সুইং স্টেটগুলোর কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বড় ব্যবধানে এগিয়ে কমলা: জরিপ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ৩৮
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ৪৭
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে নির্বাচনী প্রচারণায় ভাষণ দিচ্ছেন কমলা হ্যারিস। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাধারণত ব্যবধান গড়ে দেয় সুইং স্টেটস বা ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটস বলে পরিচিত অঙ্গরাজ্যগুলো। এবারের নির্বাচনে সাত সুইং স্টেটস হলো—মিশিগান, উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, অ্যারিজোনা ও নেভাদা। আর এসব অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ পড়ুয়া যেসব শিক্ষার্থী অগ্রিম ভোট দিয়েছেন, তাদের বেশির ভাগই বেছে নিয়েছেন কমলা হ্যারিসকে।

জেনারেশন ল্যাব পরিচালিত এক বুথ ফেরত জরিপ থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, অ্যারিজোনা ও নেভাদা অঙ্গরাজ্যে শিক্ষার্থীদের ভোটের ৭১ শতাংশই গেছে কমলা হ্যারিসের পক্ষে।

ছাত্রদের মধ্য থেকে এই প্রবণতা নির্দেশ করছে যে, এই সম্প্রদায়ের মধ্যে কমলা হ্যারিসের পক্ষে সমর্থন বাড়ছে। এই নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অঙ্গরাজ্যের অনুমিত ফলাফল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই যুব ভোটারদের ভোটের প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, তরুণ শিক্ষার্থীরা যদি বেশি করে ভোট দেয়, তবে তা আবশ্যিকভাবে ফলাফলে প্রভাব ফেলবে।

জরিপ অনুসারে, যদি কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সরাসরি প্রতিযোগিতা হয় তাহলে ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোটার কমলা হ্যারিসের পক্ষে ভোট দেবেন এবং বাকি ২৪ শতাংশ ভোট দেবেন ট্রাম্পের পক্ষে। তবে নির্বাচনে গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন এবং লিবার্টেরিয়ান পার্টির প্রার্থী চেজ অলিভারও থাকলে কমলা পাবেন ৭২ শতাংশ, ট্রাম্প ২১ শতাংশ, স্টেইন ৫ শতাংশ এবং অলিভার ২ শতাংশ ভোট। এ থেকে বলা যায়, সুইং স্টেটগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমলা হ্যারিসের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে।

এদিকে, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দিবসের আগে ভোট দেওয়ার আগ্রহ কম দেখা গেছে। মহামারির বছর ২০২০ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবার বেশ কম ভোট পড়েছে। চার বছর আগে ১১ কোটি মার্কিন নাগরিক আগাম ভোট বা ডাকযোগে ভোট দিয়েছিলেন। এ সংখ্যা ছিল সেই নির্বাচনের মোট ভোটারের প্রায় ৭০ শতাংশ।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা চূড়ান্ত ভোটারের সংখ্যা জানার জন্য কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ, সব অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনার আগে পর্যন্ত এটি জানা যাবে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এবারের নির্বাচনেও প্রায় ৫০ শতাংশ আগাম ভোট পড়েছে। এটি অবশ্য ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রায় সমান।

সিএনএন, এডিসন রিসার্চ এবং ক্যাটালিস্টের (ডেমোক্র্যাটদের অলাভজনক গবেষণা সংস্থা) তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ৪৭টি অঙ্গরাজ্য এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে ৭ কোটি ৮০ লাখের বেশি ভোট পড়েছে। সামগ্রিকভাবে আগাম ভোট কমলেও কিছু অঙ্গরাজ্যে আগের তুলনায় অনেক বেশি ভোটার নির্বাচনের আগে সরাসরি ভোট দিতেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

প্রধান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়ায় আগাম ভোটে রেকর্ডসংখ্যক ভোটার অংশ নিয়েছেন, যেখানে জর্জিয়ায় ২০২০ সালের চেয়ে বেশি সংখ্যক ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। তবে নর্থ ক্যারোলাইনায় মোট আগাম ভোট ২০২০ সালের তুলনায় কম ছিল। কারণ সেখানে ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে এবার কমেছে।

মহামারির সময় ভোটাররা জনাকীর্ণ কেন্দ্র এড়ানোর জন্য ডাকযোগে ভোট দিতে আগ্রহী ছিলেন। তবে উভয় অঙ্গরাজ্যেই ডাকযোগে ভোট দেওয়া এখন চার বছর আগের তুলনায় কঠিন হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত