ট্রাম্পকে সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮: ৪৪
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯: ৫১

জালিয়াতি মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ৩৫৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্কের একটি আদালত এই রায় দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

নিউইয়র্ক আদালতের বিচারক আর্থার অ্যাঙ্গরন এ রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কের নিম্ন আদালতে এই মামলার কার্যক্রম শেষ হলো। জরিমানা দেওয়ার পাশাপাশি বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী তিন বছর ট্রাম্প নিউইয়র্কের কোনো প্রতিষ্ঠানে পরিচালক বা কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিতে পারবেন না। 

এর আগে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে অ্যাঙ্গরন ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট বাণিজ্যের দেখভাল করে সে ধরনের প্রতিষ্ঠানকে বিলুপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এই রায়ে তিনি তাঁর আগের অবস্থান থেকে সরে এসে নতুন রায়ে বলেছেন, সে ধরনের নিয়ন্ত্রক বডির আর দরকার নেই। কারণ এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম দেখভালের জন্য স্বাধীন পর্যবেক্ষক ও কমপ্লায়েন্স ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছেন। 

রায়ে বিচারপতি অ্যাঙ্গরন বলেছেন, ট্রাম্প এবং এই মামলার অন্য অভিযুক্তরা নিজস্ব উপায়ে তাদের অভিযোগ স্বীকার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। রায়ে বিচারক আরও উল্লেখ করেন, ‘তাদের অনুশোচনার অভাব আছে। তাঁদের মতে, তাঁরা নিজেদের কোনো ভুল দেখেন না, শোনেন না এমনকি তাঁরা কোনো ভুলও বলেন না।’ 

এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ট্রাম্পের পারিবারিক কোম্পানি ‘ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের’ বিষয়ে কয়েক বিলিয়ন ডলারের মিথ্যা বলার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের পর নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিয়া জেমস এ মামলা দায়ের করেন। 

এই মামলায় ট্রাম্পের পাশাপাশি তাঁর তিন সন্তান ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও এরিক ট্রাম্পকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া, মামলায় ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের দুই নির্বাহী অ্যালেন ওয়েইসেলবার্গ ও জেফরি ম্যাককনিকে আসামি করা হয়েছে। লেটিয়া জেমস ও তাঁর প্রতিষ্ঠান মিলে গত তিন বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য জালিয়াতির প্রমাণাদি সংগ্রহ করেছেন। 

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে,ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের প্রতিষ্ঠানের সম্পদ কমিয়ে দেখাতে দুই শতাধিক ভুয়া মূল্যায়ন এবং আর্থিক বিবরণী তৈরি করেছিলেন। ঋণপ্রাপ্তি ও কম ট্যাক্সের সুবিধা পেতে ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠান তাঁদের সম্পত্তির আর্থিক মূল্য নিয়ে এসব মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। মামলার কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, ২০১১-২১ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি আরও অসংখ্য জালিয়াতি করেছে। 

এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মামলার বিচারক ‘কুটিল’ ও লেটিয়া জেমস ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা একটি পোস্টে বলেছেন, আর্থার অ্যাঙ্গরন ‘কুটিল’ ও লেটিয়া জেমস ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ এবং তাঁকে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দিতেই এই ‘ডাইনি শিকারের’ আয়োজন। ট্রাম্পের আইনজীবী দল এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত