আজকের পত্রিকা ডেস্ক
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে হাতে পেতে আইনি লড়াইয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্যের উচ্চ আদালত গতকাল শুক্রবার এক রায়ে বলেছেন, অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া যাবে। এ রায়কে প্রত্যর্পণ এড়াতে অ্যাসাঞ্জের লড়াইয়ে বড় ধরনের ধাক্কা বলা হচ্ছে। যদিও তাঁর বাগ্দত্তা রায়ের পরপরই ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁরা আপিল করবেন।
এর আগে গত জানুয়ারিতে
যুক্তরাজ্যের নিম্ন আদালত অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন। সে সময় বিচারক বলেছিলেন, উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতাকে প্রত্যর্পণ করা হলে তাঁর সঙ্গে কঠোর আচরণ করা হতে পারে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ যুক্তরাজ্যের উচ্চ আদালতে আপিল করে।
২০১০ সালে লাখো মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তা এবং আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধ-সম্পর্কিত সামরিক গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে উইকিলিকস। অ্যাসাঞ্জের দাবি, ওই সব নথি মার্কিন সামরিক বাহিনীর নানা অপকর্মের তথ্য ফাঁস করেছে। তবে মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি, গোপন নথি ফাঁস করে অ্যাসাঞ্জ অনেক মানুষের জীবন হুমকিতে ফেলেছেন।
নথি ফাঁসের কিছুদিন পর সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ওই মামলায় বিচারের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার তাঁকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিল। পরে অবশ্য ওই মামলা খারিজ হয়েছে। এদিকে নথি ফাঁসের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা হয়। যুক্তরাজ্যে জামিন পেয়ে ২০১২ সালে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাজ্যের পুলিশ। এরপর যুক্তরাজ্যের আদালত জামিনের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে ওই বছরের মে মাসে অ্যাসাঞ্জকে ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গতকালের রায়ে যুক্তরাজ্যের উচ্চ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারকেরা বলেন, অ্যাসাঞ্জের ওপর মানসিক নিপীড়নের কথা চিন্তা করে গত জানুয়ারিতে নিম্ন আদালতের বিচারক প্রত্যর্পণের বিপক্ষে রায় দিয়েছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়তা দিয়েছে যে তারা অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো কঠোর আচরণ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি ওই ধরনের আচরণের উপযুক্ত কোনো কর্মকাণ্ড না করবেন।
রায় ঘোষণার সময় উচ্চ আদালতের লর্ড চিফ জাস্টিস লর্ড বার্নেট বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে এ ধরনের নিশ্চয়তা যদি (নিম্ন আদালত) বিচারককে দেওয়া হতো, তাহলে তাঁর রায়ও ভিন্ন কিছু হতো।’ রায়ে উচ্চ আদালতের বিচারকেরা বলেছেন, মামলাটি আবারও ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠাতে হবে, যাতে নিম্ন আদালত রায়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠাতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটিশ আদালতকে অ্যাসাঞ্জের ব্যাপারে চারটি নিশ্চয়তা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এগুলো হলো প্রত্যর্পণের পর বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগে বা পরে তাঁকে একা কারান্তরীণ করা হবে না কিংবা তাঁকে কলোরাডোয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তাসংবলিত কারাগার এডিএক্স ফ্লোরেন্স সুপারম্যাক্স জেলে রাখা হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা আদালতকে আরও বলেছেন, মার্কিন আদালত অ্যাসাঞ্জকে যে মেয়াদের কারাদণ্ডই দিন না কেন, তা তিনি ভোগ করবেন নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার কারাগারে।
মার্কিন আইন অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে দায়ের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে অ্যাসাঞ্জের ১৭৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে মার্কিন সরকার বলেছে, অ্যাসাঞ্জের কারাদণ্ড চার থেকে ছয় বছর মেয়াদের মধ্যে হবে।
অ্যাসাঞ্জের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীরা যুক্তরাষ্ট্রের এসব নিশ্চয়তাকে ‘অর্থহীন’ ও ‘অস্পষ্ট’ বলে অভিহিত করেছেন। আর অ্যাসাঞ্জের বাগ্দত্তা স্টেলা মরিস এ রায়কে ‘বিপজ্জনক ও ভুল’ বলে মন্তব্য করেছেন। উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন ইঙ্গিত দিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আড়াই বছর ধরে জুলিয়ান বেলমার্শ কারাগারে রয়েছেন। কিন্তু তিনি ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১১ বছর ধরেই বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। এভাবে আর কত দিন চলতে পারে?’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুক্তরাজ্যের উচ্চ আদালতের রায়কে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে হাতে পেতে আইনি লড়াইয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্যের উচ্চ আদালত গতকাল শুক্রবার এক রায়ে বলেছেন, অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া যাবে। এ রায়কে প্রত্যর্পণ এড়াতে অ্যাসাঞ্জের লড়াইয়ে বড় ধরনের ধাক্কা বলা হচ্ছে। যদিও তাঁর বাগ্দত্তা রায়ের পরপরই ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁরা আপিল করবেন।
এর আগে গত জানুয়ারিতে
