তিনি বলছেন, ডেমোক্র্যাটরা যেসব শহর পরিচালনা করছে, সেগুলো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ভরে গেছে। একই সঙ্গে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করলে তিনি ‘উগ্র বাম ও শত্রুদের’ বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী বা ন্যাশনাল গার্ড ব্যবহারের কথা বলেছেন।
কমলা হ্যারিস গর্ভপাতের অধিকারকে তাঁর প্রচারের কেন্দ্রে রেখেছেন। প্রজনন অধিকারসংক্রান্ত আইনের পক্ষে নিজের শক্ত অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দৃশ্যত গর্ভপাতের বিষয়ে জোরালো কোনো অবস্থান নিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
২০১৬ সালের মতোই দাপট নিয়ে ফিরে এলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে কমলা হ্যারিসের দলের মধ্যে যে উৎসাহের জোয়ার দেখা গেছে তার মধ্যে যে বড় ফাঁক ছিল, সেটা ফলাফল দিয়েই প্রমাণিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, মাঠ পর্যায়ের প্রচারণা নিয়েও তাঁদের অনুমানও ছিল অতিরঞ্জিত।
৪ ঘণ্টা আগে২০২৫ সালের প্রথম দিন অর্থাৎ আগামী ১ জানুয়ারি থেকেই বোরকা সহ মুখ ঢেকে রাখে এমন পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে সুইজারল্যান্ড। দেশটির সরকারের বরাত দিয়ে বুধবার এই খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় একপ্রকার নিশ্চিত। কেবল আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা বাকি। আর ট্রাম্পের জয়ের দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী দেশ রাশিয়া দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘রিসেট’ বা পুনর্গঠনের ধারণা দিয়েছে। রাশিয়ার সভরেইন ওয়েলথ ফান্ডের প্রধান নির্বাহী কিরিল দিমিত্রিয়েভ এই ধারণা দিয়েছেন। ব
৬ ঘণ্টা আগেরিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ের দ্বারপ্রান্তে। গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট পেনসিলভানিয়ায় জয়ের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন তিনি। বিজয়ী হতে প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পাওয়ার পথেই তিনি। আলাস্কা বা অন্য কোনো অঙ্গরাজ্যে জিতলেই ট্রাম্প হয়ে যাবেন আমেরিকার ৪৭ তম প্রে
৭ ঘণ্টা আগে