যুক্তরাজ্যের নিম্ন আদালত অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন। সে সময় বিচারক বলেছিলেন, উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতাকে প্রত্যর্পণ করা হলে তাঁর সঙ্গে কঠোর আচরণ করা হতে পারে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ যুক্তরাজ্যের উচ্চ আদালতে আপিল করে।
২০১০ সালে লাখো মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তা এবং আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধ-সম্পর্কিত সামরিক গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে উইকিলিকস। অ্যাসাঞ্জের দাবি, ওই সব নথি মার্কিন সামরিক বাহিনীর নানা অপকর্মের তথ্য ফাঁস করেছে। তবে মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি, গোপন নথি ফাঁস করে অ্যাসাঞ্জ অনেক মানুষের জীবন হুমকিতে ফেলেছেন।
নথি ফাঁসের কিছুদিন পর সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ওই মামলায় বিচারের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার তাঁকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিল। পরে অবশ্য ওই মামলা খারিজ হয়েছে। এদিকে নথি ফাঁসের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা হয়। যুক্তরাজ্যে জামিন পেয়ে ২০১২ সালে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাজ্যের পুলিশ। এরপর যুক্তরাজ্যের আদালত জামিনের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে ওই বছরের মে মাসে অ্যাসাঞ্জকে ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গতকালের রায়ে যুক্তরাজ্যের উচ্চ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারকেরা বলেন, অ্যাসাঞ্জের ওপর মানসিক নিপীড়নের কথা চিন্তা করে গত জানুয়ারিতে নিম্ন আদালতের বিচারক প্রত্যর্পণের বিপক্ষে রায় দিয়েছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়তা দিয়েছে যে তারা অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো কঠোর আচরণ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি ওই ধরনের আচরণের উপযুক্ত কোনো কর্মকাণ্ড না করবেন।
রায় ঘোষণার সময় উচ্চ আদালতের লর্ড চিফ জাস্টিস লর্ড বার্নেট বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে এ ধরনের নিশ্চয়তা যদি (নিম্ন আদালত) বিচারককে দেওয়া হতো, তাহলে তাঁর রায়ও ভিন্ন কিছু হতো।’ রায়ে উচ্চ আদালতের বিচারকেরা বলেছেন, মামলাটি আবারও ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠাতে হবে, যাতে নিম্ন আদালত রায়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠাতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটিশ আদালতকে অ্যাসাঞ্জের ব্যাপারে চারটি নিশ্চয়তা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এগুলো হলো প্রত্যর্পণের পর বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগে বা পরে তাঁকে একা কারান্তরীণ করা হবে না কিংবা তাঁকে কলোরাডোয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তাসংবলিত কারাগার এডিএক্স ফ্লোরেন্স সুপারম্যাক্স জেলে রাখা হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা আদালতকে আরও বলেছেন, মার্কিন আদালত অ্যাসাঞ্জকে যে মেয়াদের কারাদণ্ডই দিন না কেন, তা তিনি ভোগ করবেন নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার কারাগারে।
মার্কিন আইন অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে দায়ের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে অ্যাসাঞ্জের ১৭৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে মার্কিন সরকার বলেছে, অ্যাসাঞ্জের কারাদণ্ড চার থেকে ছয় বছর মেয়াদের মধ্যে হবে।
অ্যাসাঞ্জের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীরা যুক্তরাষ্ট্রের এসব নিশ্চয়তাকে ‘অর্থহীন’ ও ‘অস্পষ্ট’ বলে অভিহিত করেছেন। আর অ্যাসাঞ্জের বাগ্দত্তা স্টেলা মরিস এ রায়কে ‘বিপজ্জনক ও ভুল’ বলে মন্তব্য করেছেন। উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন ইঙ্গিত দিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আড়াই বছর ধরে জুলিয়ান বেলমার্শ কারাগারে রয়েছেন। কিন্তু তিনি ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১১ বছর ধরেই বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। এভাবে আর কত দিন চলতে পারে?’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুক্তরাজ্যের উচ্চ আদালতের রায়কে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।
কংগ্রেস ভবনের সব শৌচাগার, পোশাক পরিবর্তনের কক্ষ, লকার রুমগুলো নারী–পুরুষ অনুযায়ী ভাগ করা আছে। নারীদের জন্য নির্ধারিত পরিসরে শুধু নারীদের অধিকার থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন লুইজিয়ানার এই রিপাবলিকান প্রতিনিধি।
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি দাবি করেছেন, ইমরান খানের সরকার পতনের পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা ছিল। কারাবন্দী ইমরান খানের স্ত্রী এক বিরল ভিডিও বার্তায় এই দাবি করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ভিডিওতে আগামী ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিক্ষোভ মিছিলে ইমরান খানের দল পাকিস
১৪ ঘণ্টা আগেপোল্যান্ডে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটি ‘পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ানোর’ কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এখন রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, রাশিয়া প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এই ঘাঁটিতে হামলা চা
১৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদন থেকে
১৪ ঘণ্টা আগে